এখন তারা টলিউডের নামজাদা অভিনেতা। একে ওপরকে টেক্কা দেবার মত। একের পর এক ছবি থেকে ওয়েব সিরিজে তারা জয় করছেন দর্শকদের মন। কিন্তু আজকের এই সাফল্য এই এতোটাই সহজ ছিল? কীভাবে শুরু হয়েছিল সেইসব নামজাদা অভিনেতাদের এই জার্নি? আজ বলব সেই রকমই কিছু অভিনেতাদের শুরুর কথা। যারা ছোট পর্দা থেকে আজ টলিউডের অন্যতম মুখ।
টলিউডে টিনেজারের এখন হার্টথ্রব আবির চ্যাটার্জি। ব্যোমকেশ চরিত্রে যিনি জয় করেছেন হাজার হাজার মানুষের মন এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে। যেমন সুন্দর হাঁসি তেমনই সুন্দর অভিনয়। কিন্তু কীভাবে শুরু হয়েছিল এই অভিনেতার পথচলা?
আবির চ্যাটার্জির জার্নি শুরু হয়েছিল ছোট পর্দা থেকে টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে। যেমন ‘প্রলয় আসছে’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘শুধু তোমারি জন্য’ এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জন্মভূমি’তেও তিনি ছিলেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। এইভাবেই ২০০৯ সালে ‘ক্রস কানেকশন’ ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে তার পথচলা শুরু। তারপর একের পর এক সাফল্য।
টলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন যীশু সেনগুপ্ত। যিনি শুধু টলিউড নন বলিউডেও জনপ্রিয়। বলিউডেও তিনি কাজ করেছেন একের পর এক জনপ্রিয় ছবিতে। বিভিন্ন নামজাদা মানুষদের সঙ্গে যেমন বিগ বি, দীপিকা পাড়ুকন, বিদ্যা বালান, ইরফান খানের মত তাবড় শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন।
তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল, জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক ‘মহাপ্রভু’র মাধ্যমে। সেখানে তিনি মহাপ্রভুর চরিত্রে সকলের মন জয় করেন। তারপর ১৯৯৯ সালে ‘প্রিয়জন’ নামে একটি ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে সেই ছবিটি সফল হয়নি। তারপর ২০০২ সালে ‘মনের মাঝে তুমি’ ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হতে থাকেন। এভাবেই একের পর ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে আজ তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
টলিউডের আরেক অন্যতম অভিনেতা হলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। তার প্রতিটি ছবিই বেশ অন্যরকম হয়। সচরাচর তাকে যেকোনো চরিত্রে দেখা যায় না। বিভিন্ন স্পেশাল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি স্পেশাল হয়ে উঠেছেন।
তবে শুরুর দিকে জার্নিটা এতটাও সহজ ছিল না। অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তিনি আজ এই জায়গা অর্জন করেছেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় থিয়েটারের মাধ্যমে। শুরুতে তিনি বিভিন্ন সিরিয়াল ও টেলি ফিল্মে কাজ করেন। তারপর ২০০৭এ ‘পাগল প্রেমী’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখা। এইভাবেই এক এক করে ছবি করতে থাকেন। ২০০৯এ ক্রস কানেকশন’ ছবির মাধ্যমে বাড়ে তার পরিচিতি। তারপর অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে জয় করেন সবার মন আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি শুধু সফল অভিনেতা নন সফল পরিচালকও বটে। তবে তার আরও একটি বিশেষ পরিচয় আছে। তিনি হলেন কিংবদন্তী পরিচালক ঋত্বিক ঘোটকের নাতি। অভিনয়ের সাথে সাথে পরিচালনাতেও প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তার প্রতিটি ছবির মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষত্ব থাকে।
তিনিও তার অভিনয় জীবন শুরু করেন ছোট পর্দা থেকে। শুরুর দিকে টেলিফিল্ম পরিচালনা করেন তিনি। তারপর ২০০২তে ‘হেমন্তের পাখি’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে তার অভিষেক হয়। এরপর একের পর এক ছবি করতে থাকেন। ২০১১তে ‘জিয়ো কাকা’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবিতে তার পরিচালনার শুরু। এরপর একের পর এক ছবি দর্শকদের উপহার দেন তিনি। সম্প্রতি তিনি পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র চ্যাটার্জির বায়পিক ‘অভিযান’ যেটি মুক্তির অপেক্ষায়।
২০১২তে ‘কাহানী’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। প্রথম হিন্দি ছবিতেই বিদ্যা বালানের বিপরীতে দারুণ অভিনয় করে মন জিতে নেন দর্শকদের।
টলিউডের অন্যতম ফিট অভিনেতা হলেন টোটা রায়চৌধুরী। ফিটনেসে তিনি অনায়াসেই নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদেরও পিছনে ফেলে দিতে পারেন। সম্প্রতি ‘ফেলুদা ফেরত’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে তিনি এখন রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তিনিও শুরুর দিকে অনেক টিভি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন যেমন ‘তারানাথ তান্ত্রিক’, ‘এখানে আকাশ নীল’, ‘অলৌকিক না লৌকিক’ ইত্যাদি। এখন স্টার জলসায় ‘শ্রীময়ি’ ধারাবাহিকে সকলের প্রিয় রোহিত সেন।
