স্বপক্ষে |
বিপক্ষে |
শক্তিশালী কনফিগারেশন | অত্যধিক ব্লোটওয়ার |
কিউ.এইচ.ডি + রেজল্যুশন প্রদর্শন | ব্যাটারি আরো ভালো হতে পারতো |
চমৎকার কর্মক্ষমতা | |
চমৎকার বিল্ড গুণমান |
পিসি নির্মাতাদের মধ্যে আসুস ছিল প্রথম সারিতে যে পোর্টেবল অথচ শক্তিশালী নোটবুকের শিল্পে কম্পিউটারের আল্ট্রবুক লাইন শুরু করে।সেই প্রথম আল্ট্রবুকের পর চার বছর কেটে গেছে এবং তার সর্বশেষ জেনবুক সিরিজ বাজারে চালু হওয়ার সঙ্গে আসুস কম্পানি দেখিয়ে দিল যে এই খেলায় তারা পারদর্শী।
এই সিরিজের একটা চিত্তাকর্ষক কম্পিউটারের হলো জেনবুক ইউ.এক্স৩০৩ইউ.বি। এটি একটি দামী ল্যাপটপ যার মূল্য হলো ৭০,০০০ – ৮০,০০০ টাকা। এই মেশিনটার পর্যালোচনা করে দেখি।
এই ল্যাপটপের সবিস্তার বিবরণী চমৎকার। এর প্রসেসরের জন্য দুটো কনফিগারেশন বিকল্প আছে – কোর আই৭ ৬৫০০ইউ এবং কোর আই৫ ৬২০০ইউ ৪জিবি ৱ্যাম সহ। দুটোই শক্তিশালী কনফিগারেশন। অন্যান্য বিবরণী হলো ১৩.৩ ইঞ্চি কিউ.এইচ.ডি + টাচস্ক্রীন ডিস্প্লে (৩২০০ X ১৮০০ পিক্সেল), এন.ভি.আই.ডি.আই.এ জিফোর্স ৭৪০ গ্রাফিক্স ২জিবি মেমরী সহ। স্টোরেজ বিকল্প হলো ১২৮, ২৫৬ বা ৫১২ এম.বি এস.এস.ডি অথবা মেকানিকল এইচ.ডি.ডি ৫০০ জিবি বা ১ টিবি মানের। ল্যাপটপে আরো আছে এইচ.ডি. ওয়েব ক্যাম, আধুনিক ওয়াই.ফাই এবং ব্লুটূথ। দেখতে পারছেন নিশ্চয় যে চমৎকার কনফিগারেশন এবং ক্ষমতাপূর্ণ বিকল্প আছে।
সঙ্গে সফ্টওয়ার দেওয়া আছে ৬৪-বিট উন্ডোস ১০ প্রফেশনল বা উন্ডোস ১০ হোম। প্যাকেজে আরো পাওয়া যাচ্ছে এম.এস অফিস ২০১৩ ট্রায়াল এডিশন, ড্রপবক্স, ম্যাকাফী লিভসেফ, এভারনোট, ফ্লিপবোর্ড, টুইটার এবং আসুসের নিজস্ব টুলস যা আপনাকে নিয়োমিত আপডেট করতে মনে করিয়ে দেবে। সেটা অনেকের বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবু বলা যায় এটি একটি উত্তম মেশিন।
২০ মিমি এবং ১.৪৫ কেজি দরে এটি বাজারের সবচেয়ে পাতলা এবং হালকা ল্যাপটপ না, কিন্তু এটা অবশ্যই খুব পাতলা এবং পোর্টেবল। মসৃণ ধাতু ফিনিসের কারণে এটিকে একটি প্রিমিয়াম ল্যাপটপ বলে মনে হয় এবং এটি তিনটি রঙে পাওয়া যায়: আইসিকল গোল্ড, রোজ গোল্ড ও স্মোকি ব্রাউন। সব কটাই অনন্য এবং তাদের নিজস্ব উপায়ে আড়ম্বরপূর্ণ। আপনি ঢাকনার উপরে কোম্পানির পরিচিত সমকেন্দ্রিক রিং প্যাটার্ন দেখতে পাবেন।
এই ল্যাপটপের বিল্ড কোয়ালিটি সম্পর্কে অভিযোগ করার মতো কিছু পাবেন না। কবজা মজবুত এবং আপনি অন্য হাত দিয়ে নিচের বেস না ধরে রেখেও এক আঙুল দিয়ে ঢাকনা উত্তোলন করতে পারবেন। এই ল্যাপটপের উভয় বাম এবং ডান পাশে প্রচুর পোর্ট আছে যেমন তিনটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট, এসডি কার্ড স্লট এবং একটি পূর্ণ আকার এইচ.ডি.এম.