ঘরে বসে বিকেলের জল খাবারে রাখুন নতুন স্টাইলের সহজ তেলেভাজা!
বাড়িতে বসে বোর ফিল করছেন তাহলে অবশ্যই রান্নাবান্না করুন। মনোবিদরা বলেন স্ট্রেস দূর করতে রান্নার কোনও বিকল্প নেই। তাই খাস আপনাদের জন্য রইল ঘরে বসে ট্রাই করার মতো কিছু অন্যরকম তেলেভাজার রেসিপি।
১) নারকেলের ঝাল বড়া
উপকরণ
নারকেল কোরানো –এক কাপ
বেসন – ১/৪ কাপ
ময়দা-১/৪ কাপ
চিনি – ১ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচনো- ২টি
নুন- স্বাদমতো
জল- পরিমাণ মতো
প্রণালী
একটি মিক্সিং বোলে কোরানো নারকেল, বেসন, ময়দা, চিনি, কাঁচালঙ্কা কুচি এবং নুন নিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
মিক্সি না থাকলে শিলনোড়া দিয়ে বেটে নিন। এবার এর সঙ্গে পরিমাণমতো জল মেশাতে থাকুন।
মিশ্রণটি কিন্তু খুব শক্ত হবে না আবার খুব নরমও হবে না।
এবার কড়াইতে তেল বসিয়ে মাঝারি আঁচে রাখুন।
তেল ভালো করে গরম হয়ে গেলে মিশ্রণ থেকে বড়ার আকারে কেটে নিয়ে তেলের মধ্যে ছাড়তে থাকুন।
বড়াগুলি বাদামী করে ভেজে তুলে নিন। তাহলেই তৈরি নারকেলের ঝাল বড়া।
২) সয়াবিনের কাটলেট
উপকরণ
সোয়াবিন- ১০০ গ্রাম
সাদা তেল পরিমাণ মতো
কাঁচালঙ্কা কুচোনে- ২টি
রসুন কুচি- ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি- একটি মাঝারি মাপের
লঙ্কা গুঁড়ো -১/২ চা চামচ
নুন- স্বাদমতো
হলুদ গুঁড়ো- -১/৪ চা চামচ
আলু- ১টা বড়ো মাপের
ধনেপাতা কুচি- ১চা চামচ
গরম মশলা-১চা চামচ
ব্রেড ক্র্যাম্বস- পরিমাণ মতো
ডিম-একটি
প্রণালী
প্রথমে গ্যাসে এক গ্লাস জল দিয়ে তাতে সোয়াবিনগুলি দিয়ে দিন। এবার গরম জলে পাঁচ মিনিট সোয়াবিনগুলি ভিজিয়ে রাখুন।
গরম জল থেকে তুলে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সোয়াবিন নিংড়ে নিন।
এরপর একটি গ্রাইন্ডারে সোয়াবিনগুলি ভালো করে গ্রাইন্ড করে নিন। গ্রাইন্ডার না থাকলে শিলনোড়াতে বেটে নিন।
কড়াইতে ১ টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে গরম করে তাতে কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিন। হালকা করে এগুলি ভেজে নিন খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই।
এবার তাতে একে একে লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মশলা কষে নিন।
তারপর এতে দিন গ্রাইন্ড করে রাখা সোয়াবিন। এরপর মশলা আর সোয়াবিন ভালো করে মিশিয়ে নিন।
একটা বড় সাইজের আলু সেদ্ধ করে তাতে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন।
গ্যাস অফ করে ওপর থেকে ধনেপাতা কুচি এবং গরম মশলা দিয়ে ভালো করে আর একবার মেখে নিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে তাতে ৪ টেবিল চামচ ব্রেড ক্র্যাম্বস মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণ থেকে কাটলেটের আকার গড়ে নিয়ে এক ডিম ফাটিয়ে তাতে নুন মিশিয়ে কাটলেটটি ডিমের গোলায় ডুবিয়ে তাতে ব্রেড ক্র্যাম্বস মাখিয়ে নিন।
এইভাবে ডাবল কোট করে ডিপ ফ্রাই করে নিলেই রেডি সোয়াবিনের কাটলেট।
চায়ের সঙ্গে জমে যাবে এখনের বিকেলটা।
৩) বেসনের ফুলুরি
উপকরণ
বেসন- ১ কাপ
কালো জিরে- ১/২ চা চামচ
মৌরি- ১/২ চা চামচ
হিং-১/২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা- ২টি মিহি করে কুচোনো
নুন-স্বাদমতো
বেকিং পাউডার- ১/২ চা চামচ
জল
ভাজার জন্য সাদা তেল
প্রণালী
প্রথমে বেসনটি চালুনিতে ছেঁকে নিন যাতে এতে কোনও লাম্পস না থাকে।
এরপর এতে একে একে দিন স্বাদমতো নুন, কালো জিরে, মৌরি, হিং, কুচোনো কাঁচা লঙ্কা মেশান।
সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার অল্প অল্প জল মিশিয়ে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিন।
কখনওই বেশি জল দেবেন না, তাহলে ব্যাটারটি পাতলা হয়ে যেতে পারে। না-ঘন না-পাতলা একটা ব্যাটার বানিয়ে নিন এবং বাটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট।
যোগ করুন বেকিং সোডা বা খাবার সোডা। আরও একবার মিশিয়ে নিয়ে কড়াইয়ে তেল গরম করুন।
হাতের সাহায্যে ফুলুরি ছাড়ুন তেলে। এবার বাদামী করে ভেজে তুলে নিলেই তৈরি। গরম গরম পরিবেশন করুন মুড়ির সঙ্গে।
৪) ডাল পকৌড়ি
উপকরণ
মটর ডাল- আধ কাপ
অড়হড় জাল- আধ কাপ
স্বাদমতো নুন
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো- স্বাদমতো
ভাজা জিরে গুঁড়ো- ১ চা চামচ
হিং-১/৪ চা চামচ
আদা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা- ১ চা চামচ
প্রণালী
দুরকম ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে ধুয়ে তারপর তা জলে ভিজিয়ে রাখুন ২-৩ ঘণ্টা বা তার বেশিও রাখতে পারেন।
ডালটা ছেঁকে তুলে নিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। মিক্সি না থাকলে শিলনোড়া দিয়ে বেটে নিন।
পেস্ট করার সময়ে মিক্সিতে দিন শুকনো খোলায় ভাজা জিরে গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং হিং এবং সবশেষ দিন আদা-কাঁচা লঙ্কার পেস্ট।
মিক্সিতে পেস্ট করার পর দেখবেন ডাল কিন্তু পুরোপুরি মিহি হয়ে যায়নি।
কিছু ভাঙা ডাল চোখে পড়বে।
ছোট ছোট বড়ার আকারে গড়ে মাঝারি আঁচে বড়াগুলি ডিপ ফ্রাই করে নিন।
সন্ধ্যের জলখাবার মুড়ির সঙ্গে বা শুধু শুধুই খেতে পারেন দোকানের স্টাইলের ডাল পকৌড়ি।
View Comments
দারুন, এই রকম আরও রেসিপি পেলে খুব ভালো হয়