ভগবান শিবের সুন্দর সুন্দর মন্দির সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তার মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে আমরা সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরের এই সূচী বানিয়েছি। এর মধ্যে কিছু মন্দির যেমন বাস্তুকলা বা স্থাপত্যের উদাহরণ, তেমনই কিছু মন্দির তার ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরের এই সূচীতে থাকা প্রতিটি মন্দিরের কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রতিটি শিব মন্দির সম্পর্কে আমরা সংক্ষিপ্ত তথ্য প্রদান করেছি। আর সাথে মন্দিরের ১-২ টো মনোরম ছবি দেখানোর চেষ্টা করেছি।
দ্রষ্টব্য: এই তালিকাটি ক্রমানুসারে সাজানো নয়। ২৫টি শিব মন্দিরই খুব সুন্দর।
পুরু ব্রতান ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অবস্থিত একটি জলমন্দির। ১৬৩৩ সাথে মনোরম ব্রতান ঝিলের ধারে এই মন্দির স্থাপন করা হয়। ১১ তলার এই মন্দির শিব ও তাঁর অর্ধাঙ্গিনী পার্বতীকে সমর্পিত করা হয়েছে।
ইলোরা গুহায় অবস্থিত, কৈলাশ মন্দিরটি বিশ্বের বৃহত্তম এক অখণ্ড মন্দির, যা পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে। বিশাল শিলা কেটে এই মন্দির বানানো। এই চমৎকার শিব মন্দিরটি অষ্টম শতাব্দীতে রাষ্ট্রকুট রাজবংশের শাসক কৃষ্ণরাজ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
কর্ণাটকের হাম্পিতে অবস্থিত এই মন্দিরটি। শিবের বিরুপাক্ষ রুপকে পূজা করা হয় এই মন্দিরে। ১৪ শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় নির্মিত এই মন্দিরটি। এই মন্দিরটি সম্পর্কে একটি বিশেষ বিষয় হল যে, এটি গাণিতিক ধারণার ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে। মন্দিরের মূল আকৃতিটি ত্রিভুজাকার।
বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী হাম্পি অবস্থিত ছিল তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে। মন্দিরের ছাদ বরাবর নদীর স্রোত প্রবাহিত হয়, নদীর স্রোত মন্দিরের রান্নাঘরের গা ঘেঁষে উঠোন হয়ে প্রবাহিত হয়। (উৎস)
শিবের এই মন্দিরে বিরুপাক্ষ এবং পম্পার (পার্বতীর এক রূপ) বিয়ের দিন প্রতি বছর ভক্তদের ভিড় লেগে যায়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে রথ উৎসবেরও আয়োজন করা হয় এই মন্দিরে।
এই মন্দির সম্পর্কিত গল্প:
কুমারী পার্বতী অঙ্গীকার করেছিলেন যে বিয়ে তিনি কেবলমাত্র শিবকেই করবেন। কিন্তু সেই সময় শিব পার্থিব প্রলোভনের বাইরে এক তপস্বীর জীবন যাপন করছিলেন। পার্বতী সমস্ত দেবীকে সাহায্য করতে বলেন, যাতে তার সাথে শিবের বিয়ে হয়। পার্বতীর কথায় দেবরাজ ইন্দ্র কামদেবকে শিবের তপস্যা ভঙ্গ করতে বলেন।
কামদেব তার কামবাণ চালিয়ে শিবের তপস্যা ভঙ্গ করলে, শিব প্রচণ্ড রাগান্বিত হন ও রাগের বশে কামদেবকে ভস্ম করে দেন। এসব দেখেও পার্বতী হাল ছাড়েন না। তিনি তখন নিজে তপস্বিনী হয়ে তপস্যা শুরু করেন।
শিব তাঁর রূপ বদলে পার্বতীর সাথে দেখা করেন এবং তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। তিনি শিবের ব্যক্তিত্বের কিছু দুর্বলতা সম্পর্কে তাকে বলে তার মন ভাঙতে চান। তবে পার্বতী তা বিশ্বাস করেন না। সর্বোপরি, শিব পার্বতীর সাথে তাঁর বিবাহের সংকল্পের সামনে হার মানেতে বাধ্য হন। পার্বতীকে বিয়ে করতে রাজী হয়ে যান।
