শীতের হাওয়ার নাচন লাগতে লাগতে মনটা কেমন উৎসব মুখর হয়ে ওঠে। আর উৎসব মানেই, মুখে জল আনা স্বাদে-গন্ধে ভরপুর সব খাবার-দাবার। আচ্ছা দেখুন তো, শীতের আমেজ ধরে রাখতে এই ৫টি রেসিপি আপনাকে চমকে দিতে পারে কিনা!
উপকরণঃ ময়দা ৫০০ গ্রাম, এক চামচ দুধ, বেকিং পাউডার ১ চামচ, চিনি ১ চামচ, রাইস অয়েল বা বাদাম তেল ১২৫ গ্রাম, প্রয়োজনমতো নুন ও জল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে দুধ ফুটিয়ে নিন। এবার তার ভেতর চিনি ও বেকিং পাউডার দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এটা যখন বেশ ঘন হয়ে উঠবে তখন তা ময়দার ভেতর ঢেলে তেলের ময়ান দিয়ে ভালো করে মেখে তার মধ্যে সামান্য নুন মিশিয়ে তার লেচি কাটুন। তারপর তাকে পরোটা আকার দিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন এবং সুন্দরভাবে পরিবেশন করুন।
উপকরণঃ ছোলার ডাল ১০০ গ্রাম, মাংসের কিমা ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২ টি (একটি কুচানো একটি কুরন), রসুন দুই থেকে তিন কোয়া, বাটা আদা ২৫ গ্রাম, টক দই ৫০ গ্রাম, শুকনো লঙ্কা একটি, গরম মসলা সামান্য, নুন স্বাদমতো, চিনি সামান্য, তেল পরিমাণমতো, ঘি ইচ্ছা অনুযায়ী, ভিনিগার ১/২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ছোলার ডাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। অন্যদিকে কিমার মধ্যে সামান্য ভিনিগার দিয়ে রাখুন। কড়াই আঁচে বসান ও তেল দিন। গরম হলে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। এতেই আদা বাটা, রসুন, বাকি পেঁয়াজ ও কিমা দিয়ে কয়েক মিনিট কষতে থাকুন। টক দই দিয়ে নাড়াচাড়া করে নুন, চিনি ও সেদ্ধ হওয়ার মতো জল দিয়ে সেদ্ধ করুন।
ফ্রাই প্যানে ঘি দিয়ে আঁচে বসান। ছোলার ডাল ঘিয়ে দিয়ে ভালো করে ভাজুন। আন্দাজমতো জল ঢেলে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন আবার কড়াইতে তেল গরম করুন। তেজপাতা ফোঁড়ন দিন।
প্রথমে ডাল ও পরে সেদ্ধ কিমা দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে কড়াইয়ের তলা ধরে না যায়। নামাবার আগে গরম মসলা ও বাকি ঘি দিয়ে ঢাকা দিন। ঢাকা থাকতেই নামিয়ে নিন। কিমার ডাল পরিবেশনের জন্য তৈরি।
উপকরণঃ ছোলার ডালের বেসন ৫০০ গ্রাম, ডালডা ২ কাপ, খাবার সোডা দুই চিমটে, চিনি ৮ কাপ, ঘি ২০০ গ্রাম, জল প্রয়োজনমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ব্যাসন হালকা করে ভেজে নিন। বেসন ভাজার গন্ধ বেরোলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিয়ে, ডালডা এবং ঘি দিয়ে একসঙ্গে গলিয়ে রাখুন। উনুনে কড়াই চাপিয়ে জল এবং চিনি দিয়ে রস তৈরি করুন। যখন রস একটু চটচটে হবে তখন ব্যাসন এবং ঘি-টাকে রসে ভিজিয়ে দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
