আমরা ভারতীয়রা নানা রকমের খাবার খেতে ভালোবাসি। আমাদের ক্ষেত্রে এটা কোনও ব্যাপারই নয় যে আমরা কে কোন প্রদেশের। আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব একটা খাবার তৈরির পদ্ধতি আছে, স্বাদের ভিন্নতা আছে।
কিন্তু দিনের শেষে সবাই খুব ভালো কিছু খেতে চাই। আর তার জন্যই আমরা এমন কিছু খেয়ে নিই মাঝে মাঝে যা আমাদের জিভকে তো আরাম দেয়, কিন্তু পেতে চর্বিও জমিয়ে দেয়। আর এর কারণ হল ওই খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। আর তারপর ডায়েট করা, তাও কয়েক সপ্তাহ। তারপর আবার চলে আসা সেই পুরনো খাবারের কাছে।
কিন্তু আমরা যদি বলি যে আমরা সাধারণত যা খাই তা দিয়েই আমরা আমাদের ফিট রাখতে পারি, আলাদা ডায়েটের দরকার নেই, তাহলে? হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ জেনে নিন এমন আট রকমের ভারতীয় খাবারের সম্বন্ধে যা আপনাকে রাখবে সুস্থ।
এটি ছাড়া কিন্তু আমাদের চলে না। সে বাঙালিরা পাতলা ডাল খাক কি পাঞ্জাবীরা মালাই মারকে, ডাল কিন্তু আমাদের রোজ চাই। আর এই ডাল কিন্তু খুব পুষ্টিকর। ডালে আছে ভিটামিন এ, বি, সি আর ই। এছাড়া এতে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো মিনারেল। আর এটি খুব ভালো অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস। তাই আপনি ডায়েট শুরু করলে অন্য ডাল বন্ধ করে মুগ ডাল খান খালি, কারণ এটিতে কম ফ্যাট থাকে। আর ডালে আছে প্রোটিন যা ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখে, হজম ক্ষমতা বাড়ায় আর কোলেস্টেরল ঠিক রাখে। তবে এই ডাল কিন্তু কম তেলে আর পারলে অন্য সবজির সঙ্গে মিলিয়ে রান্না করলে ভালো।
উত্তর ভারতে বা রাজস্থানে রুটি বরাবর প্রচলিত হলেও এখন বাঙালিরাও কিন্তু রুটিতে অভ্যস্থ। মূলত রুটি তৈরি হয় গমের আটা থেকে। কিন্তু বর্তমানে মাল্টিগ্রেইন আটা, যা গম, জোয়ার, বাজরা, ছাতু এই সব দিয়েই তৈরি হয়, তা কিন্তু খুবই ফাইবার সমৃদ্ধ হয়। এটি আমাদের পেট পরিষ্কার রাখে, যথাযথ কার্বোহাইড্রেট বজায় রাখে আর এনার্জি দেয়। তবে মাখন বা ঘি দিয়ে ভাজা পরোটা এখন না খাওয়াই ভালো ফিট থাকার জন্য।
ভাত আমাদের ভারতীয়দের অন্যতম প্রধান খাদ্য। তবে আমাদের ভাতের ক্ষেত্রে কিছু কথা মনে রাখতে হবে। সাদা চাল, যা আমরা খাই, তা শুধুই স্বাদে ভালো আর উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। কিন্তু ব্রাউন রাইস খুবই ভালো আর ফাইবার সম্পন্ন। তাই ডায়েটিশিয়ানরা এই চাল খেতে বলেন। কিন্তু যদি আপনি ব্রাউন রাইস খেতে না পারেন, তাহলে অল্প করে সাদা ভাত আর সঙ্গে দুটো রুটি খান। এটি কিন্তু কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবারের পারফেক্ট সমন্বয় হবে।
ভারতীয় তরকারির কদর কিন্তু বিশ্ব জুড়ে। তবে সেই তরকারি বা ইন্ডিয়ান কারি বলতে বোঝায় সুস্বাদু, ফ্রেস ক্রিম দেওয়া আর উপরে তেল ভাসা একটি পদ। কিন্তু আপনার ডায়েট করার সময়ে তো এসব চলবে না। তখন দরকার ভালো খাবার, আবার তা সুস্বাদুও হতে হবে। তাই একটা কাজ করুন। নন-স্টিক প্যানে কম তেলে তরকারি করুন। গ্রেভির জন্য ক্রিম নয়, দই ব্যবহার করুন আর স্পাইস উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন। এতে স্বাদও থাকল, আর ডায়েটও হল।
যারা নিরামিষ খান, তাঁদের কাছে তো পনির বলতে গেলে অনবদ্য। যেহেতু দুধের থেকে তৈরি তাই এতেও যে ক্যালোরি থাকবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এটা জানতা হবে যে এই পনির ফুল ক্রিম মিল্ক থেকে তৈরি হচ্ছে না টোনড মিল্ক দিয়ে। দোকান থেকে কিনলে বুঝতে সমস্যা হতে পারে, তাই ঘরে টোনড মিল্ক এনে তার থেকে পনির বানান। এতে স্বাদও এক থাকবে, আর ক্যালোরিও থাকবে না। পনির কিন্তু ক্যালসিয়াম আর প্রোটিনের ভালো উৎস। তাই পনির খান।
দুধের তৈরি এই উপাদানটিও কিন্তু আমাদের ডায়েটের জন্য খুব ভালো। দই হজমে সাহায্য করে। আগেই বলেছি, ক্রিমের বদলে ব্যবহার করতেই পারেন দই। তবে আপনাকে টক দই খেতে হবে। খুব ভালো হয় যদি কম ফ্যাটের দুধ থেকে দই খান আর তা তৈরি হয় ঘরে। তাহলেই হবে সোনায় সোহাগা।
দক্ষিণ ভারতের খাবার, কিন্তু এখন গোটা ভারতেই বিখ্যাত। চাল আর ডালের মিশ্রণ থেকে তৈরি হওয়া এই খাবারটি কিন্তু কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিনের বড় উৎস। যেহেতু এতে কম ফ্যাট থাকে, তাই এটি হজম করা খুবই সহজ। আপনি ডায়েটে থাকার সময়ে এটি সকালে ব্রেকফাস্ট হিসেবে খেতেই পারেন।
গুজরাটের এই বিখ্যাত খাবারটি আজ আমাদের ঘরে ঘরে। এটি মূলত ডাল দিয়ে তৈরি হয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের জন্য খুব ভালো এই ধোকলা। যেহেতু এটি স্টিমে তৈরি হয় আর তেল থাকে না, তাই এতে ক্যালোরি খুব কম থাকে। আর ডাল আছে বলে আপনি প্রোটিন আর ফাইবারও পাচ্ছেন।
তাহলে এবার দেখুন, আপনাকে কিন্তু কিচ্ছু বাদ দিতে হচ্ছে না। বরং রোজের খাবারই খান ভালো করে, পরিমাণ মেনে। তাহলেই আপনার মুখের স্বাদ আর মনের রোগা থাকার সাধ্য, দুইই মিটবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…