দেখতে দেখতে আবারও হতে চলেছে অপেক্ষার অবসান। আবার আনন্দে মেতে উঠবে গোটা দেশ। মা আসছেন বঙ্গে। কিন্তু এবার কিসে চেপে আসছেন মা? আর তার ফলই বা কি হবে? আর পূজা শুরুই বা হচ্ছে কোন দিন থেকে, অষ্টমীটাই বা কবে? নিশ্চয়ই এসব প্রশ্ন ভিড় করে আসছে মনে। তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম এবছরের দুর্গাপূজা পঞ্জিকা।
মহালায়া
৯ই অক্টোবর, বুধবার
মহাপঞ্চমী
১৪ই অক্টোবর, রবিবার
মহাষষ্ঠী
১৫ই অক্টোবর, সোমবার
মহাসপ্তমী
১৬ই অক্টোবর, মঙ্গলবার
মহাঅষ্টমী
১৭ই অক্টোবর, বুধবার
মহানবমী
১৮ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার
বিজয়া দশমী
১৯শে অক্টোবর, শুক্রবার
আমরা জানি মা দুর্গার সর্বকালের, সবসময়ের বাহন সিংহ। কিন্তু সিংহের সাথে সাথে, প্রতি বছরই মা নানান আলাদা বাহনে চেপে আসেন মর্তে।
প্রতি বছরই মা দুর্গার নানান বাহনে আগমন ঘটে। যেমন গজ, দোলা, নৌকা, ঘোটক এর মধ্যে কোনও একটিতে মা আসেন। শাস্ত্রীয় মত অনুসারে মা কিসে আসছেন, তার ওপর সারাবছর আমরা কেমন থাকব সেটি নির্ভর করে।
এই চার বাহনের মধ্যে শাস্ত্রীয় মতে, গজকেই সবথেকে শুভ বলে মনে করা হয়। চলুন ছোট করে দেখে নেওয়া যাক, দেবীর বিভিন্ন বাহনে আগমনের ফল কি হতে পারে।
আগেই বললাম গজকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। গজ মানে হাতিতে মায়ের আগমন ঘটলে, সেই বছরটি অত্যন্ত শুভ ও ভালো বছর বলে মানা হয়। কারন সাংসারিক জীবন থেকে সামাজিক ও রাজনেতিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই বজায় থাকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
ঘোটকে দেবীর আগমন তেমন শুভ নয় বলে মনে করা হয়। নানান রকম অশুভ প্রভাব পড়ে সমাজে। তাই ঘোড়া বা ঘোটকে মা এলে পরিস্থিতি শুভ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
দোলায় আগমনও ক্ষতিকর। কারণ দোলায় আগমন হলে, সেটি নানান রোগ ও মহামারীর ইঙ্গিত বহন করে। সেই বছর মহামারীতে সমাজ ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই শাস্ত্রীয় মতে, সবাই সবার পাশে থাকলে, তবেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
দেবীর আগমন যদি নৌকায় ঘটে। তাহলে একদিকে যেমন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তেমনই অন্যদিকে আবার মা, ধরিত্রীকে শস্য শ্যামলা করেও তোলেন। খুব ভালো ফসল হবে সেই বছর। কৃষিতে উন্নতি ঘটবে বলে মানা হয়।
এবার মা আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। যার ফল ‘ছত্রভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’। মানে ঘোড়ায় আগমন ও গমনে নানাভাবেই সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
বাড়তে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতিও। সবদিকেই যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, ও সাংসারিক ক্ষেত্রেও দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানান বিশৃঙ্খলা, উত্থান ও পতন। সামাজিক স্তরেও দেখা দেবে নানান সমস্যা। অন্যায়, অনাচার, বিশৃঙ্খলা, অশান্তি বাড়বে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনা বাড়বে আর সেই দুর্ঘটনা থেকে অপমৃত্যু। এছাড়াও নানান রোগের প্রকোপও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই নানা জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ আমরা দেখছি।
শাস্ত্রীয় মতে বলা হয়, যদি দেবীর আগমন ও গমন শনি ও মঙ্গলবারে হয় তাহলে দেবীর আগমন ঘোটকে। তার ফলে ঘোটকের নানান প্রভাব থাকবে।
শাস্ত্রীয় মতে, মন দিয়ে মায়ের পূজা করলে, মা দুর্গাই আমাদের সকল বিপদ থেকে মুক্ত করবেন। খুশি মনে মা কে আগমন জানান। একমাত্র তিনিই পারেন আমাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে। বিপদরূপী এই মহিষাসুরকে বদ করতে। তাই চলুন আমরা এখন থেকেই মায়ের আগমনের প্রস্তুতি শুরু করি। শুরু করি মাতৃবন্দনা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…