ভিটামিনের উৎস হিসেবে ডিম একটি অনন্য খাবার। ডিম পোচ, ডিম ভাজা, ডিম দিয়ে স্ন্যাকস বানানো বা সাধারণ একটা তরকারি করে খাওয়া এগুলোই আমরা বেশিরভাগ সময়ে দেখি। কিন্তু একটু সময় ও পরিশ্রম করলে সাধারণ ডিমের তরকারিকেও ভিন্ন ও সুস্বাদু করা সম্ভব। আজকের আয়োজনে থাকছে ডিমের ইউনিক পাঁচ রকমের পদ যা বাংলাদেশেই পাবেন।
সিদ্ধ ডিমগুলো কাঁটাচামচ দিয়ে কেচে অল্প লবণ এবং দই দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাখানো ডিমগুলো প্রথমে ভেজে তুলে নিন। এরপর ঐ তেলেই পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন।
কষানো হলে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া দিয়ে আবারো কষিয়ে নিন। এবারে কষানো মশলায় পরিমাণমতো পানি দিন, ফুটে উঠলে ভাজা ডিম, লবণ, চিনি, গরম মশলা গুঁড়া, এবং কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়ুন। যখন পানি শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিন।
প্রথমে সব বাদাম আর শুকনো বিচিগুলোকে গরম পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এগুলোকে ভালোমত পানি ঝরিয়ে বেরেস্তার সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার প্যানে তেল গরম করে সব ধরণের গুঁড়া মশলা, গরম মশলা, আদা-রসুনের পেস্ট, টমেটো পিউরি, বাদাম-বিচি-বেরেস্তার পেস্ট, লবণ একসাথে মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। এই মিশ্রণ জ্বাল দেয়া হলে টকদই দিয়ে আরো ৩০ মিনিট জ্বাল দিন। আরেকটি প্যানে তেল গরম করে সিদ্ধ ডিমগুলো ভেজে এরপর এগুলোকে মিশ্রণে ৭-৮ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলুন।
সিদ্ধ ডিমগুলোর গা ছুরি দিয়ে চিরে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মেখে প্রথমে ঘি এবং পরে তেলে ভেজে তুলে রাখুন। দুধে জাফরান, কেওড়া জল, লেবুর রস মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। এবার একটি বাটিতে টকদই ও মিষ্টি দই ফেটিয়ে এর সাথে সব ধরণের বাটা, গরম মশলা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, অল্প পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
কড়াইতে তেল ও ঘি গরম করে প্রথমে পেঁয়াজকুচি বাদামি করে ভেজে নিন, তারপর একটু আগের করা মশলার মিশ্রণটা ঢেলে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হলে সিদ্ধ ডিম দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। ডিম কষানো হয়ে গেলে দুধ ঢেলে দিয়ে একটু নেড়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
১০ মিনিট পরে বেরেস্তা, চিনি, এবং কাঁচামরিচ দিয়ে আরো ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। নামানোর আগে জাফরানের কয়েকটি সুতো এবং মাওয়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন এবং উপরে বেরেস্তা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
সিদ্ধ ডিমগুলো প্রথমে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া আর লবণ মাখিয়ে ভেজে নিন৷ কড়াইতে তেল গরম করে তেজপাতা, কালিজিরা, এবং আস্ত জিরা দিয়ে ভাজতে থাকুন। ফুটে উঠলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন এবং হালকা বাদামি করে ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে টমেটো কুচি এবং বাকি সব মশলা দিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট কষিয়ে নিন। কষানো হলে গরম পানি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, এবং ভাজা ডিম দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রাখুন। ঝোলটা যখন মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলুন।
ডিম-আলুর ঝাল তরকারি রান্না করার আগে প্রথমে আপনাকে আলুর টুকরা আর ডিমগুলোকে অল্প তেলে লাল করে ভেজে নিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে। এবারে প্যানে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা লাল করে ভেজে নিন। তারপর এর সাথে সব গুঁড়া মশলা, বাটা মশলা, কাজুবাদাম বাটা, এবং টকদই দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
মশলা কষানো হলে ভাজা ডিম, আলু, এবং মেথি (অপশনাল) দিয়ে বেশি আঁচে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন। এখন এই মিশ্রণের সাথে টমেটো, ক্যাপসিকাম, অল্প পানি দিয়ে আরো ১০ মিনিট রান্না করুন। ঝোলটা যখন মাখা মাখা হয়ে আসবে, তখন লেবুর রস, ধনেপাতা কুচি, এবং আদা কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে নিন।
প্যানে তেল গরম করে সিদ্ধ ডিমগুলো প্রথমে সামান্য মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে অল্প আঁচে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। টুথপিক দিয়ে ডিমগুলোর গায়ে কয়েকটি ছিদ্র করে রাখুন। ক্যাপসিকাম কুচি শুকনো কড়াইতে নিয়ে টেলে নিন।
এবার কড়াইতে ৪ টেবিল চামচ তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন, তারপর কালিজিরা বাদে বাকি মশলাগুলো দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো মশলায় টমেটো কুচি ও ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে একটু নাড়ুন। ঠান্ডা হলে এই মিশ্রণটা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন।
আরেকটি কড়াইতে বাকি ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে কালিজিরা ফোড়ন দিয়ে নিন এবং মশলার পেস্ট দিয়ে একটু কষিয়ে নিন। এরপর ২ কাপ পানি দিন, ঝোলটা যখন ফুটে উঠবে তখন ভাজা ডিমগুলো দিয়ে লবণ ছিটিয়ে দিন। একটু নেড়ে ১০ মিনিট দমে রাখুন। ঝোল মাখা মাখা হয়ে আসলে নামিয়ে নিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…