চুলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল খুশকি। ভাবুন তো, আপনি চুলে কত সুন্দর করে স্টাইল করলেন, আর মাথার ভিতরটা কুটকুট করে যাচ্ছে। লজ্জায় আপনি মাথা চুলকোতেও পারছেন না। কিন্তু আপনি করবেন কী? অনেক কিছুই তো এতো দিন ব্যবহার করলেন। কিন্তু খুব যে একটা লাভ হয়নি সেটা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এবার তাহলে দাশবাসের টিপস শুনুন আর এই ৮টি জিনিস ব্যবহার করে দেখুন।
ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে এসেছি এই ঘরোয়া টোটকার কথা। এটা যে খুবই কার্যকরী তাও আমরা অনেকেই জানি। তেমন কোনও খাটনিই নেই এই তেল বানাতে। শুধু একটি বোতলে নারকোল তেল নিয়ে তাঁর সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। রোজ রাতে মাথায় এই তেল মাখতে হবে। কর্পূর যেমন মাথা ঠাণ্ডা রাখবে, তেমনই নারকোল খুশকির সমস্যা দূর করবে।
পাতিলেবুও আমাদের চুলের জন্য খুব উপকারী। নারকোল তেল খানিক গরম করে নিন। এর সঙ্গে এবার কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ এবার চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফল পেতে এটা সপ্তাহে দু বার করুন।
দই আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারী। তাঁর সঙ্গে বেসন মিশলে তো কোনও কথাই নেই।
উপকরণঃ ৩ চামচ বেসন, ২ চামচ দই, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ একটি পাত্রে সবকটি উপকরণ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা আপনার চুলে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। বেসন আর দই স্ক্যাল্প পরিষ্কার করবে। তাই খুশকিও কম হবে।
আপনার খুশকির সমস্যা মেটাতে এই মিশ্রণটি খুবই উপকারী।
উপকরণঃ এক বাটি দই, পরিমাণ মতো লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ দুটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মাথায় ২০ মিনিট মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু দিন করতে পারেন। লেবু যেখানে খুশকি কমাবে, দই চুল ময়েশ্চারাইজড করবে, মাথা ঠাণ্ডা রাখবে।
চুলের যত্নে শিকাকাই ব্যবহার করেননি এমন মানুষ খুব কম আছে। এবার খুশকি দূর করতেও শিকাকাইকে সঙ্গী করুন।
উপকরণঃ শিকাকাই, পুদিনা পাতা ৫-৬ টা, মেথি দানা।
পদ্ধতিঃ সবকটি উপাদান কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর একটা পেস্ট তৈরি করে সেটা মাথায় মেখে নিন আর সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন হাল্কা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটা খুশকি দূর করার অব্যর্থ ওষুধ।
নিম আর লেবু, এই দুই উপকরণই চুলের জন্য এক কথায় অসাধারণ। তাই খুশকি দূর করতে এবার এদেরই সঙ্গী করুন।
উপকরণঃ কয়েকটি নিমপাতা, ৬ ফোঁটা মতো লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ নিমপাতা জলে ভিজিয়ে তাঁর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানান। এবার সেই পেস্ট মাথায় দিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দু দিন করুন।
আপনি যে কোনও তেলই ব্যবহার করুন না কেন, তাঁর আগে সেই তেল খানিক গরম করে নিন। এবার সেই তেল মাথায় ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে তেলের কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। আর ম্যাসাজ মাথায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই সব মিলিয়ে চুলের জন্য গরম তেলের ম্যাসাজ বেশ কার্যকরী।
আমন্ড আর অলিভ এই দুটোই আপনার চুলের জন্য বেশ উপকারী। তাই খুশকি দূর করতে বা চুলের সামগ্রিক উন্নতির জন্য এই দুটি তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
উপকরণঃ সম পরিমাণে আমন্ড তেল আর অলিভ তেল।
পদ্ধতিঃ দুটি উপকরণ মিশিয়ে নিন ভালো করে। তারপর চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু করে ফেলুন । সপ্তাহে তিন দিন করুন পারলে। দেখবেন উপকার পাবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…