বেশ কয়েক বছর ধরেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিনী মৈত্র। এমন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ত্বক এবং সুন্দর চেহারা ধরে রাখার রহস্যটা কী, নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে আপনাদেরও? তবে আপনারা যদি ভেবে থাকেন এমন সুন্দর শারীরিক গঠন এবং সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটান, তাহলে আপনাদের ধারণা ভুল। বিভিন্ন সময় একাধিক সংবাদমাধ্যমে রুক্মিনী যেটা শেয়ার করেছেন তা জানলে অবাক হবেন আপনারাও।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, বাহ্যিক সৌন্দর্য তখনই ফুটে ওঠে যদি আপনার আভ্যন্তরীন সৌন্দর্য এবং সুস্থতা সাথ দেয়। তাই বাইরে থেকে সুন্দর দেখতে লাগার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই প্রয়োজন। আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন এমন সুন্দর চেহারা ধরে রাখার জন্য রুক্মিনী নিশ্চয় ডায়েট কন্ট্রোল করেন। কিন্তু আসল কথা হল রুক্মিনী দিনে চারবেলা ভাত খান! অবাক হলেন নিশ্চয়, বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। রুক্মিনী জানান যে, কেউই তাঁর কথা বিশ্বাস করেন না, কিন্তু তাঁকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা সকলেই জানেন যে, রুক্মিনী দিনে চারবার ভাত খেয়ে থাকেন। তাঁর কথায়, রুটি খেলে তাঁর মনে হয় যেন পেট ভরে কিছু খাওয়াই হয়নি। অনেকেই তাঁকে বলেন যে, একবেলা ভাত খেয়েও তাঁরা মোটা হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু রুক্মিনী ভাত ছাড়া চলতেই পারেন না।
রুক্মিনী আরও বলেন যে, অনেকে রোগা হওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন, অনেকে তো আবার সবার আগে ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ভাত খেলে ত্বক এবং চুলে জেল্লা বাড়ে। এক থালা গরম ভাতের সঙ্গে বেশ খানিকটা মাখন আর আলুসেদ্ধ তাঁর খুবই পছন্দের। তবে বৃষ্টির দিনে ভাজাভুজি মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা মারাত্মক বেড়ে যায় তাঁর। তবে রুক্মিনী আরও বলেন যে, তিনি এমনটা বলছেন না যে, সবাই তাঁর মেনে চলা ডায়েট প্ল্যান ফলো করুক, কিন্তু তাঁর সাফ বক্তব্য, সবার আগে আপনাকে আপনার শরীরটাকে বুঝতে হবে, শরীরের চাহিদা অনুযায়ী চললে, তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
এটা শুনে তো অনেকেই অবাক হবেন যে অভিনেত্রী হয়েও জিম-যোগার ধার ধারেন না রুক্মিনী। একটি সাক্ষাতকারে একবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি জিম করেন না, যোগ ব্যয়ায় করেন না। সারা জীবনে মাত্র ৩বার জিমে গিয়েছেন রুক্মিনী। তবে নায়িকার সাফ বার্তা কার শরীরে কতখানি ব্যায়ামের প্রয়োজন, তা না জেনে নিজে থেকে জিম বা যোগা করা উচিত নয়। সত্যি সকলের ভাগ্যে এমন স্বাস্থ্য জোটে না, বলতেই হবে আপনি খুবই লাকি রুক্মিনী।
সানস্ক্রিনের প্রতি একটা বিশেষ ভালবাসা আছে রুক্মিনীর। ট্যানের হাত থেকে বাঁচতে সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তিনি। আর এছাড়া ত্বককে ডিহাইড্রেশনের থেকে বাঁচাতে একটা ডে ক্রিম আর একটা নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তিনি।
বাতাসে যখন আর্দ্রতা বেড়ে যায় তখনই চুলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বলে মনে করেন রুক্মিনী। আর সেই কারণেই তিনি ২ সপ্তাহে একবার অয়েল মাসাজ করেন এবং সপ্তাহে ৩দিন শ্যাম্পু করেন। আর বাইরে বেরলে কেবল টপ নট করেন।
শ্যুটিং না থাকলে মেকআপ করা একেবারে না-পসন্দ রুক্মিনীর। আর সেই কারণেই এমনি সময়ে নো-মেকআপ লুক রুক্মিনীর বিশেষ পছন্দের। কারণ তিনি মনে করেন, ত্বকেরও খুলে শ্বাস নেওয়াটা জরুরী। আর সেইকারণে শ্যুটিং ছাড়া এমনি সময় তাঁর সহজ মেকআপ টিপস হল, আইব্রো ব্রাশ করা, লাইট পাউডার অ্যাপ্লাই করা, একটা লিপবাম আর চোখে মাস্কারা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…