আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হয়তো শিরোনাম দেখেই ভাববেন যে আবার কিছু গাল-গল্প আপনাদের সামনে বলা হবে। কারণ অনেকেই মনে করেন যে বাস্তু শাস্ত্র নাকি ভাঁওতাবাজি, এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও যোগ নেই। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্রের সঙ্গেও বিজ্ঞানের যোগ আছে।
এটি আর কিছুই নয়, আপনার বাড়িতে কোন দিকে কী রাখবেন, সেই সম্পর্কে একটি ধারণা। আমাদের সনাতন পুরাণে, যেমন মৎস্য পুরাণেও এই বাস্তু শাস্ত্রের উল্লেখ আছে। আজ আপনাদের জানাবো ১০১টি বাস্তু টিপস যা আপনার জীবন খুশিতে ভরিয়ে দেবে।
আমাদের শক্তির প্রাধান উৎস সূর্য। আর সূর্যের আলো আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই দরকার। বাস্তু শাস্ত্র বলে দেয় কোন দিকে কী রাখলে আপনার ঘরে সূর্যের আলো খুব ভালো ভাবে প্রবেশ করবে। ফলে আপনি থাকবেন নীরোগ। আর আমাদের মনের উপর রঙের কিন্তু অনেক প্রভাব আছে।
কালারথেরাপি আজকের দিনে স্বীকৃত বিজ্ঞান। বাস্তু শাস্ত্র কিন্তু এই রঙ নিয়েও কথা বলে। আমরা সাধারণত চারটে দিকের কথা বলি, উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব আর পশ্চিম। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্রকাররা আরও চারটে দিকের কথা বলেন, যেমন ঈশান কোণ ( উত্তর-পূর্ব ), নৈঋত কোণ ( দক্ষিণ- পশ্চিম ), অগ্নি কোণ ( দক্ষিণ- পূর্ব ) আর বায়ু কোণ ( উত্তর- পশ্চিম )। এই দিকের উপরেই নির্ভর করে বাস্তু শাস্ত্র তৈরি হয়েছে। এবার আমরা দেখে নেব ঠিক কী কী করলে আমাদের জীবন খুশিতে ভরে উঠবে বাস্তু মতে।
১. ডাইনিং টেবিল কখনই প্রধান দরজার সামনে অর্থাৎ মুখোমুখি হওয়া ঠিক নয়। দরজা থেকে যেন টেবিল দেখা না যায়।
২. উত্তর- পূর্ব দিকে তুলসী গাছ রাখা উচিৎ।
৩. যেখানে আপনি টাকা রাখেন সেই স্থান সব সময়ে দক্ষিণ দিকে হওয়া উচিৎ।
৪. বাড়িতে যে দরজা দেওয়া তাক থাকে তার দরজা এমন ভাবে করবেন যেন তা খোলার সময়ে উত্তর দিক করেই খোলে।
৫. যদি বাড়ির দরজা খোলা বা বন্ধ করার সময়ে শব্দ হয় তাহলে তা শুভ নয়। দরজায় নিয়মিত তেল দিন যাতে এই শব্দ না হয়।
৬. ঘুমোবার সময়ে উত্তর দিকে মাথা করে একেবারেই ঘুমোবেন না। এতে শরীর খারাপ হয়।
৭. বাড়ির দক্ষিণ- পূর্ব কোণে কখনই হনুমানের মূর্তি বা স্ট্যাচু রাখতে নেই। থাকলে তা সরিয়ে দিন।
৮. বাড়ির উত্তর- পূর্ব দিক যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখুন। এখানে বেশি কিছু তৈরি করবেন না।
৯. বেডরুমে বিছানা পাতার সময়ে মনে রাখবেন যেন খাটের উপর কোনও বিম না থাকে। এতে নেগেটিভ এনার্জি তৈরি হয়।