স্থল পুরাণ অনুসারে এই সমস্ত ঘটনা তুঙ্গাভদ্রা নদীর তিরে ঘটেছিল। রামায়নের যুগে এই নদীর নাম ‘পম্পা’ ছিল।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে ৩৪.৩ মিটার উঁচু, এই আদিযোগী শিবের মূর্তি বিশ্বের বৃহত্তম অর্ধমূর্তি। ঈশা ফাউন্ডেশনের সাদগুরু যোগী বাসুদেব নিজে এই মূর্তিটির ডিজাইন বানিয়েছেন। শিবের এই মূর্তিকে আদিযোগী নাম দেওয়া হয়েছে কারন, শিবকে যোগীদের মধ্যে প্রথম যোগী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২৪ শে ফেব্রুয়ারী,২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন।
শিবের এই জ্যোতির্লিঙ্গটি গড়ওয়াল হিমালয়ের ১১,৭৫৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। কেদারনাথ মন্দিরটি ঠিক কবে নির্মিত হয়েছিল সে সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। মনে করা হয় যে, নরণারায়ণের অনুরোধে, মহাদেব এখানে এসে কিছুদিন ছিলেন।
মহাভারত যুদ্ধের পরে, পাণ্ডবেরা এখানে এসে শিবের কাছে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন। অনেক শিব ভক্তের বিশ্বাস যে কেদারনাথ মন্দিরটি প্রথম পাণ্ডবরা তৈরি করেছিলেন।
চোলার ব্যবস্থায় নির্মিত এই সুন্দর শিব মন্দিরটি হাওয়াইয়ের ‘কিউই’ দ্বীপে অবস্থিত। এটি ইরাবান মন্দির হিসাবে পরিচিত। ইরাবান তামিল ভাষার একটি শব্দ, যার অর্থ ‘ঈশ্বর’।
এই মন্দিরটি এখনও নির্মাণাধীন, তবে এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলে এটি সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরের মধ্যে একটি হবে। বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম মেনে মন্দিরটি তৈরি করা হচ্ছে।
সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরের তালিকায় এই মন্দির না থাকলে সূচী সম্পূর্ণ হয় না। মহারাজা রাজা রাজা চোলা প্রথম ১০১০ সালে এই মন্দিরের নির্মাণ করেন। দ্রাবিড় স্থাপত্যের অনুকরণে, ঐতিহ্যবাহী এ মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। ‘রাজারাজেশ্বরের মন্দির’ বা ‘রাজারাজেশ্বরম’ নামেও এই মন্দির বিখ্যাত। ‘বিশ্ব হেরিটেজ’ হিসেবে এই মন্দিরকে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
অপূর্ব সুন্দর নির্মাণশৈলী মন্দিরের। এটি বিশ্বের একমাত্র মন্দির যা সম্পূর্ণ গ্রানাইট দিয়ে তৈরি। ২১৬ ফুট উচ্চতা মন্দিরের চূড়ার। মন্দিরের মাথায় আস্ত গ্রানাইট পাথর রয়েছে যার ওজন প্রায় ৮০ টনের কাছাকাছি। তিনটি পাথরের তৈরি বিশাল ষাঁড়ের মূর্তি রয়েছে মূল ফটকে।
পশুপতিনাথ মন্দির নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাগমতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এই মন্দিরকে নেপালের সবচেয়ে পবিত্র শিব মন্দির হিসাবে মানা হয়। শিবপুরাণের ১১ তম অধ্যায় অনুসারে বলা হয় যে, এই মন্দিরের প্রত্যেক উপাসক শিবলিঙ্গের উপাসনা মন থেকে করলে তার সব মনকামনা পূর্ণ হয়। পশুপতিনাথে বিশ্বাসী এমন লোকদেরই এই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
এই মন্দিরে নটরাজ হিসাবে শিব পূজিত হন। মন্দিরের দেয়ালে নাট্য শাস্ত্রের ১০৮টি ‘করণ’ সুন্দর ভাবে খোদাই করা আছে। এই মন্দিরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, শিবের পরিবর্তে শিবের নাটরাজ রূপের মূর্তি এখানে রয়েছে।
