ঘন কালো,স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় আমরা কত কিছুই না করি।সুন্দর চুলের আড়ালে রয়েছে রহস্য।আর সেই রহস্য হলো চুলে পুষ্টি উপাদনের যোগান।আমরা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।এজন্য সুন্দর চুল পেতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য অবশ্যই খেতে হবে।ফলমূল,শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।মনের মতো ঘন ও মজবুত চুল পেতে ভিটামিনযুক্ত শাকসবজি খান।
আমরা প্রায় সময়ই চুলের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই।সব বয়সের নারী-পুরুষেরই অপুষ্টিজনিত কারণে চুলের নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়।চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়ে যায় অথবা রুক্ষ হয়ে যায়।
ঘরোয়াভাবেই এসকল সমস্যা সমাধান করা যায়।চুলের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা গেলে আপনার চুল তরতর করে বৃদ্ধি পাবে।চুলের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের যোগান আছে এমন একটি ফল আমলকী।বিভিন্ন প্রাকৃতিক গুণাগুণ সম্পন্ন ফল আমলকী চুলের যত্নে বেশ কার্যকরী।আমলকীতে ভিটামিন,মিনারেল ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান আছে।চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে আমলকীর জুড়ি নেই।
আমলকী বাজারে সহজেই পাওয়া যায়।তাই আমলকী দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন হেয়ার প্যাক যা সেফ তো বটেই,আর নিজে প্যাক বানিয়ে মাখতে বেশ ভালোই লাগবে।তাই দেখে নিন কি কি প্যাক তৈরি করবেন।
উপকরণ
শুকনো আমলকীর গুঁড়ো ১ চা-চামচ,হরিতকির গুঁড়ো ১ চা-চামচ,বহেরা গুঁড়ো ১ চা-চামচ,ডিম (সাদা অংশ) ১টি।
ব্যবহার বিধি
শুকনো আমলকী,হরিতকি এবং বহেরা ভালোভাবে পিষে নিন।বাজারে এখন এগুলোর গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়।চাইলে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন।একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।এর মধ্যে বাকি উপকরণগুলো ঢেলে মেশাতে থাকুন যতক্ষণ পুরোপুরি মিশে না যায়।চুলে আলতো করে কিছুক্ষণ নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন।এবার একটি ব্রাশ দিযে প্যাকটি সম্পূর্ণ মাথায় লাগান।প্যাকটি শুকিয়ে গেলে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।আমলকী,হরিতকি এবং বহেরা ভেষজ উপাদানে সমৃদ্ধ।প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়।ফলে চুল হয়ে ওঠে মজবুত ও ঝলমলে।
উপকরণ
সতেজ কাঁচা আমলকী ১০-১২টি,নারিকেল তেল ২টেবিল-চামচ।
ব্যবহার বিধি
কাঁচা আমলকীর বীজ ছাড়িয়ে শাঁসগুলো আলাদা করে নিন।এর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন খুব বেশি পাতলা না হযে যায়।এর সাথে নারিকের তেল মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ব্লেন্ড করুন।প্যাকটি পাতলা মনে হলে শুকনো আমলকীর গুঁড়ো মেশানো যেতে পারে।একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে মাথার তালুতে এবং সম্পূর্ণ চুলে মেখে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।কাঁচা আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে এবং রেশমী কোমল চুল পেতে প্যাকটি খুবই কার্যকরী।
উপকরণ
মেহেদি পাতা বাটা ২-৩ টেবিল-চামচ,আমলকীর গুঁড়ো ১ টেবিল-চামচ,ডিম ১টি,লেবুর রস ২ চা-চামচ।
মেহেদি পাতা খুব মিহি করে বেটে নিন।মেহেদি পাতার শুকনো গুঁড়োও ব্যবহার করা যেতে পারে।এর সাথে আমলকীর গুঁড়ো মেশান।কুসুম সহ একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন।এখন সবগুলো উপকরণ এক সাথে খুব ভালোভাবে মেশান।ডিমের গন্ধ এড়াতে এর সাথে লেবুর রস মেশান।চুলে কুসুম গরম নারিকেল তেল ৫-১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।এবার চুলের গোড়ায় গোড়ায় প্যাকটি লাগিয়ে নিন।সম্পূর্ণ চুলে লাগানো হলে ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত আর্কষণীয় চুল লাভ করুন।মেহেদি পাতা চুলের গোড়াকে শক্ত করে।মেহেদি পাতা নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঝরে পড়া বন্ধ হয়।ডিমের প্রোটিন চুলে পুষ্টি যোগায়।
তাহলে এবার চুলের পুষ্টির জন্য আর বাইরের কিছু নয়,ঘরে বসেই সুন্দরভাবে চুলকে হেলদি আর স্টাইলিশ করে তুলুন।আর এই চলার পথে আমলকীর হাত ধরুন নিশ্চিন্তে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…