উইপোকার উপদ্রবের কাছে অন্য কোনও কিছুর উপদ্রব টেকে না। কাঠ থেকে শুরু করে কাগজ, সব জিনিস উই কেটে শেষ করে দেয়। অনেক ভাল ডিজাইনের ফার্নিচার নষ্ট হয়ে যায় এভাবে। তাই উইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতেই হবে। খুব বেশি কিছু করতে হয় না এই জন্য। সামান্য কিছু হাতের কাছে থাকা জিনিস দিয়েই সহজে উইপোকা থেকে ঘরকে রক্ষা করুন।
স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া বা নিয়মিত কম আলোয় থাকা জিনিসে উই বেশি তাড়াতাড়ি ধরে। তাই মাঝে মাঝে কড়া রোদে দিন ফার্নিচার। এতে ফার্নিচারে উই হবে না। আর উই হয়ে থাকলেও তা সহজে বেরিয়ে যাবে। গরমকালে অন্তত সপ্তাহে দুই বার করে ফার্নিচার রোদে দিন খুব উইপোকার সমস্যা হলে।
কার্ডবোর্ড আমাদের ঘরে থেকেই থাকে। এই কার্ডবোর্ড ব্যবহার করুন উই মারতে। কার্ডবোর্ড এমনিতেই কাঠের গন্ধযুক্ত হওয়ায় উই এর প্রতি আকৃষ্ট হবে। এই কার্ডবোর্ড অল্প জলে ভিজিয়ে নিন। ফলে এর মধ্যে আরও ভাল স্যাঁতস্যাঁতে ভাব চলে আসবে। এই ভিজা কার্ডবোর্ড এবার উই হওয়া জায়গায় রেখে দিন। দেখবেন উইপোকা এই কার্ডবোর্ডের দিকে চলে আসছে। এই কার্ডবোর্ড এবার উই সমেত ফেলে দিন।
বোরিক অ্যাসিড খুব ভাল। উই তাড়াতে বা যে কোনও পোকা তাড়াতে সাহায্য করে। ওষুধের দোকানে পেয়ে যাবেন বরিক অ্যাসিড। এই বোরিক অ্যাসিড জলে গুলে নিন। সেই জল স্প্রে করুন উই হওয়া জায়গায়। নিয়মিত এটি করতে থাকুন। খুব তাড়াতাড়ি উই চলে যাবে।
কেরোসিন তেল উই তাড়াতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। কেরোসিনের গন্ধ উই সহ্য করতে পারে না। এর ফলে আপনি যদি অল্প কেরোসিন ফার্নিচারে দিয়ে রাখেন তাহলে খুব ভাল হয়। এতে উই সহজে আসবে না। আর উই যদি হয়েও থাকে তাহলে ওই জায়গায় কেরোসিন স্প্রে করে দিন। সহজে চলে যাবে।
আসবাবপত্র সব সময়ে পরিষ্কার রাখুন। নোংরা অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকলে সেখানে ড্যাম পড়ে। আর ড্যাম পড়লে সেখানে উই বাসা বাঁধে। মাটি, ভিজা কাপড়, জলের বোতল ইত্যাদি কাঠের জায়গায় না রাখাই ভাল। এর থেকে জল চুইয়ে পড়ে। তাই সব সময় কাঠের আসবাব শুকনো পরিষ্কার রাখুন।
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও খুব কার্যকরী এটি। অ্যালোভেরা উই তাড়াতে খুব তাড়াতাড়ি ভাল কাজ দেয়। তেমন খাটনির কিছু নেই। শুধু একটি কাপড়ে অল্প অ্যালোভেরা জেল নিয়ে কাঠের ফার্নিচারে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতে খুব তাড়াতাড়ি উই চলে যায়। অ্যালোভেরার গন্ধ উইয়ের সহ্য হয় না।
কাঠের ফার্নিচার থাকলে তাতে নিয়ম করে পালিশ করান। অন্তত বছরে একবার পালিশ করার। কাঠের ফার্নিচার পালিশ করার সময় তার্পিন তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেলের গন্ধেও উই আসতে পারে না। তাই মাঝে মাঝে চাইলে তার্পিন তেল নিজেও ঘষে দিতে পারেন আসবাবে।
রাবার মালচ যে কোনও ভাল আসবাবের দোকানে পাওয়া যায়। সেটা এনেও যদি আসবাবে পালিশ করে দিতে পারেন তাহলে খুব ভাল হয়। অনেক সময়ে ভাল আসবাবের দোকানে বলে আসলে সেখান থেকে প্রফেশনাল লোক এসে এই রাবার মালচিং করে দিয়ে যান। এটিও উই তাড়াতে খুব কার্যকরী।
ঘরের তাপমাত্রা মোটামুটি উষ্ণ রাখুন। ঘরে রোদ আসতে দিন, হাওয়া চলাচল করতে দিন। স্যাঁতস্যাঁতে যেন না হয়ে থাকে ঘর। সারাদিন দরজা জানলা বন্ধ করে এসি চালিয়ে রাখা না স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, না ঘরের জন্য। তাই ঘরের তাপমাত্রা ভাল থাকলে, উষ্ণ থাকলে উই কম হবে।
আসবাবে কোনও ক্র্যাক হয়ে গেলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে নিন। এই ক্র্যাকের মধ্যেই কিন্তু উই বাসা বাঁধবে। তারপর সেখান থেকে গোটা আসবাব নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এরকম ক্র্যাক দেখা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই জায়গা ভরাট করুন।
এই কয়েকটি ছোটখাটো জিনিস মনে রাখলে উই সহজে আর হবে না। আসবাব থাকবে সুরক্ষিত।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…