শাড়ি পরতে আপনারা অনেকেই হয়তো ভালবাসেন। কিন্তু শাড়ি পরতে গেলে আপনাদের অনেকেরই মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। শাড়ি সামলানোটা অনেকের কাছেই একটা সমস্যার কারণ। কীভাবে আঁচল সামলাবেন, কীভাবে কুচি সামলাবেন এই ভাবতে ভাবতেই সময় নষ্ট। কিন্তু একটা সামান্য সেফটি পিন দিয়ে অনায়াসে সব চিন্তা মুছে ফেলে মনের সুখে শাড়ি পরতে পারবেন।
শাড়ির আঁচল ঠিক আর সোজা রাখার জন্য আমরা অনেক কসরত করি। কিন্তু আঁচল সোজা রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঠিক ভাবে পিন লাগানো। আপনি সব সময়ে চেষ্টা করবেন পিন ভার্টিকালি বা আঁচলের দিকে লম্বালম্বি করে লাগাতে। এতে আঁচল ঠিক থাকবে। আর এর ফলে আঁচল খুব সুন্দর ভাবে নিচে পড়বে।
শাড়ি মানেই ব্লাউজ আসবেই। আজকাল শাড়ির সঙ্গে ডিজাইনার ব্লাউজ পরি আমরা। পিছনে হুক দেওয়া ব্লাউজ তো আজকাল খুবই কমন। অনেক সময়ে এই হুক লাগাতে গিয়ে বেশ সমস্যা হয়। যদি দুটো হুকের মধ্যে দিয়ে ব্লাউজ লাগাতে হয় তাহলে ব্লাউজের পিছন দিক দিয়ে সেফটি পিন নিন। নিচ থেকে নিয়ে উপরের দিক থেকে বের করে পিন গুঁজে দিন। এতে ব্লাউজ সুন্দর করে পিন করা হবে আর শাড়িও ভাল লাগবে দেখতে।
আঁচল কাঁধের দিকে পিন করার সময়েও একটা কথা মনে রাখা উচিত। অনেক সময়ে পিন ওপরের দিকে বেরিয়ে থাকে। এই জিনিসটা থেকে বাঁচতে হলে ব্লাউজের আর আঁচলের পিছন দিয়ে পিন নিন। দেখবেন যেন কাঁধে ব্যথা না লাগে। এতে করে পিন লাগানোও হবে, আর দেখাও যাবে না ওপর থেকে।
শাড়ি কোমরে পরার সময়ে অনেক সময়ে আমরা ভয় পাই, যদি খুলে যায়! তাই অনেক গিঁট দিই আর সামনেটা উঁচু হয়ে থাকে। দেখতে খুবই খারাপ লাগে। কী করবেন! শাড়ি পরার সময়ে পেটিকোটের সঙ্গে শাড়ি পিন দিয়ে আটকে নিন। এতে করে গিঁট না দিলেও শাড়ি ঠিক থাকবে। খুলে যাওয়ার চিন্তা থাকবে না।
শাড়ি পরার ক্ষেত্রে আমাদের একটা খারাপ অভিজ্ঞতা থাকে। ভাঁজ করা শাড়ি আমরা অনেক সময়ে দেখি পরতে গিয়ে যে কুঁচকে গেছে। তাঁতের শাড়ির ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। তাই শাড়ি যখন ভাঁজ করে রাখবেন তখন ভাঁজের মাঝখানে একটা পিন দিয়ে দিন। এতে শাড়ির ভাঁজ ঠিক থাকবে।
কুচি নিয়ে অনেক সমস্যা। হাওয়া দিকে উড়বে, না ভাল করে ভাঁজ করলে মোটা লাগবে, ফুলে থাকবে। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান শুধু একটা পিন। কুচি ভাঁজ করার পর একটা পিন দিয়ে দিন ভিতর দিক করে। এক আঙুল নিচে আরেকটা পিন দিন। এতে শাড়ির কুচি ক্লিয়ার ভাঁজ অবস্থায় থাকবে।
আপনাদের বলব পিন ব্যবহার করলে কালার পিন নিন। এটি নানা রঙের শাড়ির সঙ্গে বেশ ভালো যাবে। আর শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বলে আপনাকে ভাবতেও হবে না কেমন যেন লাগছে পিনটা! এটা কিন্তু শাড়ি পরার জন্য খুব ভালো একটা টিপস। ফলো করে দেখতে পারেন।
এবার আসি একটা অনবদ্য টেকনিক নিয়ে। অনেক সময়ে আমরা আঁচল খুলে রাখতে চাই। প্লিট করতে চাইন না। কিন্তু চিন্তা সেই একই। যদি ঠিক করে ম্যানেজ করতে না পারি। একটা কাজ করুন। কোমরের কাছে আঁচলের ফলিং অংশটা একটা ছোট পিন দিয়ে আটকে নিন। এর পরেই দেখবেন ম্যানেজ করা সমস্যার ব্যাপারই না।
একটা অনুষ্ঠানে গেলেন। হঠাত করে আপনাকে কেউ বলল নাচতে। কিন্তু আপনি চিন্তায় পড়ে গেলেন শাড়ি পরে নাচবেন কীভাবে। নাচতে গেলেই তো আঁচল খুলে যেতে পারে। মুখে এসে লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আঁচলের নিচের দিকে একটা পিন দিয়ে দেন, তাহলেই আঁচল এক জায়গায় থাকবে। আর নাচের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। শাড়িও হিট আর আপনার নাচও।
রান্না করবেন আর কোমরে আঁচল গুঁজবেন না, তা হয় নাকি! কিন্তু আঁচল গুঁজলে কোমরটা উঁচু হয়ে থাকে। অনেক সময়ে আঁচল খুলেও যায়। শুধু আঁচল নিয়ে গিয়ে কোমরের কাছে একটা পিন দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। দরকার পড়লে আরেকটা পিন দিয়ে দিন। খুলেও যাবে না, আর রান্নাও হয়ে যাবে।
কী ভাবছেন! শাড়ি পরতে এতো পিন? আচ্ছা, যদি তিন-চারটে পিন দিয়ে শাড়ি পরাটা স্বস্তির হয়, তাহলে আর চিন্তা কীসের। পিন থাকুক পিনের জায়গায়, আর আপনার শাড়ি থাকুক ফুরফুরে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…