সন্তানকে মানুষ করা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই কঠিন কর্তব্য। সবসময় মা বাবারা চান তাদের ছেলে মেয়ে জীবনে সবার থেকে বেশি উন্নতি করুক এবং তাদের বাচ্চা যেন সবার থেকে আগে থাকে। এই চাওয়াতে কোনো ভুল নেই। কিন্তু এই প্রতিযোগিতামূলক চিন্তা ভাবনার জন্য প্রায়শই বাচ্চারা ভুল করলে তাদের মারধর করা হয়।
এই ব্যবহারটি ভুল। অত্যাধিক বকা ঝকা বা মারধর কিন্তু বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের প্রচন্ড অবনতি ঘটায়। আজ আমরা এই বাচ্চাদের বকা এবং তাদের মানষিক বিকাশের অবনতি নিয়েই আলোচনা করব।
গত ১০-২০ বছরের মধ্যে অনেক গবেষণা করা হয়েছে শিশু মনোবিজ্ঞান নিয়ে। এই গবেষণা এবং পরীক্ষার ফল স্বরূপ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জানা গিয়েছে। বাচ্চাদের মারধর করা কিন্তু তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রচন্ড চাপ ফেলে। এখনকার দিনের বাচ্চারা অনেক বুদ্ধিমান। তারা বাবা মায়ের হাতে মার খাওয়া একদমই ভালো চোখে নেয় না। বেশি শাসন তাদের বাবা মায়ের থেকে দুরে সরিয়ে দেয়।
বাচ্চারা ভুল করলে অবশ্যই মা বাবারা বাচ্চাদের ঠিক পথে নিয়ে আসবেন কিন্তু মারধর করে ঠিক পথে নিয়ে আসা একদম কাম্য না। তাদের ঠিক পথে নিয়ে আসতে হলে তাদের ভালো করে বোঝানো দরকার যে সে যেটা করছে কেন সেটা ঠিক পদ্ধতি কিনা।
ভুল করলে তাদের মারধর না করে তাদের ভুল থেকেই শিক্ষা দেওয়া উচিত।বাচ্চাদের ভালো এবং খারাপের মধ্যে পার্থক্য শেখানো উচিত। তারপর তাদের নিজেকে নির্ণয় করতে দেওয়া উচিত যে তারা কোন পথ বেছে নিতে চায়। কিন্তু সবসময় যদি বাবা মায়ের ইচ্ছাগুলি বকাবকি করে চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বাচ্চারা নিজেদের নির্ণয় করার গুরুত্ব বুঝবে না।বাচ্চাদের নিজেদের নির্ণয় নেওয়া শেখানো উচিত। যাতে তারা ছোট জিনিসের নির্ণয় করে আস্তে আস্তে ভালো এবং খারাপের মধ্যে পার্থক্যটি বোঝে।
বাচ্চাদের ব্রেন পুরোপুরি বিকশিত নাহলেও তারা কিন্তু তাদের মা বাবার স্নেহ বুঝতে পারে। আজকালকার ব্যাস্ত জীবনে অনেকেই বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিয়ে কাজে চলে যান। এইভাবে বাচ্চারা একাকিত্বে ভোগে। তার ফলে বাচ্চারা ক্ষিপ্ত এবং ঘ্যান ঘ্যানে হয়ে ওঠে।
চাকরিতে কঠিন পরিশ্রমের পর বাড়ি আসার পর বাচ্চারা জেদ করলে তাদের খুব বকাঝকা করেন অভিভাবকরা। ছোট বাচ্চাদের সময় দেওয়া কিন্তু খুবই জরুরি। বাচ্চারা একাকিত্বে ভুগলে তাদের মধ্যে একটা ধারণা আসে যে তাদের মা বাবা তাদের সাথে নেই এবং তাদের সব কিছু একাই করতে হবে।
তারপর বাবা মা রা বাড়ি আসার পরও যদি তাদের মার খেতে হয় তাহলে তারা আরো একা হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি যাতে না আসে সেইজন্য অবশ্যই প্রয়োজন যে বাবা মা রা যেন তাদের বাচ্চাদের সাথে যতটা পারা যায় সময় কাটায়।
মা বাবারা অনেক সময় তাদের নৈরাশা তাদের বাচ্চাদের উপর চিৎকার করে বের করেন। এর ফলে কিন্তু বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের অবনতি ঘটে এবং বাচ্চারা তাদের মা বাবাকে ভয় পেতে শুরু করে। বাচ্চারা নিজেদের আত্ববিশ্বাস এবং আস্থাও হারায়। তারা আস্তে আস্তে নিজেদের মধ্যেই গুটিয়ে যায়।
এই আচরণ তাদের মানষিক ভাবে দুর্বল করে তোলে এবং বড় হয়ে উঠলে তারা কারোর উপর বিশ্বাস করতে ব্যার্থ হয়।
বাচ্চারা কোনো ভুল করলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার কিন্তু সেই শাস্তি কিন্তু কোনো দিনই মারধর হতে পারে না। তাদের ছোট কোনো শাস্তি যা নিজেদের ভুল ঠিক করে নিতে শেখাবে বা অন্যদের উপকার করার মতো কাজ দিতে হবে যাতে তারা নিজেদের ভুল থেকে শেখে। বাচ্চারা তাদের মা বাবার কাছ থেকেই শেখে তাই বাচ্চাদের কিছু বলার আগে অভিভাবকদের সেটা মেনে চলতে হবে এবং তারপর শান্তিতে ভালো করে বাচ্চাদের তাদের ভুলটি বোঝাতে হবে। এইভাবে আমরা বাচ্চাদের মানুষ করলে বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, তারা বাবা মাকে ভালোবাসতে এবং বিশ্বাস করতে শিখবে, ঠিক নির্ণয় করতে শিখবে এবং এইভাবে তাদের মানষিক বিকাশের উন্নতি ঘটবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…