কপাল চওড়া যাদের তারা কোন হেয়ার স্টাইল করলে ভালো দেখাবে সেটা বুঝতে পারেন না। চুল টেনে পিছনের দিকে বাঁধলে চওড়া কপাল বেরিয়ে পড়ে, আবার সবসময় চুল খুলে রাখাও সম্ভব হয় না। তাই যাদের কপাল চওড়া তাদের জন্য কিছু হেয়ার স্টাইলের খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।
যাদের কপাল চওড়া তাদের ব্যাং (bangs) হেয়ারস্টাইলের সঙ্গে ব্লান্ট বব খুবই মানানসই। কপালের দৈর্ঘ্য অনুসারে চুল কেটে নিলে তা কপালটিকে ঢেকে দেয় এবং বাকি অংশের চুল পুরো মুখকে কভার করে রাখে।
যেসব মেয়েদের কপাল বড় তারা নিঃসন্দেহে চুলটা এইভাবে স্টাইলআপ করুন। এই হেয়ারস্টাইলে কোনও ঝঞ্ঝাট নেই। এটা আপনার চওড়া কপাল প্রকট হতে দেয় না এবং যেকোনও মুখের শেপেই এই স্টাইলিং খুব ভালো যায়।
চওড়া কপাল এবং পাতলা চুল যাদের তাদের কাছে হেয়ার স্টাইলিং খুবই সমস্যাজনক। আপনারও যদি একই সমস্যা হয় তাহলে এই হেয়ারস্টাইলটি অবশ্যই ট্রাই করুন। এই সাইড ব্যাংস-এর জন্য সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে আপনার চোখদুটি।
ওভাল ফেসকাটিং এবং লম্বা চুলের জন্য একেবারে মানানসই স্টাইলিং করা যায় এর সাহায্যে। এতে আপনার এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে, এক আপনি আপনার চওড়া কপাল আড়াল করতে পারবেন এবং মুখের কাটিংটিও সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন।
মুখের ওপর চুল পড়লে যদি আপনার আপনার আপত্তি না এবং চওড়া কপাল-এর সঙ্গে মানানসই করে তুলতে অবশ্যই ট্রাই করুন এই হেয়ার স্টাইল। এত আপনার চুলে একটা ন্যাচরাল বাউন্স আসবে।
আপনার চুলকে কয়েক টন ভলিউম দিতে চাইলে এই হেয়ারস্টাইলটি আপনার জন্য প্রযোজ্য। চওড়া কপালের অধিকারী যারা তারা এই হেয়ার স্টাইল করলে এটি আপনার চেহারায় এক বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।
চওড়া কপাল হলেই বা, আপনারও যদি ইচ্ছে করে মিষ্টি বেবি ডলের মতো লুক পেতে তাহলে অবশ্যই এই হেয়ারস্ট্যাইলটি করে দেখুন। গোল মুখ এবং চওড়া কপাল যাদের তাদের জন্য এটি আদর্শ।
চওড়া কপাল আড়াল করার জন্য আপনার সবসময় ব্যাংস-এর প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে চুলে লং লেয়ার কাট করে নিন। লং লেয়ার কাট আপনার চেহারায় একটা সাদামাটা কিন্তু এফেক্টিভ লুক এনে দেবে।
অনেক মহিলাই চুলে ফ্রিঞ্জ করা পছন্দ করেন না। কিন্তু চওড়া কপাল যাদের তাদের মুখে এটা খুবই মানানসই। সেক্ষেত্রে ফ্রিঞ্জের সঙ্গে লব ট্রাই করুন। আর পেয়ে যান একটা কুল হেয়ারস্টাইল।
চুলে বেড-হেড টাইপ ভলিউম এনে তাতে একটা ওয়েভ দিন। ওয়েভগুলি আপনার বড় কপাল লুকোতে সাহায্য করবে এবং আপনার লুকে একটা নতুনত্ব আনবে।
একেবারেই পাতলা চুল তার ওপর আবার চওড়া কপাল যাদের তারা এই হেয়ারস্টাইল অবশ্যই ট্রাই করুন।
আপনি যদি ভেবে থাকেন চওড়া কপাল বলে আপনাকে ছোট চুলে মানাবে না তাহলে খুব ভুল ভাবছেন। মিডিয়াম পিক্সি কাটের সঙ্গে সাইড-সোয়েপ্ট ব্যাংস-এর কম্বিনেশন অসাধারণ।
চওড়া কপাল হলে আপডু খুবই মজাদার। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আপনার পনিটেলের প্রান্তটি টেনে মাথার ওপর একটা হেয়ার বান করে তার পাশ দিয়ে আটকে দিন। এতে আপনার চওড়া কপাল কারওর নজরে পড়বে না।
পার্টিতে করার মতো একটি হেয়ারস্টাইল এটি। এমন সুন্দর হেয়ারস্টাইল খুব সহজেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে যার ফলে আপনার চওড়া কপাল আর কারওর নজরে আসবে না। মাথার ওপর এমন বিনুনির ব্যান্ড মাথার ওপর আলাদা করে অনেকটাই ভলিউম যোগ করে।
এই বোহোচিক হেয়ার স্টাইল আপনার মুখের কাটিংটাই বদলে দিতে পারে। এক্ষেত্রে মাথার সামনের একপ্রান্ত থেকে বিনুনি শুরু করে অপর প্রান্তে চুলের শেষ পর্যন্ত বিনুনি করে যান। এর থেকে ভাল হেয়ারস্টাইল আর কি বা হতে পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…