পাকা, টসটসে, রসালো টমেটো খেতে লাগে বেশ দারুণ। বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি সালাদ, জুস, বা তরকারি হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন ভাবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ টমেটো ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
পাশাপাশি ত্বক থেকে দূর করে ডার্ক সার্কেল, ব্রণ, ও মেছতার দাগ। সবজি হিসেবে খাওয়া এবং সরাসরি ব্যবহার – এইভাবে আপনার সৌন্দর্যের রুটিনে টমেটো অন্তর্ভুক্ত করুন আর পান উজ্জ্বল ত্বক।
মাঝারি সাইজের একটি টমেটো নিয়ে একদম ছোট ছোট, কুচির মতো করে টুকরা করে নিন। এটাই টমেটোর পিউরি। এবার পিউরিটা আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করে নিন ৫ মিনিট ধরে। ১৫-২০ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একদিন পর পর পিউরি ব্যবহার করবেন, আর পেয়ে যাবেন খুব কম খরচে ও পরিশ্রমে উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য টমেটো ও লেবুর ফেসপ্যাক খুবই উপকারী। ১ টেবিল চামচ টমেটো পেস্টের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপরে প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিবেন। সপ্তাহে দুইবার এভাবে মুখ পরিষ্কার করবেন৷ লেবুর ভিটামিন সি এবং মধুর স্কিন ব্রাইটেনিং প্রোপার্টিজ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
একটি টমেটো নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিন। এর সাথে ১ চা চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপরে এই মিশ্রণটি মুখে ধীরে ধীরে ৫-৭ মিনিট ঘষুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন অথবা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে আসলে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন মুখের ত্বক আগের চাইতে অনেক উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, চিনির অ্যাব্রেসিভ উপাদান ত্বকের উপরিভাগ থেকে মৃত কোষগুলো ঝেড়ে ফেলেছে।
টমেটো-ওটসের ফেসপ্যাক ব্ল্যাকহেডস দূর করতে এবং ত্বকের মসৃণ করার জন্য বেশ উপকারী। দারুণ এই ফেসপ্যাকটি বানানোর জন্য আপনাকে নিতে হবে ২ চা চামচ টমেটো পাল্প, ১ টেবিল চামচ ওটস, এবং ১ টেবিল চামচ টকদই। সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ১০ মিনিট ধরে মুখে মাসাজ করুন। ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷ ওটস ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে এবং বাড়তি তেল শুষে নেয়। টকদই ত্বকের ময়লা দূর করে, রোদে পোড়া ভাব কমায়, এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। যখন টমেটোর সাথে থাকে ওটস এবং টকদই, মুখের জেল্লা দিয়ে মাত করা হয়ে যায় বাঁ হাতের খেল!
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে টমেটোর উপকারিতা আমরা সবাই জানি। শুধু টমেটোর রস মুখে লাগানোর চাইতে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করে দেখুন, আরো ভালো ফল পাবেন। বড় একটি টমেটোর থেকে রস বের করে নিন। এর সাথে শঙ্খের গুঁড়া ও গোলাপজল দুটোই ১ চা চামচ করে মিশিয়ে নিন। ত্বকে মিশ্রণটি ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহারে পোড়া দাগ দূর হয়ে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
একটি টমেটোর রস, ১ টেবিল চামচ বেসন, ৩-৪ ফোঁটা মধু একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে আসলে ধুয়ে ফেলুন। মলিন ত্বককে উজ্জ্বল করতে উপকারী এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে চারবার ব্যবহার করবেন।
একটি টমেটো, ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, এবং ৫-৬ টি জাফরানের কেশর একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। পরিষ্কার মুখের ত্বকে, গলায়, এবং ঘাড়ে এই প্যাকটি আলতো করে মাসাজ করুন ১০ মিনিট ধরে। তারপর হালকা গরম পানিতে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা হবে এবং ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
অর্ধেকটা টমেটো গ্রেট করে তাতে ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ টকদই মিশিয়ে নিন। পুরো মুখ সহ গলায় ও ঘাড়ে এই ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন৷ ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিনদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া তারুণ্য ও উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।
অর্ধেকটা টমেটো গ্রেট করে রস বের করে নিন। এর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল টমেটো আর মধুর ফেসপ্যাক। মুখের ত্বক, গলা, এবং ঘাড়ে এই প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিনদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন।
মাঝারি একটি শসা ও টমেটো একসাথে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। তারপরে কাচের জারে সংরক্ষণ করে ফ্রিজে রেখে দিন। এই মিশ্রণ টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত। এই টোনারটি আপনার ত্বক নরম, কোমল, এবং উজ্জ্বল রাখবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…