নাটরাজ মন্দিরের বর্তমান রূপটি দশম শতাব্দীতে চোলা শাসকরা তৈরি করেছিলেন। এই সুন্দর শিব মন্দিরটি তামিলনাড়ুর চিদাম্বরম শহরে অবস্থিত।
মনে করা হয় যে শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গে মধ্যে প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ সোমনাথ মন্দিরে শিব লিঙ্গ। এটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান। সোমনাথ মন্দির বহুবার বিদেশী হানাদারদের দ্বারা ধ্বংস হয়েছে, তবে প্রতিবারই এই মন্দিরকে কেউ না কেউ নতুন আকারে সংস্কার করেছেন।
চালুক্য রাজবংশের স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে মন্দিরের বর্তমান রূপটি নির্মিত। সোমনাথ মন্দির পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে এক রৌপ্যমণ্ডিত দরজা প্রথম সোমনাথ মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছিল।
কারন সোমানাথ মন্দির থেকে চুড়ি করে কেউ সেটি পাকিস্থানে নিয়ে চলে যায়। পাকিস্থান থেকে তা আবার ফিরিয়ে আনা হলে সোমনাথ মন্দিরের পুরোহিতরা তা গ্রহন করতে চান না। তাই সেটি এখন উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে প্রতিস্থাপিত করা আছে।
এই মন্দিরে হরিহর রূপে শিবের পূজা হয়। হরিহর, শিব এবং বিষ্ণুর একটি যৌথ রূপ। একাদশ শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরটি কলিঙ্গ বাস্তু শিল্পের একটি সুন্দর নমুনা। হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের শুরু এই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কাঁচ দিয়ে তৈরি এই সুন্দর শিব মন্দিরটি। নেপাল থেকে আনা তিন লক্ষ রুদ্রাক্ষ মন্দিরের রয়েছে।
বিশ্বনাথ অর্থাৎ শিবকে উৎসর্গ করে তৈরি এই মন্দির। মন্দিরটি দশম শতাব্দীতে চন্দেল রাজবংশের এক শাসক দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
মুরুদেশ্বর, মহাদেবের অন্যতম সহস্র নাম। মুরুদেশ্বর মন্দিরের প্রবেশদ্বারে বিশাল গোপুরামটি বিশতলার একটি অট্টালিকার ন্যায়। প্রায় ২৩৭ ফুট উঁচু! এই মন্দিরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এই মন্দিরটির তিন দিকে রয়েছে আরব সাগর।
মুরুদেশ্বর মন্দিরের শিবমূর্তি বিশ্বের দ্বিতীয়তম দীর্ঘ শিব মূর্তি। ১২৩ ফুট উঁচু। গোপুরমের লিফট থেকে উপরে উঠে শিবের মূর্তিটি দেখতে কেমন সুন্দর লাগে ছবিতে দেখুন। সামনে থেকে দেখতে আরও অপূর্ব দেখায়।
এই মন্দিরটির এরকম নামকরণের কারন, এটি বঙ্গোপসাগরের ঠিক পাশেই অবস্থিত। অষ্টম শতাব্দীতে পল্লব রাজবংশের রাজা তৃতীয় নরসিংহবর্মনের শাসনকেলে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। এখানে তিনটি মন্দির রয়েছে।
এর মধ্যে মূল মন্দিরটি পূর্ব দিকে মুখ করে অবস্থিত এবং এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শিব লিঙ্গের উপরে সূর্যের রশ্মি সরাসরি ভাবে পরে।
কর্ণাটকে কোলার জেলায় অবস্থিত কোটি লিঙ্গেশ্বর মন্দির বিখ্যাত বিশাল বিশাল শিবলিঙ্গের জন্য। সর্বোচ্চ শিবলিঙ্গটি ১০৮ ফুট দীর্ঘ।
শিবদৌল ১৭৩৪ সালে অহোম রাজা স্বর্গদেব শিব সিংহের রানী অম্বিকা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটি শিবসাগর নামে একটি মনুষ্যসৃষ্ট লেকের তীরে রয়েছে। সেই হ্রদের আশ্চর্য বিষয় হল যে, লেকের জলের স্তর শিবসাগর শহরের স্তরের চেয়ে বেশি!
