পুজোর সময়ে সকল পরিবারেই তামা পিতলের জিনিসপত্রের ব্যবহার হয়ে থাকে। পুজোর জিনিসপত্র বেশিরভাগই তামা,পিতলের হয় এছাড়া এখনকার দিনে তো সুস্বাথ্যের জন্যও মানুষ তামার গ্লাসে জল খায়। এখন ব্যবহার করবার পর খুব যত্ন করে ঘষে মেজে তামা পিতলের এই জিনিস গুলি তুলে রাখতে হয়, এই ঘষে-মেজে রাখার কাজটি বেশ ঝক্কি-ঝামেলার। তবে এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলোর সাহায্যে খুব সহজেই তামা পিতলের জিনিস মাজলে তা একবারে নতুনের মত দেখাবে, আজকের প্রতিবেদনে তাই তামা পিতলের জিনিসপত্রকে পরিষ্কার করার ১৮টি ঘরোয়া উপায়ের বিষয়ে বলবো।
বাসন মাজার ফোমের মধ্যে একটু লবণ আর লেবুর রস নিয়ে নিন । এরপর এটি পিতল ও তামার বাসনপত্রের ওপর নিয়ে ঘষতে থাকুন, এর ফলে বাসনপত্রের কালচেভাব দূরে চলে যাবে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মত চকচক করবে।
টমেটোর সসের মধ্যে অ্যাসিড থাকে, যা বাসনপত্র পরিষ্কার করতে ভীষণভাবে কার্যকর। তাই পিতল-তামার বাসনে সস দিয়ে পুরু করে লাগিয়ে রেখে দিন, কিছুক্ষণ সেইভাবেই বাসনপত্রগুলি রেখে দিন। একঘন্টা পর একটি মাজুনি নিয়ে ঘষতে থাকুন। প্রয়োজন মনে হলে টমেটোর সসের সাথে একটু লবণ দিয়ে তারপর মাজনি দিয়ে ঘষুন জিনিসপত্র একেবারে ঝকঝক করবে।
তামা পিতলের জিনিসপত্র মাজতে হলে বেকিংসোডা ব্যবহার করুন। একটা মাজুনিতে বিকিংসোডা দিয়ে ভালোমতো ঘষে নিয়ে পরিষ্কার করুন। অনেকে আবার বেকিং সোডার সাথে নুন মিশিয়ে ও তামা পিতলের বাসন পত্র পরিষ্কার করে থাকেন।
তামা-পিতলের বাসন মাজার ক্ষেত্রে তেঁতুলের ব্যবহার অনস্বীকার্য। তামা পিতলের বাসনে তেঁতুল নিয়ে ঘষে দিন,তাহলে দেখবেন সেগুলি একেবারে নতুন বাসনের মত চকচক করছে।
আগেকার দিনের ঠাকুমা দিদিমারা তামা পিতলের বাসন মাজতে গঙ্গার মাটি ব্যবহার করতেন। গঙ্গার মাটি দিয়ে একটু ঘষে দেওয়ার পর জলে ধুয়ে নিলেই চকচক করতে থাকে তামা পিতলের বাসন পত্র।
আগে যখন ডিটারজেন্ট সাবান ছিল না তখন এইসব ক্ষেত্রে সাদা বালির ব্যবহার করা হতো। সাদা-বালি দিয়ে তামা- পিতলের বাসনপত্র মেজে রাখলেও তা পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে যাবে।
আমলা পাতা তুলে নিয়ে একটু মাটি দিয়ে তামা পিতলের বাসনপত্রগুলি মাজতে থাকুন, একটু পরেই দেখবেন বাসনের কালো কালো দাগগুলো উঠতে শুরু করেছে। তখন একটা মাজুনি দিয়ে ভালোমতো ঘষে নেবেন আর জল দিয়ে বাসনপত্র গুলো ধুয়ে নিলেই নতুনের মতো পরিষ্কার করবে।
তামা পিতলের বাসনপত্রতে কোলগেট দিয়ে রাখুন, তারপর কোলগেট শুকিয়ে গেলে একটা মাজুনি দিয়ে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিন, মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এখনকার দিনে মেয়ে- বৌ রা কেউ গোবরে হাত দিতে চান না, তবে আগেকার দিনের দিদিমা ঠাকুমারা বাসন মাজার ক্ষেত্রে গোবর আর খোলের ওপরই বেশি ভরসা করতেন। গোবর ব্যবহার করলে যেমন হাত ভাল থাকে তেমনি গোবর দিয়ে বাসনপত্র মাজলে খুব ভালোমতো সেগুলি পরিষ্কার হয়। গোবর দিয়ে ও তামা পিতলের বাসনপত্র মাজতে পারেন।
তামা পিতলের বাসনপত্র মাজতে ছাই ব্যবহার করতে পারেন। একটা মাজুনিতে একটু ছাই নিয়ে একটু ঘষে নিলেই দেখবেন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মতো ঝকঝক করবে।
তামা পিতলের বাসন পত্র গুলি কোকোকোলা দিয়ে ভর্তি করুন। তারপর এভাবেই এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর একটা ব্রাশ দিয়ে ঘষতে থাকুন তারপর নিজের চোখেই দেখুন কালো দাগ উঠে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবহার করা বাসনপত্রগুলি কেমন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
তামা-পিতলের বাসনপত্রের উপর ভিনিগারটা ছিটিয়ে দিন, তারপর কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। আধঘন্টা পর একটা ছোবড়া দিয়ে ঘষতে থাকুন,এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই দেখবেন বাসনপত্র একেবারে নতুনের মত চকচক করছে।
তামা পিতলের বাসন পত্র মাজতে তেঁতুলের মধ্যে একটু সরিষার তেল আর চুন দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে নিন তারপর একটা সুতির কাপড় দিয়ে একটু মুছে নিলেই দেখবেন বাসনপত্রগুলো কেমন চকচক করছে।
হলুদ গুঁড়োর সাথে সর্ষের তেল দিয়ে তামা পিতলের বাসন পত্র গুলো ঘষে নিন।এরপর একটা সুতির কাপড় দিয়ে মুছে নিলে নিজের চোখে দেখেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন। আপনার মন হলে এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন।
আধঘন্টা কাঁচা দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন তামা- পিতলের বাসন পত্রগুলি। এরপর ভিম লিকুইড দিয়ে হালকা করে একটু ঘষলেই দেখবেন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
আধঘন্টা সর্ষের তেল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন বাসনপত্র গুলি, এর ফলে কালো দাগ গুলো আস্তে আস্তে উঠে যাবে। তারপরে একইভাবে ভিম লিকুইড দিয়ে হালকা করে একবার ঘষে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে দিলেই দেখবেন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
একটি পাত্রে সমপরিমাণে আটা,নুন, ডিটারজেন্ট ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর তার মধ্যে ভিনিগার দিয়ে একটা পেস্ট মত তৈরি করুন। এরপর এই পেস্টটি তামা পিতলের বাসনপত্রে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা মতো রেখে দিন, তাহলে ময়লাগুলো এমনিই উঠে যাবে। তারপর একটা স্কচ বাইট দিয়ে ঘষলেই দেখবেন সব কালচে দাগ উঠে বাসনপত্র পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
এখনকার দিনে তামা পিতলের বাসন পত্র মাজবার জন্য বাজারে নানান রকম গুঁড়ো পাউডার পাওয়া যায়,একটা নারকেলের ছোবড়া তে এই ডিটারজেন্ট গুড়ো গুলো দিয়ে তামা পিতলের বাসনপত্র মেজে নিতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…