কলেজে পড়ার সময়েই তার অভিনয়ের সুযোগ আসে। ডিরেক্টর প্রভাত রায় ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। তারপর থেকেই নানান সুযোগ আসতে থাকে। এভাবেই ২০০৩এ ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি ‘শুভ মহরৎ’এ অভিনয়ের পর থেকে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। একই বছরে ‘চোখের বালি’ ছবিতে তার অভিনয় সকলের নজর কাড়ে।
ধীরে ধীরে টলি পাড়ার বেশ চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন ইন্দ্রাশিষ রায়। বিভিন্ন ছবি এবং ওয়েব সিরিজেও দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে শুরুটা হয় ছোট পর্দা থেকেই। ২০০৯এ আকাশ বাংলায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিরিয়ালের মাধ্যমে। তারপরই কাজ করার সুযোগ আসে ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে। স্টার জলসায় ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘গানের ওপারে’ সিরিয়ালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এইভাবেই আরও বেশ কিছু সিরিয়ালে কাজ করেন তিনি।
সম্প্রতি ‘ধুলোকনা’ সিরিয়ালে ব্যস্ত তিনি। তবে বড় পর্দায় তিনি পা রাখেন ২০১১তে কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় ‘রংমিলান্তি’ ছবির মাধ্যমে। এরপর এক এক করে ছবি ও সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ। সম্প্রতি দেবের ‘গলন্দাজ’ ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি যেটি মুক্তির অপেক্ষায়।
ওয়েব দুনিয়ার বেশ চেনা মুখ এখন সাহেব ভট্টাচার্য। তবে শুধু ওয়েব দুনিয়ায় নয় সিনেমার জগতেও তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। সাহেব ভট্টাচার্যের জীবন শুরু হয় অনেক আগেই শিশু শিল্পী হিসাবে। একটি বাংলা টেলিফিল্ম ‘ভালোয় ভালোয়’ এর মাধ্যমে ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি।
তবে শুরুর দিকে বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালে কাজ করেন তিনি যেমন ‘বন্ধন’, ‘নীর ভাঙা ঝড়’ ইত্যাদি। এভাবেই ২০১০এ সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ‘গোরস্থানে সাবধান’ ছবিতে তোপসে চরিত্রে তার অভিষেক হয় বড় পর্দায়। এরপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যেমন ‘ইতি মৃণালিনী’ , ‘রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য’, ‘খাদ’ ইত্যাদি।
ইনিও টলিউডের অন্য আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে শুধু বাংলা নয় হিন্দিতেও সমানভাবে কাজ করেন তিনি। হিন্দি টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে শুরু করেন তার অভিনয় জীবন। অনেক হিন্দি ধারাবাহিকেই তিনি কাজ করেছেন। তারপর ২০০৪এ হিন্দি ছবির মাধ্যমেই তার বড় পর্দায় পা রাখা। প্রথম ছবিতেই কাজ করেন অনুপম খেরের সঙ্গে।
২০০৯এ ‘জানালা’ ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে পা রাখেন। যেখানে তার বিপরীতে ছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এরপর অনেক বাংলা ছবি করেন ইন্দ্রনীল। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘মিশর রহস্য’ ছবিতে নজর কাড়েন। এছাড়াও অনেক ভালো ভালো হিন্দি ও বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন।
ইনি হলেন টলিউডের আরেক ট্যালেন্টেড অভিনেতা। প্রতিটি ছবিতেই তার অভিনয় হয় দর্শকদের চোখে পড়ার মত। এই প্রতিভাবান অভিনেতার অভিনয় জীবন শুরু হয় ছোট পর্দার মাধ্যমে। শৈবাল মিত্রের পরিচালনায় এক হিন্দি টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। এরপর সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ‘ফেলুদা’ ধারাবাহিকে তোপসে চরিত্রের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয় হতে থাকেন।
১৯৯৬ সালে সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ‘বাক্স রহস্য’ ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তারপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় দিয়ে সকলের মন জয় করতে থাকেন। তারপর ২০১২তে ‘কাহানী’ ছবির মাধ্যমে পা রাখেন বলিউডে। এই ছবিতে বব বিশ্বাসের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অধিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বলিউডেও ছড়িয়ে পরে তার নাম। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজেও নজর কাড়ছেন টিনেজারদের।
বাংলা কমেডিতে অন্যতম চেনা মুখ রুদ্রনীল ঘোষ। তিনিও তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন একজন টেলিভিশন অভিনেতা হিসাবে। ২০০৫এ ‘কান্তাতার’, ‘নাদের চাঁদ’, ‘দিন প্রতিদিন’ ছবির মাধ্যমে তার বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই ছবিগুলিতে তার সেরা অভিনয় দিয়ে তিনি সকলের নজরে আসতে শুরু করেন। এছাড়াও তার ‘চ্যাপলিন’, ‘দ্যা জাপানিজ ওয়াইফ’ ছবিগুলি উল্লেখযোগ্য।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…