১০. বাড়ির উত্তর- পূর্ব দিক সব সময়ে পরিষ্কার রাখুন। না হলে বাড়ির প্রধানের শরীর খারাপ লেগেই থাকে।
১১. বাথরুম ব্যবহার করার পর দরজা বন্ধ করুন। বাথরুমের দরজা খোলা রাখলে সব সময়ে তা নেগেটিভ এনার্জি তৈরি করে।
১২. বাড়ির হল ঘরে বা ডাইনিং রুমে একটি উদিত সূর্যের ছবি থাকলে ভালো। এতে পজিটিভ এনার্জি আসে।
১৩. ঘর পরিষ্কার করার কোনও রকম উপকরণ যেন রান্নাঘরে না থাকে। থাকলে সরিয়ে নিন।
১৪. রান্নাঘরে আয়না থাকা শুভ মানা হয় না।
১৫. টেলিফোন রাখতে হলে তা রাখতে হবে ঘরের উত্তর- পশ্চিম বা দক্ষিণ- পূর্ব দিকে। কিন্তু কখনই তা উত্তর বা দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে রাখা ঠিক হবে না।
১৬. বাড়িতে পুজোর স্থান আর বাথরুম কাছাকাছি হওয়া উচিৎ নয়।
১৭. সন্ধেবেলা বাড়িতে ধূপকাঠি দেখান। এটি শুভ হিসেবে ধরা হয়।
১৮. ঠাকুর পুজো করার সময়ে আপনার মুখ যেন উত্তর- পূর্ব দিক করে থাকে।
১৯. ঘরের উত্তর দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিৎ। তাতে নয়টি গোল্ডফিস আর একটি কালো গোল্ডফিস রাখুন। এতে শুভ হবে।
২০. বেডরুমে কোনও জলাধার, তার ছবি বা প্ল্যান্ট রাখবেন না। থাকলে তা সরিয়ে দিন।
২১. টিভি রাখুন সব সময়ে ডাইনিং রুমে আর তা রাখতে হবে দক্ষিণ- পূর্ব দিক করে।
২২. দরজার কাছে আলো কম হওয়া ঠিক নয়। দরজার কাছে সব সময়ে বেশি ওয়াটের আলো রাখুন।
২৩. ঘরে টাকার জোগান পর্যাপ্ত রাখতে উত্তর দিকে একটি পাত্রে নুন রাখুন। এই নুন সময়ে সময়ে পরিবর্তন করুন।
২৪. বিছানা দক্ষিণ- পশ্চিম দিক করে রাখুন। কখনই উত্তর বা পূর্ব দিক করে রাখতে নেই।
২৫. আপনাদের বিয়ের ছবি ঘরের উত্তর দিকে রাখুন।
২৬. আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য রাতে ঘুমোবার সময়ে একটি তামার পাত্রে জল নিয়ে আপনার পাশে রাখুন। এতে পজিটিভ এনার্জি পাবেন।
২৭. ক্যালেন্ডার পূর্ব দিক করে রাখুন, এতে পজিটিভ এনার্জি পাবেন সারা বছর।
২৮. বাড়ির প্রতি কোণ যেন আলো পায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। কোণে যেন ময়লা না থাকে।
২৯. এমন কোনও কিছুর ছবি রাখবেন না বাড়িতে যা থেকে নেগেটিভ এফেক্ট আসে। সবুজ গাছের ছবি রাখতে পারেন।
৩০. বাড়ির উত্তর- পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর করুন। আর ঠাকুরের মুখ রাখুন উত্তর দিক করে।
৩১. উত্তর-পশ্চিম দিকে কখনই বাচ্চাদের ঘর হওয়া উচিৎ নয়।
৩২. দক্ষিণ- পূর্ব দিকে কখনই রান্নাঘর হওয়া উচিৎ নয়। এতে বাড়ির শান্তি বিঘ্নিত হয়।
৩৩. দক্ষিণ দিক করে বাথরুম হওয়া উচিৎ নয়।
৩৪. বেডরুম কখনই দক্ষিণ- পশ্চিম দিক করে করতে নেই। এতে অশান্তি বাড়ে।