১০৬০ সালে অম্বরনাথ মন্দিরের নির্মাণ হয়। পাথর খোদাই করে মন্দির বানানো হয়েছে। এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর গর্ভগৃহ মাটির নীচে। তবে উপরের অংশ খোলা, আকাশ দেখা যায়। গর্ভগৃহে নেমে শিবলিঙ্গ দেখার জন্য ২০টি সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয় নীচে।
আপনি কি জানেন যে শিবের মোট পাঁচটি কেদার মন্দির রয়েছে? – যার মধ্যে কেদারনাথ মন্দির সর্বাধিক জনপ্রিয়। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত তুঙ্গনাথ মন্দির পাঁচটি কেদার মন্দিরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত। এটি সম্ভবত বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির। এটি ১২,০৭৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
মন্দিরটি খাজুরাহোর বাকি মন্দিরের মধ্যে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সুন্দর। এটি মধ্যযুগীয় মন্দিরগুলির সেরা সংরক্ষিত মন্দিরের নিদর্শন।
শিবের পঞ্চভূত স্থলের পাঁচটি জায়গার মধ্যে এটি একটি। অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গকে অগ্নি লিঙ্গম হিসাবে পূজা করা হয়। নবম শতাব্দীতে মন্দিরের বর্তমান রূপের ভিত্তি চোল শাসকরা নির্মাণ করেন। এরপরে, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় মন্দিরে বেশ কয়েকটি নতুন নির্মাণ হয়েছিল। এই সময়ই বিখ্যাত ‘প্রাসাদের হাজার স্তম্ভ’ও নির্মিত হয়েছিল।
কেরালার থ্রিসুর শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন শিব মন্দির এটি। মন্দিরের দেওয়ালে মহাভারতের অনেক সুন্দর ছবি দেখা যায়। মন্দিরের প্রধান শিবলিঙ্গ বছরের পর বছর ধরে ঘি দিয়ে অভিষেক করে আসা হচ্ছে। ভক্তরা শিবলিঙ্গে ঘি দিয়ে এত অভিষেক করেছেন যে এখন শিবলিঙ্গটি পুরোপুরি ঘি’য়ে ঢাকা পরে গিয়েছে।
রামেশ্বরম মন্দিরটি শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি। এই মন্দিরের করিডোরটি ভারতের বাকি হিন্দু মন্দিরের চেয়ে দীর্ঘতম। মনে করা হয় যে, এখানে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম উপাসনা স্বয়ং ভগবান শ্রী রাম করেছিলেন।
মন্দিরটি মধ্য প্রদেশের সাতনার কাছে অবস্থিত। পঞ্চম থেকে ষষ্ট শতাব্দীর মধ্যভাগে এই মন্দিরের নির্মাণ হয়। এর বেশিরভাগ অংশ সংরক্ষণ না হওয়ার ফলে ভেঙে গিয়েছে। তবে শিবলিঙ্গটি একেবারে অক্ষত আছে।
১৯৩৫ সালে রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল তাঁর নতুন রাজধানীতে এই মন্দিরের স্থাপনা করেন। থাঞ্জাভুরের বৃহদেশ্বর মন্দিরের থেকে এটি ভিন্ন।
আপনার কাছে কি সুন্দর শিব মন্দির সম্পর্কে কোনও তথ্য রয়েছে যা আমাদের এই তালিকায় নেই? তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের তা জানান। মন্দিরের নাম ও ছবি দিলে আমাদের এই তালিকায় তা যুক্ত করে নেব।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…