ছোট থেকেই বড় হয়ে কি হবে এই নিয়ে অনেকের দুচোখে রঙিন স্বপ্ন থাকে। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষক বা অফিসার ইত্যাদি। তবে যারা মাটির মায়া কাটিয়ে আকাশ ছোঁওয়ার প্রত্যাশায় থাকেন তাদের কাছে এয়ার হোস্টেস বা বিমানসেবিকার জব যে মেঘ না চাইতেই জল সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
যাত্রীদের আবশ্যকীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত করানো, আপত্কালীন ব্যবস্থা নিয়ে জানানো, দেখভাল করা সবই তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শত ঝঞ্ঝাট এর মধ্যেও সর্বদা হাসিমুখে তাদের কাজ করে যেতে হয়। চলুন, জেনেনি আজ এই বিশেষ পেশায় আসতে গেলে কি কি করতে হবে আপনাকে।
দশ বছর কাজের পর এই জবে পদোন্নতির সুযোগ পাওনা যায়। এয়ারহোস্টেস পদ এর পর গ্রাউন্ড হোস্টেস, চেক হোস্টেস বা এয়ারহোস্টেস ট্রেনার ইত্যাদি পদে যোগদান করা যায়।
যেকোনো শাখার গ্রাজুয়েটরা বা ১০+২ যোগ্যতার ভিত্তিতেই এই চাকরিতে পা রাখা যায়।
যেহেতু এই জবে তারুণ্যকে সামনে রেখে পরিষেবার মানদন্ড নির্ধারিত হয় তাই এর বয়সের সময়সীমা থাকে ১৮-২৬। তাই অনেকটা আগে থেকেই এর জন্য তৈরী হয়ে থাকা ও পরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া দরকার। এস্পিরেন্টকে অবিবাহিত হতে হয়।
একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় উড়ান এর জন্য শারীরিক উচ্চতা গুরুতপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। সেই জন্য মিনিমাম ১৫৭.৫ সেন্টিমিটার বা ৫.১৬ ইঞ্চি উচ্চতা ধার্য করা হয়ে থাকে।
কাজের সংশ্লিষ্ট চাহিদার কারণেই আইসাইট প্রখর হওয়া শ্রেয়। দুটি চোখেই দৃষ্টিশক্তির পরিমাপ ৬/৬ বা ৬/২৪ হতে হয়। বর্ণান্ধতা থাকা চলবেনা।
এয়ার লাইন্স এর পরিধি সারাবিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকায় কথোপকথন এর জন্য ও অনান্য আনুসঙ্গিক কাজ করার জন্য ইংরেজি বলতে, লিখতে ও পড়তে খুব ভালোভাবে জানা দরকার। এছাড়াও বিদেশী কিছু ভাষা যেমন রাশিয়ান, জার্মান, ফ্রেন্চ ইত্যাদি জানা থাকলে বা এগুলোর উপর কোর্স করা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থতা একান্তভাবেই কাম্য। বহাল করার আগে মেডিকেল টেস্ট করিয়ে নেওয়া হয় তাতে উত্তীর্ণ হতে হয়। কোনোরকম মানসিক অসুস্থতার রেকর্ড থাকা যাবে না।
এই পেশায় বিহেভিয়ার বা আচরণের গুরুত্ব সবচয়ে বেশি। যোগ্যতার থেকেও বেশি অনুশাসনের উপর জোর দেওয়া হয় তাই কিছু শর্ত স্বাভাবিকভাবেই অন্যতম ক্র্য়াইটেরিয়া হিসেবে উঠে আসে।
গলার মিষ্টতা গুড লুকস ফ্রেন্ডলি ব্যবহার ও সামাজিক ইন্টারএকশনের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
ভাষাগত জ্ঞান ও কমিউনিকেশন স্কিল এর উপর নজর দেয়া হয়।
ফ্লাইটে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে অথবা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং অথবা প্যাসেঞ্জার অসুস্থ হলে বা প্যানিক করলে কখনো মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা আবার কখনো ভাবনাচিন্তার অভিনবত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয়।