৩৫. বাড়ির দরজা আর জানালার অভিমুখ পূর্ব বা উত্তর দিক করে থাকা উচিৎ।
৩৬. বাড়ির বড়দের ছবি সব সময়ে দক্ষিণ দিকে রাখা উচিৎ।
৩৭. খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর সিঙ্কে অনেকক্ষণ বাসন রাখা উচিৎ নয়। এতে বাড়ির দারিদ্র্য প্রকাশ পায়।
৩৮. মনে রাখবেন বাড়ির তিনটি দরজা থাকলে তাদের অভিমুখ যেন একই দিকে না হয়।
৩৯. বাড়ির মাঝখান করে যেন প্রধান দরজা না থাকে।
৪০. প্রধান দরজা পূর্ব বা উত্তর দিক করেই থাকা উচিৎ।
৪১. প্রত্যেক দিন ইষ্ট দেবের সামনে প্রার্থনা করুন।
৪২. ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বাড়িতে থাকা ঠিক নয়।
৪৩. বাড়ির বাইরে ছোট বাগান করে সুগন্ধী গাছের চারা লাগান। এটি শুভ মানা হয়।
৪৪. প্রধান দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন ব্যবহার করুন।
৪৫. প্রধান দরজার কাছে আপনি গনেশ বা লক্ষ্মীর মূর্তি রাখতে পারেন।
৪৬. প্রধান দরজার দৈর্ঘ্য যেন প্রস্থের দ্বিগুণ হয়।
৪৭. প্রধান দরজার কাছে কোনও জলের উৎস রাখা ঠিক হবে না।
৪৮. ঘরের দরজা বা জানলার রঙ কালচে হওয়া ঠিক নয়।
৪৯. বাড়ির কোনও কোণের দিকে খাঁজ হয়ে থাকা শুভ বলে মানা হয় না।
৫০. বাড়ির প্রধান দরজার সামনে কোনও মন্দির থাকলে তা শুভ বলে ধরা হয় না।
৫১. বাড়ির মধ্যে ভাঙা কাচের কিছু রাখবেন না। এটি অশুভ মানা হয়।
৫২. বেডরুমে আয়না রাখবেন না।
৫৩. ড্রেসিং টেবিল একদম বিছানার মুখোমুখি রাখা ঠিক হবে না।
৫৪. সাদা অর্কিড গাছ বাড়িতে লাগালে ভালবাসা বাড়ে মানুষদের মধ্যে।
৫৫. রান্নাঘরে রান্না করার সময়ে মনে রাখবেন যিনি রান্না করছেন তাঁর মুখ যেন পূর্ব দিক করে থাকে।
৫৬. পূর্ব দিকে মুখ করে খাবার খান। এতে হজম ক্ষমতা বাড়বে।
৫৭. বিবাহিত মহিলাদের ঘর উত্তর- পশ্চিম দিকে হওয়া উচিৎ।
৫৮. যে সব বাচ্চাদের পড়ায় মন কম তাদের মুখোমুখি বসে পড়ান।
৫৯. বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি ধ্বংস করার জন্য জলে নুন দিয়ে রাখুন।
৬০. সব সময়ে বাড়িতে শঙ্খ রাখা উচিৎ।
৬১. বাড়িতে বিয়েবাড়ির কার্ড আসলে তা দেখার পর ছিঁড়ে ফেলতে নেই।
৬২. অফিসে আপনার কেবিন দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে হওয়া উচিৎ।
৬৩. অফিসে উত্তর- পূর্ব দিক করে কাজ করা উচিৎ।
৬৪. রান্নাঘরের সিঙ্ক সব সময়ে উত্তর দিকে থাকা উচিৎ।
৬৫. রান্নাঘরে যে আলমারি থাকে তার মুখ থাকা উচিৎ পশ্চিম বা দক্ষিণের দেওয়ালে।
৬৬. রান্নাঘরে দক্ষিণ দিকে কোনও জানলা করবেন না।
৬৭. রান্নাঘরের সঙ্গে জলের কোনও উৎসের যোগ থাকা উচিৎ নয়।
