বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর যেতে না যেতেই তার উপর সাদা রঙের ঘন চাদর বা লবণের আস্তরণ জমা শুরু হয়, যেটাকে আমরা নোনা ধরা বলে থাকি।
নোনা ধরা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার আমাদের দেশের জলবায়ুগত কারণে। এতে দেয়ালের সৌন্দর্য ও মজবুতি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আমাদের বলে দেওয়া নীচের কয়েকটি ঘরোয়া কৌশল মাথায় রেখে চললেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নোনা ধরা ঠেকাতে দরকার কিছু আগাম সতর্কতা ও পরিকল্পিত কাজ করা তাহলেই দেখবেন কাজ হয়ে গেছে সহজ।
বাড়ির যথোপযুক্ত আলোবাতাস চলাচলের পথ সুনিশ্চিত করুন নাহলে এর কারণে দেয়ালে ড্যাম্প হয়ে নোনার প্রকোপ হতে পারে। জানালা ও দরজার অবস্থান যাতে মুখোমুখি হয় সেটা দেখুন। এর ফলে সব দেয়ালে সমান রোদ ও বাতাস যেতে পারবে। যদি বৃষ্টির কারণে পর্দা ভিজে যায় তবে সেটা নিয়মিত পরিবর্তন করবেন। চেষ্টা করুন ফেব্রিক এর কৃত্রিম পর্দা ইউজ করতে।
বাড়ির রং নির্ধারণ করে যে তার ভবিষ্যৎ কেমন হবে। অনেকের মধ্যেই বাড়ির অন্দর ও বাইর চুনকাম করার প্রবণতা দেখা যায়। এর ফলে আরো বেশি করে নোনা ধরে। তাই চেষ্টা করুন এক্রিলিক ইমালশন দিয়ে প্লাস্টিক পেন্ট করাতে বাড়ির দেয়ালে। রঙ করানোর সময় তার মেয়াদ দেখে নিন। বাইরের রোদ, জল ও নোনা ধরার আনুষঙ্গিক কারণ গুলি এতে করে নির্মূল তো হবেই হবে, সাথে উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ও ধরে রাখবে বহুদিন।
যদি ইতিমধ্যেই আপনার বাড়ির দেয়ালে নোনা ধরে গিয়ে থাকে তবে বাড়ির কাঠামোর রিমডেলিং করানো খুব জরুরি। পুরোনো প্লাস্টার ছাড়িয়ে নতুন প্লাস্টার এ নোনা রেজিস্টেন্ট রাসায়নিক ব্যবহার করুন। চাইলে পেইন্ট করানোর আগে এন্টি ফাঙ্গাল সল্যুশন লাগিয়ে নিতে পারেন এতে দেয়াল এর স্থায়িত্ব ও শক্তি বাড়ে নোনা প্রতিরোধ করতে।
গরমকালে শীতলপাটি তে ঘুম দেয়নি এরকম মানুষ পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই শীতলপাটি উত্তম শোষক রূপেও কাজ করে থাকে। তাই দেয়ালে আসা অতিরিক্ত আর্দ্রতা এটি এবসর্ব করে নিতে সক্ষম। কাঠের ফ্রেমে আটকে দিতে পারেন দেয়ালে। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এ প্লাই ও ইউজ করতে পারেন। এতে বাড়ির বৈচিত্র্য ও সুরক্ষা দুটোই অটুট থাকে।
কংক্রিটের প্লাস্টার শুকোনোর পর তাকে নিয়মিত সিক্ত রাখা দরকার। যেটা আমরা শুরুতেই অবহেলা করি। প্লাস্টার হবার অন্তত ২০দিন পর তাতে রং চড়ান নইলে নোনা ধরার চান্স ১০০%। রং করবার আগে দেয়াল স্যান্ডপেপার দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে মাজুন তারপর তাতে প্রাইমার দিন যাতে প্লাস্টার ও রঙের মধ্যে একটা সংযোগ স্থাপন হয়। রং করার সময় রোলার ব্যবহার করুন। এইভাবে দেয়ালের জল শোষণ ক্ষমতা কমে যাবে ও নোনা ও কম লাগবে। এবার যাতে ফাটল না ধরে তার জন্য এনামেল পুট্টি খুব ভালো অপশন।
কাঠামো দৃঢ় হলে তবেই ভবন পোক্ত হয়। দেওয়ালে বাইরের পাশ ও ভেতরের অংশ দুটোতেই আর্দ্রতা রোধ করতে ইঁটের জোড়ের ফাঁকে মোম বা সিলিকেট দ্রবণ লাগান। বিটুমিন শিট, মেটাল বা এসফল্ট শিট ও লাগিয়ে দেখুন খুবই কার্যকরী। বাড়ি বানানোর সময় সিমেন্টের সাথে পামিক বা স্টিয়ারিক এসিড জাতীয় জিনিস মেশান , এগুলো নোনার সাথে মোকাবিলা করতে সমর্থ।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
করোনার জন্য এখনও আপনি বাইরে যেতে পারছেন না জানি। আর অনলাইনে জিনিসপত্র আনা নেওয়াও করতে…