শিরোনাম শুনেই নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এ আবার সম্ভব নাকি! খুবই সম্ভব। আয়না না দেখেই আপনি এবার থেকে মেকআপ করতে পারবেন। শুধু তার জন্য জানতে হবে কিছু ট্রিকস আর পদ্ধতি। বাইরে যাওয়ার সময়ে একদিন যদি আয়না নিতে ভুলে যান, তাহলে কিন্তু এই পদ্ধতি আপনাদের কাজে আসবে। দেরী না করে তাই চটপট জেনে নেওয়া যাক।
আয়না কাছে না থাকলে কি দিয়ে মেকআপ বেস করবেন সেটা ঠিক করে ফেলা খুব দরকার। এই সময়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কারণ, লিকুইড হোক কি ক্রিম ফাউন্ডেশন হোক, সেটা ভাল করে স্কিনে মেশাতে না পারলে মেকআপ খারাপ হবেই। আর এই মেশানোর জন্য আয়না খুবই দরকারি। তাই আয়না না থাকলে ফাউন্ডেশনের বদলে ভাল ময়েশ্চারাইজার বা বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম ব্যবহার করুন। এগুলো সহজে স্কিনে ব্লেন্ড করে নেওয়া যাবে। আর যেহেতু এই ক্রিম ফাউন্ডেশনের মতো ওত ভারী নয় তাই আয়না ছাড়াই সমান ভাবে সহজে মিশিয়ে নেওয়া যাবে।
ময়েশ্চারাইজার বা সিসি ক্রিম ব্যবহারের পর অবশ্যই পাউডার ব্যবহার করুন। কারণ পাউডার হল সেই উপাদান যা আপনার স্কিন অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাবে। এর সঙ্গে বেস যাতে সুন্দর ভাবে বসে থাকে স্কিনে সেটাও দেখবে। আয়না ছাড়া পাউডার ব্যবহার করা খুব কঠিন কাজ নয়। পাউডার একটি পাউডার ব্রাশে লাগিয়ে নিন। তারপর ওই ব্রাশ মুখে সার্কুলার মোশনে হাল্কা করে লাগিয়ে নিন। তারপর একটি টিস্যু পেপার নিয়ে মুখে রেখে হাল্কা চেপে তুলে দিন। এতে অতিরিক্ত পাউডার মুখ থেকে চলে যাবে।
আয়না ছাড়া মেকআপ করতে হলে আঙুলই হবে আপনার জগন্নাথ। আঙুল দিয়ে মেকআপ করলে মেকআপের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। লিপস্টিক, লিপগ্লস, শ্যাডো এই সব উপকরণ আঙুলে অল্প অল্প নিয়ে ব্যবহার করুন। এতে ভাল করে মেকআপ হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই আঙুল ভাল করে পরিষ্কার থাকতে হবে।
আয়না ছাড়া চোখের মেকআপ সম্ভব নয়। তাই আয়না সঙ্গে না থাকলে আই লাইনার বা মাস্কারা এই ধরণের জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি বরং শ্যাডো স্টিক দিয়ে চোখের ওপরে সেড দিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই হাল্কা সেডের রঙ ব্যবহার করবেন। তবে সেক্ষেত্রেও বারবার ব্লেন্ড করতে একদম ভুলবেন না। আর শেষে অবশ্যই একটা টিস্যু বুলিয়ে নেবেন। এতে অতিরিক্ত রঙ ঝরে যাবে।
আয়না সঙ্গে না থাকলে লিপস্টিক ব্যবহার করা ভুল হবে। বিশেষ করে খুব গ্লসি আর বোল্ড লুকের যে লিপস্টিক হয় সেগুলো। আর এই লিপস্টিক খুব ভারী হয় আর ব্যবহার করার জন্য আয়না লাগবেই। এর বদলে আপনি লিপগ্লস বা লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটা শাইন তো বজায় রাখবেই। পাশাপাশি একটু ডিপ লিপবাম দিলে কিন্তু বেশ অন্যরকম লুক আসবে। আর লিপবাম সহজেই ঠোঁটে মিশিয়ে নেওয়া যায়, তেমন ভারী হয় না।
গালে ব্লাশ না করলে মেকআপ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু আয়না ছাড়া ব্লাশ! আয়না ছাড়াই করা যায়। আর ব্লাশ করতে কিন্তু সত্যিই সবসময়ে আয়না লাগেও না। শুধু দরকার একটু হাসি। ব্লাশ করার সময়ে মুখটা হাসি হাসি রাখবেন। গালের যে জায়গাটা এর ফলে উঁচু হয়ে রইল সেই জায়গায় ব্লাশ করে নিন। ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এতেই খুব সুন্দর ব্লাশ হয়ে যাবে আয়না ছাড়াই।
উপরের পদ্ধতি তো বললাম আপনি একা থাকলে। কিন্তু আপনার সঙ্গে যদি কেউ থাকেন এবং তিনি যদি মেকআপ করাতে পারেন ভাল তাহলে কিছু ক্ষেত্রে তার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে সেটা ওই আইলাইনার বা মাস্কারা এই ধরণের জিনিস ব্যবহার করার সময়ে। বাকি জিনিস আপনি আয়না ছাড়াই নিজে করে ফেলুন।
একদিন আয়না থাকলেও এটি করে দেখুন। বাড়িতেই অভ্যেস করুন। দেখবেন অদ্ভুত ভাল লাগবে এই নতুন কাজটি করে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…