আজকাল বাজার চলতি নানারকমের মেকআপ ফাউন্ডশন, ইউটিউব ভিডিও কিংবা বান্ধবীদের পরামর্শ মেনে মেকআপ অ্যাপ্লাই করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সবকিছু করা সত্ত্বেও মুখে একটা কালচে ভাব থেকেই যায়। কিছুতেই বুঝতে পারছেন না এই কালচে ভাব কীভাবে দূর করবেন?
জানবেন কিছু তো নিশ্চয় ভুল করছেন, যার জন্য স্কিনটোন মেনে সঠিক শেডের ফাউন্ডেশান অ্যাপ্লাই করা সত্ত্বেও কালচে লাগছে মুখ। জেনে নিন ফাউন্ডেশন লাগানো সত্ত্বেও কালো হয়ে যাওয়া মুখের প্রতিকার।
১) প্রাইমারের ব্যবহার
- অনেকে মেকআপ করার সময় সরাসরি ফাউন্ডেশান ব্যবহার করে থাকেন, কোনও প্রাইমার ব্যবহার করেন না।
- জেনে রাখুন প্রাইমার যে শুধু রোমকূপগুলিকে লুকোতে সাহায্য করে এমনটাই নয়, সেইসঙ্গে আপনার ত্বক এবং ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটা স্তর তৈরি করতে সাহায্য করে যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক অয়েলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে বাধা সৃষ্টি করে।
- যার ফলে ত্বক আর কালো দেখায় না।
কোন ত্বকের জন্য কোন প্রাইমার
- শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন হাইড্রেটিং প্রাইমার।
- ত্বক তৈলাক্ত হলে ব্যবহার করুন ম্যাটিফায়িং প্রাইমার।
- আর আপনার ত্বক যদি মিশ্র প্রকৃতির হয়, তাহলে এই দুই প্রাইমার কম্বিনেশন করে ত্বকের যে অংশ যেমন সেই অংশে তেমন প্রাইমার অ্যাপ্লাই করুন।
২) সঠিক মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার
৩) সঠিক ভাবে স্কিনকে ব্লটিং না করা
- অনেকেই হয়তো জানেন না, শুধু মেকআপ করলেই হয় না, ভালো করে স্কিনকে ব্লটিং করাও প্রয়োজন।
- এর জন্য ব্যবহার করুন দুই পরত-যুক্ত ফেসিয়াল টিস্যু। প্রাইমার অ্যাপ্লাই করার পর একটি পরত দিয়ে স্কিনকে ভালো করে ব্লট করে নিন।
- তারপর ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর আর একটা পরত দিয়ে আরও একবার ব্লটিং করে নিন।
- এতে করে ত্বকের উপরিভাগের অতিরিক্ত তেল দূর হবে।
৪) ত্বকের যত্নে ভুল করছেন না তো
- অনেকসময়ে ত্বকের সঠিক যত্নের অভাবেও কিন্তু ফাউন্ডেশান অ্যাপ্লাই করার পরেও ত্বক কালো দেখাতে পারে।
- আপনার স্কিন টাইপ অনুসারে, ক্লিনজার, টোনার, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন কিনা, সেই বিষয়ে একবার নিশ্চিত হয়ে নিন।
- যেটা ভালো লাগলো কিনে ফেলে ব্যবহার করতে শুরু করে দিলেন, এমনটা করলে কিন্তু ত্বকের বারোটা বেজে যাবে।
- আর এরপরে যতই মেকআপ বা ফাউন্ডেশান লাগান না কেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বা জৌলুস ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।
- পাশাপাশি যদি ফেসিয়াল বা কোনও স্কিন ট্রিটমেন্ট করাতে চান তাহলে তা করার আগে দেখে নেবেন, তা আপনার ত্বকের ধরণ অনুসারে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।
- এইভাবে রুটিন মাফিক সঠিক স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট করলেই সুফল পাবেন।
৫) ঘন ঘন ব্র্যান্ড পরিবর্তন না করা
- অনেকেই আছেন, যারা বাজারে আসা বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
- কিন্তু অনেকেই বুঝতেন পারেন না যে, এইভাবে বারংবার ব্র্যান্ড বদলানোর কারণে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
- কারণ ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অনুসারে ফাউন্ডেশনের শেড উনিশ-বিশ হয়ে থাকে।
- বারবার ব্র্যান্ড বদলালোন ফলে ত্বকও নতুন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টটির সঙ্গে স্কিনকে মানিয়ে নিতে পারে না।
- ফলে স্কিন প্রাকৃতিকভাবেই নিস্প্রাণ দেখায়। তাই ঘন ঘন ব্র্যান্ড বদলানোর পক্ষপাতী কখনওই হবেন না।
এছাড়াও যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা দরকার
- ত্বকের পিএইচ(pH)-এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কীভাবে তা করবেন। এর জন্য বিশেষ নজর দিতে হবে টোনিং-এর দিকে।
- বাজার চলতি টোনারের থেকে বাড়িতেই প্রাকৃতিক টোনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা ত্বকের ধরণ অনুসারে ব্যবহার করবেন।
- অনলাইনে ফাউন্ডেশন কেনা বন্ধ করুন। না এটা বাধ্যবাধকতা নয়। উপদেশ মাত্র।
- কারণ ডিজিটাল স্ক্রিন দেখে আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ফাউন্ডেশুনটি বেছে নেওয়াটা মোটেই সহজ কাজ নয়। সবসময় দোকানে গিয়ে ফাউন্ডেশান কিনুন।