বিমানে কেবিন ক্র’দের সাধারনত ১২-১৪ জনের টিম থাকে। তাই দৈনিক কাজ ও দায়িত্ব একে অপরের সাথে বোঝাপড়া ও সদ্ভাব বজায় রাখা উহ্য হয়ে পড়ে।
যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখে কাজ করতে হয়। মোদ্দা কথা হলো ওয়ার্কলোড নেবার।
প্যাসেঞ্জারদের বায়ান্নক্কা সামলানো হোক বা ফ্লাইট ডিলে বা টেকনিক্যাল সমস্যা এসবের ক্ষেত্রে কাজের নরমাল এর থেকে ৩-৪ঘোন্ত মত বাড়তে পারে। তাই পরিবর্তিত সব পরিস্থিতি তে মানিয়ে নেবার মত ধৈর্য্য ও মানসিক কাঠিন্য রাখতে হয়।
কয়েকটা ধাপে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
এই ধাপে গণিত,রিজনিং ও জেনারেল নলেজ এর উপর এমসিকিউ প্যাটার্ন এ প্রশ্ন থাকে। ভালো প্রস্তুতি ও অধ্যাবসায় দিয়ে যা উতরে দেওয়া যেতে পারে।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে গ্রূপ ডিসকাশন এর জন্য ডাক আসে। দলে আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধি, তাত্ক্ষণিক বিচারবোধ, বাচনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতার মত বিষয় গুলি সুক্ষ্মভাবে যাচাই করে নেব হয়। পরিমিত এটিচিউড ও নিয়মিত অনুশীলন করলে সাফল্য পাওয়া যায়।
এই সর্বশেষ পর্যায়। বোর্ড প্যানেল এর সামনে উপস্থিত হয়ে নিজের যোগাযোগ ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বের ইন্টিগ্রিটির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিজেকে উন্নীত করতে হয়।
ইন্টারভিউতে ছাড়পত্র পেলে এয়ারলাইন্স সংস্থার তরফে বাছাই করে ৬ মাসের ট্রেনিং পর্ব শেষ করে বিমানসেবিকা পদে অধিষ্ঠিত হওয়া যায়।
বিভিন্ন ইয়ার্লায়নস সংস্থা অনুযায়ী বেতনের হেরফের ঘটে থাকে। তবে গড়ে বিমান্সেবিকাদের বেতন ইনিশিয়াল স্টেজ এ ২০ হাজার থেকে ৮০ হাজার এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ডোমেস্টিক এয়ারলায়েন্স স্যালারি রেঞ্জ হয় ৪০ হাজার অব্দি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেটার অঙ্ক হয় প্রায় ৮০ হাজার মত। অবশ্য ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স এর উপর ভিত্তি করে এর হেরফের হতে পারে।
এর সাথে থাকে ফ্লাইট এর টিকেট এর উপর ডিসকাউন্ট,মেডিক্যাল ইনসিউরেন্স ও রিটায়ারমেন্ট পরবর্তী অনান্য সুযোগ-সুবিধে।
কোর্সের প্রকারভেদ অনুযায়ী সার্টিফিকেট কোর্স থেকে মাস্টার্স কোর্স পর্যন্ত করতে পারেন। ১০+২ যোগ্যতাতেই আবেদন করার যোগ্য হবেন। কোর্সের মেয়াদ হবে সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত।
যোগাযোগ নম্বর – 022-26262200
যোগাযোগ নম্বর – 0141- 2792359, 2791654
যোগাযোগ নম্বর – 044-42948000
যোগাযোগ নম্বর – 080-30578222/27-29
যোগাযোগ নম্বর – 011 – 47096060, 9891984999
যোগাযোগ নম্বর – 022-66611581-86, 66611590
যোগাযোগ নম্বর – 020-66048421-29
যোগাযোগ নম্বর – 022 – 26706039,26706040
যোগাযোগ নম্বর – 011 – 26255061,26255064
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…