৬৮. বাড়ির মহিলাদের রোজ সকালে উঠে প্রধান দরজায় জল দেওয়া উচিৎ। এতে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
৬৯. প্রধান দরজার কাছে পারলে ছোট হলেও ঘণ্টা রাখার চেষ্টা করুন।
৭০. প্রধান দরজা বাড়ির একদম মুখোমুখি হতে নেই। একটু ডান দিক বা বাঁ দিক ঘেঁষে করুন।
৭১. প্রধান দরজা সবও সময়ে ভিতর দিক করে খোলা উচিৎ, বাইরের দিক করে নয়।
৭২. একটি ধাতুর তৈরি কচ্ছপ বাড়ির উত্তর দিকে রাখুন। এতে শুভ হয়।
৭৩. বাড়ির উত্তর দিকে পিপল গাছ থাকা ঠিক নয়।
৭৪. রান্নাঘরের দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে খাবার রাখা উচিৎ।
৭৫. রান্নাঘরের আলো না জ্বালিয়ে আগুন ধরানো ঠিক নয়। এতে বাচ্চাদের ক্ষতি হয়।
৭৬. রান্নাঘরে গিয়ে কখনই কাঁদা উচিৎ নয়।
৭৭. উত্তর দিকের মেঝের টাইলস বা রঙ একটু ডার্ক হলে ভালো।
৭৮. বাড়ির উত্তর- পশ্চিম দিকের পর্দা যদি একটু গ্রে রঙের হয় তাহলে তা শুভ ধরা হয়।
৭৯. সিঁড়ির শুরুতে ব শেষে কোনও দরজা থাকা শুভ নয়।
৮০. কোনও কিছুর ফুলকি বা ধরুন কোনও ঝরনার জল বাড়ির ভিতরে আসতে দেবেন না। বিশেষ করে কোণের দিকে তো নয়ই।
৮১. সিঁড়ির নিচে পুরনো জিনিস রাখার জন্য স্টোর রুম করবেন না।
৮২. বাড়ির ইলেকট্রিক বোর্ড অগ্নি কোণে করা উচিৎ।
৮৩. ঠাকুর ঘরের দরজা দুই পিলারের উপর করা উচিৎ।
৮৪. বেডরুমে ঠাকুর রাখা উচিৎ নয়।
৮৫. একটি নীল বালতি বা ঝুড়ি বাথরুমে রাখুন।
৮৬. ডার্ক রঙের টাইলস বাথরুমে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
৮৭. রান্নাঘরের উচ্চতা বাথরুমের থেকে বেশি হওয়া উচিৎ।
৮৮. বাড়িতে ট্যাপ কল রাখবেন না।
৮৯. বাথরুমের আয়না দরজার মুখোমুখি না হওয়াই ভালো।
৯০. বাচ্চাদের পায়খানা করার সরঞ্জাম সব সময়ে দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে রাখা উচিৎ।
৯১. বেডরুমের ঢাল সব সময়ে উত্তর পূর্ব দিক করে হওয়া উচিৎ।
৯২. বাড়ির পশ্চিম দিকে কোনও শনি মূর্তি যেন না থাকে।
৯৩. সিঁড়ি উত্তর দিক করে তৈরি করা ঠিক নয়।
৯৪. সিঁড়ির ঢাল পূর্ব দিক করে হওয়া উচিৎ।
৯৫. দক্ষিণ এবং দক্ষিণ- পশ্চিম দিকের দেওয়াল একটু মোটা হলে ভালো।
৯৬. উত্তর- পূর্ব দিক ধরা হয় বাড়ি থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার জায়গা হিসেবে ভালো।
৯৭. ১৬ বছর বয়সী কারোর বেডরুম পশ্চিম দিকে হওয়া উচিৎ।
৯৮. দরজার দিকে পা যেন না থাকে শোবার সময়ে।
৯৯. একই বিছানায় দুটি ম্যাট্রেস যেন না থাকে।
১০০. যদি দোতলা বাড়ি হয়, তাহলে বাড়ির প্রধানের ঘর সব সময়ে উপরে থাকা উচিৎ, নিচে নয়।
১০১. বাড়ির বেসমেন্ট থাকলে সেখানে কখনই বেডরুম করা ঠিক হবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…