অনলাইন হোক বা শপিং মল, নতুন জুতোর কালেকশন দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পরার কথা মনে করলেই গায়ে রীতিমতো জ্বর আসে। কারণ নতুন জুতো থেকে পায়ে যে ফোসকা পড়ে, টানা ৩-৪ দিন পায়ে যেভাবে ব্যথা থাকে তাতে মনে হয় এর থেকে পুরনো জুতো পরে অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়া অনেক ভাল।
তাই বলে তো নতুন জুতো সাজিয়ে রেখে পুরনো জুতো পরে বেরোলে তো আর চলবে না। তাই আপনাদের জন্য রইলো কয়েকটি সহজ টিপস, যা মেনে চললে ফোসকা পড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১) ভ্যাসলিন জেল
- প্রথমবার নতুন জুতো পরার আগে পায়ে খুব ভাল করে ভেসলিন জেল লাগিয়ে নিন।
- বিশেষ করে গোড়ালির দিকে ভাল করে ভেসলিন লাগাবেন, সেইসঙ্গে ভেসলিন লাগাবেন জুতোর ভেতরের অংশেও।
- পায়ে মালিশ করার ২মিনিচ পরে নতুন জুতো পরুন।
- ভেসলিনের পেট্রোলিয়াম জেল ফর্মুলা পায়ে ফোসকা পড়তে দেয় না।
২) তেল মালিশ
- চামড়ার জুতোয় ফোসকা পরার হাত থেকে বাঁচতে প্রয়োজন তেল মালিশ। আপনার পায়ে নয়, জুতোয়।
- এর জন্য মিঙ্ক অয়েল, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল জুতোর ভেতরের অংশে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে।
- এই ভাবে নতুন জুতো পরার ৫-৬ দিন আগে থেকে চলবে এই তেল মালিশ। ৫-৬দিন পর আপনার চামড়ার জুতোর শক্তভাব চলে যাবে।
- পায়ে আর ফোসকা পড়বে না। আপনি যদি জুতোর রঙ সম্পর্কে স্পর্শকাতর হয়ে থাকেন তাহলে তেলের বদলে লেদার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৩) গরম তাপ
- নতুন জুতো পরার আগে প্রথমে একটা মোটা মোজা পরে নিন পায়ে।
- এরপর জুতো পরে পায়ের ওপর ৩০ সেকেন্ড মতো হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে নিন।
- এবার জুতোর ভেতর গরম থাকার সঙ্গে সঙ্গে এদিক-ওদিক একটু হেঁটে নিন।
- এই নিয়ম মেনে চললে পায়ে আর ফোসকা পড়বে না।
৪) একসঙ্গে দুটো মোজা পরুন
- আপনার পায়ে জুতো যদি অতিরিক্ত টাইট হয়, তাহলে পায়ে একসঙ্গে দুটো মোজা পরুন।
- এতে পা এবং জুতোর মাঝখানে একটা গদি তৈরি হবে, যা পায়ে ফোসকা পড়ার হাত থেকে বাঁচাবে।
৫) জুতোকে ঠান্ডা লাগান
- আপাতভাবে বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও এটা খুবই কার্যকর একটা উপায়।
- এর জন্য একটি জিপার ব্যাগে কিছুটা জল নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে নিন।
- জল বরফ হয়ে গেলে তা জুতোর মধ্যে রেখে দিন।
- এতে করে খুব টাইট জুতো বাড়তে থাকে। এতে করে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৬) মোমবাতি
- মোম বা ক্রেয়ন ওয়্যাক্স ফোসকা পড়া আটকাতে খুব ভাল কাজ করে।
- এরজন্য জুতোটি একবার পরে নিয়ে জুতোর যে অংশটি সবচেয়ে বেশি শক্ত বলে মনে হচ্ছে, সেখানে ক্রেয়ন ওয়্যাক্স বা মোম ঘষুন।
- মোম পিচ্ছিল এবং আর্দ্রতাপূর্ণ হওয়ার কারণে এটি জুতো এবং ত্বকের মধ্যে ঘর্ষণ অনেকটাই হ্রাস করে।
৭) ট্যালকম পাউডার
- অনেকেই এমন রয়েছেন, যাদের পা এমনিতেই খুব ঘামে।
- আর অনেকক্ষণ জুতো পরে থাকার ফলেও পা অতিরিক্ত হারে ঘামে আর এর কারণেও কিন্তু অনেকসময়ে পায়ে ফোসকা পড়ে।
- এরজন্য জুতো পরার আগে যদি পায়ে ভাল করে একটু ট্যালকম পাউডার মেখে নেওয়া যায়, তাহলে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
৮) আলুর রস
- আলুর রস ফোসকার যম।
- তাই আলু টুকরো করে কেটে জুতোর ভেতরের অংশে ঘষতে থাকুন, বিশেষ করে হিলের কাছে।
- এটি করলে ফোসকা আর পড়ে না।
৯) ব্যান্ডেড
- এটি খুবই পুরনো একটি সলিউশন। তবে ফোশকা পড়ার পর নয়, ফোসকা পড়ার আগেই লাগাতে হবে ব্যান্ডেড।
- সেক্ষেত্রে নতুন জুতো পরে পায়ের যে অংশে সবচেয়ে বেশি ব্যথা অনুভব হচ্ছে সেখানে ব্যান্ডেড লাগান। দেখবেন পায়ে আর ফোসকা পরেনি।
১০) টো প্রোটেকটার
- আপনার সবরকম সমস্যার সমাধানই আজকাল খুব সহজলভ্য, তেমনই টো-প্রোটেকটার।
- আপনি যদি পায়ে ফোসকা পড়া নিয়ে একান্তই আতঙ্কিত হয়ে থাকেন তাহলে টো প্রোটেকটার সবথেকে আদর্শ উপায়।
- ‘U’-আকৃতির নরম এই প্রোটেকটার আঙুলে পরে নিলে পায়ের সামনের অংশটি ফোসকা পরার হাত থেকে বাঁচতে পারে।