আই পোর্ট। এতো পাতলা একটি ল্যাপটপের হিসাবে এগুলো বেশ চিত্তাকর্ষক সম্প্রসারণ ক্ষমতা। ব্যাকলিট কীবোর্ড আছে আসুস কোম্পানির অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেনসর টেকনোলজি সহ, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবেশ অনুযায়ী কীবোর্ডের ব্যাকলাইট নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এতো ক্ষমতাশীল হওয়া সত্যেও জেনবুক ইউ.এক্স৩০৩ইউ.বি চুপচাপ কাজ করে যতক্ষণ না আপনি খুব রিসোর্স আকাঙ্ক্ষী কোন কাজ করছেন। এই সব কারণে এই ল্যাপটপের বিল্ড কোয়ালিটি বেশ প্রশংসনীয়।
যেহেতু এটা অত্যন্ত আধুনিক হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরী, আপনি অভিযোগ করার বিষয়ে কম পাবেন, ব্লোটওয়ার দ্বারা উৎপাদন করা আপডেটের পপআপ ছাড়া। ডিসপ্লে সমানভাবে উজ্জ্বল এবং সাউন্ড কোয়ালিটি সমানভাবে চিত্তাকর্ষক। ফলে অডিও এবং ভিডিও বিভাগে চাহিদার বাকি কিছু নেই। কম্পিউটিং ক্ষমতাও যাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে এবং এটি আপনার দৈনন্দিন কম্পিউটিং কাজগুলোর জন্য যথেষ্টর চেয়েও অনেক বেশী।
আসুস কোম্পানির মতে, এই ল্যাপটপ ৭ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ প্রদান করতে পারে, যা খুব বড় কথা না এই মূল্যের অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় (যেমন ম্যাকবুক এয়ারের ১২ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ)। তবু ৭ ঘন্টা যথেষ্ট দৈনন্দিন কাজের জন্য।
সাধারণত কোম্পানির বিজ্ঞাপনে দেওয়া ৭ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ আপনার ল্যাপটপ সব সময় দিতে পারবে না। প্রকৃত ব্যাটারি লাইফ যেটা পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার ব্যবহারের উপর। আপনি যদি এইচ.ডি ভিডিও দেখেন ইউটিউব বা নেটফ্লিক্সে, তাহলে ল্যাপটপের ব্যাটারি তারাতারি শেষ হবে। গেমিন্গের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। কিন্তু দৈনন্দিন কম্পিউটিং বা ইন্টারনেট চালালে অন্তত ৫ ঘন্টা ব্যাটারি লাইফ থাকবে, যেটা খুব ভালো না হলেও সাধারণভাবে যথেষ্ট।
শেষ পর্যন্ত বলা যায় যে এটি একটি প্রশংসনীয় ল্যাপটপ এমন একটি ব্র্যান্ডের থেকে যাকে ল্যাপটপ নির্মাতা হিসেবে প্রায়ই যথার্থ মূল্য দেওয়া হয় না। এই ল্যাপটপের মূল্য বিরুদ্ধে বিবেচনা করে দেখলে দেখা যায় যে আসুস একটি শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বয় তৈরী করেছে।
শুধুমাত্র হতাশার কারণ হলো ব্যাটারি লাইফ এবং বিরক্তিকর ব্লোটওয়ার। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে এটি একটি খুবই ভালো উচ্চমার্গের ল্যাপটপ যেটা ব্যবহার করে আপনি খুশি হবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…