নাড়তে নাড়তে যখন ব্যাসন, কড়ার গা থেকে ছাড়তে শুরু করবে তখন খাবার সোডা ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটা ঘি মাখানো থালায় মিশ্রণটি ঢেলে দিন। একটু ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে বরফি আকারে কেটে পরিবেশন করুন।
উপকরণঃ ১ কেজি পমফ্রেট মাছ, ৪ চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো, পেঁয়াজ ৪ টি, ২৪ কোয়া রসুন, সামান্য কারিপাতা, ৬ চামচ তেতুল, নারকেল দুধ ২ কাপ, দুই চামচ তেল, ১ চা-চামচ সরষে এবং এক চামচ মেথিগুঁড়ো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
মাছ ভালো করে ধুয়ে, অল্প তেলে ভেজে তারমধ্যে ধনে, লঙ্কা ও হলুদের গুঁড়ো পেস্ট করে মেশান। তারপর সামান্য নারকেলের দুধ দিন। গ্রেভি শুকিয়ে গেলে, ঘন দুধ মিশিয়ে নামান। কড়াইতে তেল দিয়ে ফের, কারি পাতার ফোরন দিন। এবার মাছ সহ গ্রেভি ওপর ঢেলে দিন। এবার তা পরিবেশন করুন।
উপকরণঃ মুরগি একটা (পালক ছাড়ানো) অন্তত 425 গ্রাম হলে ভালো হয়।
মটন এক কিলো (কাঁধের কিংবা রাং এর মাংস নিন, টুকরো করবেন না)
তেল দুই থেকে তিন কাপ, আস্ত গরম মসলা, আলু, পেঁয়াজ, গাজর এবং বড় বড় টুকরা ফুলকপি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১. মুরগির ছাল ছাড়াবেন না। শুধু পালক খুলে, পালকের গোড়া থাকলে সেটি ঝলসে তুলে ফেলুন।
২. মাংস আস্ত থাকবে, টুকরো হবে না। ভালো করে শুকিয়ে নিন। মুরগির মাথা বাদ দিন। গলা, পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।
৩. এবার পরিষ্কার টোন সুতো দিয়ে, পা আর ডানা, গায়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে নিন।
৪. মাংসের গায়ে পরিমাণ মতো নুন ও এক চিমটে চিনি মাখিয়ে নিন।
৫. ডেকচিতে, আঁচে তেল চড়ান। বেশ গরম হলে মাংস ছাড়ুন। মাংস, লাল হয়ে ভাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬. এবার, দের-কাপ গরম জল ঢেলে, আঁচ কমিয়ে, ডেকচি ঢাকা দিয়ে আঁচে বসিয়ে রাখুন।
৭.মুরগি হতে 45 মিনিট এবং মটন, দেড় ঘণ্টায় হয়ে যাবে। তখন একটা লম্বা কাটা সহজেই, এর মধ্যে ঢুকে যাবে।
৮. হয়ে যাবার দশ মিনিট আগে মাংসের চারদিকে তরকারি গুলো সাজিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। দরকার মনে করলে আরো জল দিন।
৯. মাংস নরম হয়ে গেলে তুলে ফেলুন। তরকারি হলে সেগুলিও তুলুন।
১০. ওই ঝোল দিয়ে এবার গ্রেভি হবে। বাসনের ধার চেচে নিয়ে, বড় চামচের এক চামচ আদা, ময়দা বা কর্নফ্লাওয়ার, এক কাপ গরম জলে গুলে, ঝোলের ওপর ঢেলে দিয়ে পরিবেশন করুন।
১১. মটন রোস্টের সঙ্গে কেউ কেউ পুদিনা সস খান। একটু পুদিনা মিহি করে কুচিয়ে, বড় এক চামচ ভিনিগার ও ১ চা চামচ চিনি দিয়ে গুলে, আলাদা বাটিতে করে নিন।
১২. তবে এই রেসিপিটি সবচেয়ে ভালো ভাবে তৈরি হয় মাইক্রওভে। আমি যখন এটা বানাই মাইক্রওভে বানানই। যদি আপনাদের কাছে না থাকে তাহলে কিনে নিতে পারেন। দারুন অফার রয়েছে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…