খুশকির সময় কম বেশি আমরা সবাই ভুগি। আগের দিন পর্ব ১ এ ঘরোয়া কয়েকটি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ আরও ৯টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। আর খুশকির সমস্যা থেকে থাকুন মুক্ত। খুব সহজ টিপস যা অল্প সময়ের মধ্যেই আপনাদের দেবে ভালো ফলাফল। চুলের সার্বিক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।
ভিনিগারও আপনার চুলের জন্য খুব কার্যকরী। আপনি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এটা কী সুন্দর ভাবে খুশকি দূর করছে।
উপকরণঃ ৩ চামচ ভিনিগার, গরম জল
পদ্ধতিঃ এক কাপ গরম জলে ভিনিগার নিয়ে মেশান। তারপর সেই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগান। এটা আপনার খুশকি খুব সুন্দর করে দূর করবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুশকি দূর করার খুব কার্যকরী উপাদান। এখন থেকেই ব্যবহার করা শুরু করুন।
উপকরণঃ এক কাপ জল, এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, কয়েকটি পুদিনা পাতা।
পদ্ধতিঃ জলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে তা খানিক গরম করে নিন। এবার এতে কয়েকটি পুদিনা পাতা রেখে দিন। এবার এই মিশ্রণটা ঠাণ্ডা হতে দিন। হাল্কা হাতে এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগান। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেনই খুশকির সমস্যায়।
চন্দন ত্বকের জন্য ভালো তো সবাই জানেন। কিন্তু চুলের জন্যও যে ভালো সেটা কী জানেন? না জানলে আজ থেকে চন্দন তেল খুশকি মেটাতে ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।
উপকরণঃ ৪ ফোঁটা চন্দন তেল, ৫ ফোঁটা লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ দুটি উপকরণ মিশিয়ে চুলে লাগান। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন আর তারপর ধুয়ে নিন। এটা যেমন স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে, তেমনই চুলের সামগ্রিক পুষ্টি ধরে রাখবে।
চুলের জন্য আমলার ব্যবহার তো নতুন নয়। খুশকি থেকে শুরু করে চুলের যে কোনও সমস্যা সমাধানে এক নম্বর দাওয়াই এই আমলাই।
উপকরণঃ ২ চামচ আমলা পাউডার, ৫-৬ টা তুলসী পাতা।
পদ্ধতিঃ জলে আমলা পাউডার, তুলসী পাতার পেস্ট মিশিয়ে নিন ভালো করে। তারপর সেই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট মতো। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে এক দিন এটা করতেই পারেন।
খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরা এখনও ব্যবহার করেননি? তাহলে আর দেরি কেন! আজই শুরু করুন।
উপকরণঃ অ্যালোভেরা জেল
পদ্ধতিঃ অ্যালোভেরা জেল মাথায় লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। সকালে শ্যাম্পু করে নিন। এই সহজ পদ্ধতি দেখবেন কত কাজ দেবে।
ডিম শুধু খুশকি দূর করে তাই নয়, ডিমের প্রোটিন চুলের আগা মজবুত করে। তাই রোজ ব্যবহার শুরু করুন আজ থেকেই।
উপকরণঃ ডিম, জল
পদ্ধতিঃ ডিমের সাদা আর হলুদ এই দুই অংশই জলে মিশিয়ে নিন। তারপর তা চুলে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত এটা ব্যবহার করুন স্নানের আধ ঘণ্টা আগে। দেখবেন কত সহজে খুশকি চলে যাচ্ছে।
খুশকি থেকে বাঁচতে আরেকটি উপাদান হল হুইট জার্ম অয়েল।
উপকরণঃ কয়েক ফোঁটা হুইট জার্ম অয়েল
পদ্ধতিঃ হুইট জার্ম অয়েল প্রথমে গরম করে নিন। তারপর তেল মাথায় মেখে তোয়ালে চাপা দিন মাথায়। তোয়ালেটা অবশ্যই আগে গরম জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। তবে অতিরিক্ত জল চিপে বের করে নিতে হবে। আধ ঘণ্টা রেখে মাথা ধুয়ে নিন।
গোলমরিচ খেতে যেমন ঝাঁজালো, খুশকি দূর করতেও তেমনই কার্যকরী। তাই গোলমরিচ এবার চুলের যত্নে ব্যবহার করুন।
উপকরণঃ ৩ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, সামান্য দুধ, ২ চামচ লেবুর রস
পদ্ধতিঃ সবকটি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি পালাবার পথ পাবে না।
মেথিও খুশকি দূর করে খুব কার্যকরী ভাবে। তাই মেথির হাত ধরতেই পারেন।
উপকরণঃ হাফ কাপ মেথি দানা
পদ্ধতিঃ মেথি আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন জলে। পরের দিন সেটা বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগান আর ৪০ মিনিট মতো রেখে দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে তিন দিন করতে পারেন এটি ব্যবহার।
আশা করি, উপরের এই ১৭ টি ঘরোয়া উপায় আপনাদের চিরতরে খুশকির হাত থেকে রক্ষা করবে। এই রকম আরও টিপস পেতে চোখ রাখুন দাশবাসের পেজে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…