বাবা-মায়েরা চান তাঁদের সন্তান যেন বেশ লম্বা-চওড়া আর স্বাস্থ্যবান হয়। আজকের দুনিয়ায় প্রায় বেশির ভাগ বাচ্চাই তাদের বাবা-মায়েরা ছোটবেলা যেমন ছিলেন তার থেকে বেশি লম্বা। কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু বাচ্চা রয়েছে যারা ঠিক সেরকম লম্বা নয়। এই নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই।
কিন্তু জানেন কী, একটু ভালো খাবার যা গ্রোথ বাড়ায় আর একটু ব্যায়ামই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। এর জন্য কিন্তু কোনও ওষুধের দরকার হয় না। তাহলে দেরি না করে আসুন দেখে নিই কীভাবে আপনার সন্তান লম্বা হতে পারে।
আগে মাথায় এটা রাখার যে উচ্চতা বৃদ্ধি কিন্তু কোনও ম্যাজিক নয় যে রাতারাতি সেটা হয়ে যাবে। টিভির বিজ্ঞাপনে অনেক সময়ে দেখা যায় অনেক ব্র্যান্ড এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দেয় যেন মনে হয় কয়েক সপ্তাহে উচ্চতা বেড়ে যাবে। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা তা নয়। তাদের কোনও প্রভাবই পড়ে না আপনার বাচ্চার শরীরে। অন্য দিকে আবার ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ালে তার অন্য প্রভাব পড়ে। তাই বিজ্ঞাপনের চমকে পা দেবেন না। এটা ছাড়াও অন্য ভাবে আপনার বাচ্চার লম্বা হওয়া সম্ভব। তার জন্য শুধু চাই ধৈর্য আর কিছু নিয়ম।
আপনি যদি চান আপনার সন্তান সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠুক তাহলে ওর থেকে চিপস, বার্গার, কোল্ড ড্রিঙ্কস এসব সরিয়ে নিন আর ভালো খাবারের অভ্যাসের মধ্যে রাখুন। জাঙ্ক ফুডের বাইরে ভালো খাবার কিন্তু সব সময়েই আপনার সন্তানকে সব দিক থেকে মজবুত করবে।
দেখবেন শিশুর থালায় যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সব সমান পরিমাণে প্রবেশ করতে পারে। আর কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট যেন বেশি শরীরে না যায়। প্রোটিনের মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম, সয়াবিন আর ডেয়ারি প্রোডাক্ট যেন অবশ্যই থাকে। এগুলো পেশি মজবুত করবে, হাড় শক্ত করে আর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কেক, পেস্ট্রি, সোডা, মিষ্টি এই সবের থেকে দূরে থাকাই ভালো। ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম যেন শরীর পায়। ক্যালসিয়ামের জন্য সবুজ সবজি, ডেয়ারি প্রোডাক্ট খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে জিঙ্ক খুব ভালো উচ্চতা বাড়ায়। তাই জিঙ্ক আছে এমন খাবার যেমন পিনাট বাদাম, কাঁকড়া, কুমরো খান।
স্ট্রেচিং ব্যায়াম উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য খুব দরকার। আপনি আপনার বাচ্চাকে বলতে পারেন দেওয়ালের দিকে উলটো দিক করে দাঁড়াতে পিঠে ভর দিয়ে। তারপর হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে স্ট্রেচ করতে। আবার একই ভাবে দেওয়ালের দিকে উলটো দিক করে পিঠে ভর দিয়ে পায়ের আঙ্গুলের উপর বসুক। তারপর যতখানি সম্ভব নিজের পায়ের পেশি স্ট্রেচ করুক।
এটা দশ বার করে দিনে দু বার করুক। আরেকটা ব্যায়াম আছে খুব ভালো। মাটিতে আপনার বাচ্চাকে শুতে বলুন চিত হয়ে। তারপর কোমর পর্যন্ত উঠে পায়ের বুড়ো আঙুল ধরতে বলুন। এতেও কিন্তু খুব ভালো পেশির বৃদ্ধি হয়।
আপনার বাচ্চা রোজ মাঠে বা বাড়িতে কোনও উঁচু বার ধরে ঝোলে তো? তাহলে খুবই ভালো। এটা তার স্পাইনের গঠনে খুব কাজে দেবে। পুল আপ আর চিন আপ এর মতো ব্যায়ামও করতে পারে। এই সবই উচ্চতা বাড়ানোর জন্য খুব ভালো।
যোগা বা আসন কিন্তু খুব কার্যকরী বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য। এ ক্ষেত্রে আপনি সূর্য নমস্কার বেছে নিন। এটি সম্পূর্ণ ভাবে আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির খেয়াল রাখবে। শুধু শুরুর আগে যেন সাধারণ ব্রিদিং অভ্যাস করে নেয়। আরেকটি ভালো আসন হল চক্রাসন। এক্ষেত্রে শুরুতে বাচ্চাকে মাটিতে শুতে হবে চিত হয়ে। তারপর পা ভাঁজ করতে হবে। হাত কনুই পর্যন্ত ভাঁজ করে মাথার পিছনে কানের কাছে রাখতে হবে।
এবার হাত আর পায়ের জোরে শরীর তুলতে হবে। তারপর হাত আস্তে আস্তে পিছনে এনে পায়ের পাতা ছুঁতে হবে। তখন শরীরের আকৃতি হয়ে যাবে চক্রের মতো। এটিও স্পাইনের গঠন খুব ভালো করে।
এটি বাচ্চাদের খুব প্রিয় একটা খেলা। এতে অনেক বার বাচ্চাকে শূন্য থেকে উপরে উঠতে হয়। ফলে কিছু ইঞ্চি উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা সব সময়ে থেকেই যায়। তাই বাচ্চাদের এটি অভ্যেস করতে বলুন।
সাঁতারকে সারা শরীরের ব্যায়াম ধরা হয়। যারা কিছু ব্যায়াম করতে পারে না তারা সাঁতার কাটলে সব উপকার পেতে পারে। এতে হাত পায়ের সামগ্রিক ব্যায়াম হয়। তাই বাচ্চা সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। এটি একটি অন্যতম স্ট্রেচিং এক্সারসাইজও বটে।
এটি আরেক অনবদ্য ব্যায়াম। এটি মূলত শরীরের নিচের অংশের বৃদ্ধির জন্য বেশি কাজ দেয়। পায়ের হাঁটুর কাছে যে কার্টিলেজ আছে তা এই ব্যায়ামের ফলে বৃদ্ধি পায়। ফলে আপনার বাচ্চার উচ্চতা বাড়ে। কিন্তু খুব বেশি ভার যেন আপনার বাচ্চা না নিয়ে ফেলে।
এটি আরেকটি উপকারী ব্যায়াম যা শুধু আপনার বাচ্চার জন্য কেন, আপনার জন্যও খুব লাভদায়ক। রোজ যেন আপনার বাচ্চা জগিং করে এটা দেখুন আর আপনিও ওর সঙ্গে জগিং করুন না। এটা কিন্তু বেশি আনন্দ দেবে ওকে।
তাহলে আর কোনও চিন্তা নয় বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য। এই আটটি ব্যায়াম কিন্তু আপনার সন্তানকে অনেক লম্বা করবে। আসলে শারীরিক কসরতের বিকল্প তো কিছুই হয় না, তাই না!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…