আপনাকে যদি এই সময়ে দাঁড়িয়ে টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত আর জনপ্রিয় নায়িকাদের নাম বলতে বলা হয়, তাহলে মধুমিতা সরকারকে বাদ দিয়ে সেই তালিকা পূরণ হবে না। ধারাবাহিক থেকে শুরু করে বর্তমানে সিনেমা, নিজেকে তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর রয়েছে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, যার মূল হল তাঁর ফিগার। কীভাবে নিজেকে মেইন্টেইন করেন মধুমিতা এতো ফিট থাকার জন্য?
সকালে মধুমিতা পছন্দ করেন গ্রিন টি। আমরা জানি গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য কতো ভাল। বিশেষ করে যারা ডায়েট করছেন তাঁদের জন্য তো গ্রিন টি মাস্ট। গ্রিন টি আমাদের মধ্যে অনেকটা এনার্জি দেয়, আমাদের ডি-ট্যান করে। আমাদের স্কিনে একটা আলাদা গ্লো আসে রোজ অন্তত একবার করে গ্রিন টি খেলে। মধুমিতার দিন শুরু হয় তাই গ্রিন টি দিয়ে।
নিজেকে ঝরঝরে রাখার জন্য ব্রেকফাস্ট খান খুবই সাধারণ ধরণের। কখনও ব্রাউন ব্রেড, ডিমের সাদা অংশ আবার কখনও স্যালাড আর ফলের রস, মিলিয়ে মিশিয়ে এই সব জিনিস দিয়েই মধুমিতা নিজের ব্রেকফাস্ট সেরে নেন। কখনও থাকে গোটা ফল আবার ড্রাই ফ্রুটস কিছু। খুব একটা ভারী খাবার পছন্দ নয় মধুমিতার।
লাঞ্চে মধুমিতা কার্বোহাইড্রেট যতটা কম রাখা যায় সেটাই চেষ্টা করেন। রুটি হলে একটা রুটি আর অল্প ভাত খান। তার সঙ্গে অবশ্যই তরকারি, সবজি তো থাকেই। বেশি করে সবজি খাওয়ার পক্ষপাতী মধুমিতা। মাছ থাকলে মাছ খান। প্রোটিন খাওয়ার দিকে অবশ্যই নজর দেন তিনি। সুতরাং চিকেন, ডাল এইসব জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকে মধুমিতার ডায়েটে।
বিকেলে আলাদা করে ভারী কিছু খেতে মধুমিতা রাজি নন। এই সময়ে তিনি ফল খান। ফলের পাশাপাশি যদি মনে হয় একটু টক দই খেয়ে নেন তিনি। এতে শরীর বেশ ঠাণ্ডা থাকে আর পেট ভরতি থাকে। এনার্জিও পাওয়া যায় ভাল। অল্প একটু বাদাম জাতীয় কিছু মাঝেমাঝে খান তিনি।
ফিট থাকতে হবে, অথচ এক্সারসাইজ করব না, তা তো হয় না। অন্য সময়ে নিয়ম করে জিমে যান মধুমিতা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে জিমে যেতে না পাড়ার জন্য ঘরেই এক্সারসাইজ করেছেন মধুমিতা। আমরা অনেক সময়ে ভাবি যে ঘরে এক্সারসাইজ করে কি ফিট থাকা সম্ভব! অবশ্যই যে সম্ভব তা মধুমিতাকে দেখলেই বুঝতে পারা যায়। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের পাশাপাশি হাল্কা ডাম্বল নিয়ে শরীরচর্চা করেন মধুমিতা। যোগাসন এই সময়ে তাঁকে বেশ সাহায্য করেছে ফিট থাকতে। আপনারা ইউটিউবে ভিডিয়ো পেয়ে যাবেন মধুমিতার শরীরচর্চার। আপনারাও কিন্তু খানিক চেষ্টা করতে পারেন এই সব দেখে কীভাবে ফিট থাকতে হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে যে ফিট থাকা যায় না সেটা মধুমিতা খুব ভাল বোঝেন। তাই নিয়ম করে অন্তত সাত ঘণ্টা তিনি অবশ্যই ঘুমিয়ে নেন। এর ফলে খাবার ভাল করে হজম হয়, খাবার জমে ফ্যাট হয়ে যায় না। তাই আমরা অনেক বেশি ফিট থাকতে পারি। ঘুমের সঙ্গে তাই কম্প্রোমাইজ একদম করবেন না।
জল ফিট থাকতে খুব সাহায্য করে। ফিট থাকা মানে তো খালি সিক্স প্যাক হওয়া নয়, ভিতর থেকে ভাল থাকা। আর ভিতর থেকে ভাল থাকার জন্য দরকার শরীরে পর্যাপ্ত জল বা ফ্লুইডের যোগান ঠিক থাকা। এর জন্য আপনি জল খান দিনে অন্তত তিন লিটার, মধুমিতাও জল বেশি খান। এর সঙ্গে মাঝে মাঝে ফলের রস, ডাবের জল খেলে শরীর নির্দিষ্ট মিনারেলস পাবে। এতে অনেক ফিট থাকবেন আপনি।
মধুমিতার মতো আপনিও যদি ফিট থাকতে চান তাহলে নিজের ডায়েটের দিকে মন দিন। কার্বোহাইড্রেট কম করে প্রোটিন খান খুব ভাল করে। আর স্ট্রেস কম করে নিজের দিকে মন দিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…