নিরামিষ পদের তালিকায় প্রথম যে খাবারটার নাম আসে তা হল শুক্তো। অনুষ্ঠান বাড়িতে দুপুরের মেনুতে ভাতের পাতে শুক্তো বেশ তৃপ্তি করেই খান সকলে। কিন্তু কেমন হয় যদি অনুষ্ঠান বাড়ির মতো শুক্তো বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। আজকে সেই রেসিপিই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
প্রথমে কাঁচকলা কেটে নিয়ে নুন-হলুদ গোলা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনারা যদি প্লেন জলে কাঁচকলা ভিজিয়ে রাখেন তাহলে কিন্তু কাঁচকলার গায়ে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। এবার প্রতিটি সবজি লম্বা লম্বা করে কেটে নেবেন।
এবার কড়াইতে ৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে তাতে বড়িগুলো দিয়ে গোল্ডেন ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিন। এবার ওই তেলের মধ্যে ভেজে নিন উচ্ছেটাও। এবার ওই তেলের মধ্যে রাধুনি ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। ফোড়নের সুন্দর গন্ধ বেরোতে শুরু করলে আর মধ্যে দিয়ে দিন কেটে রাখা আলু। মাঝারি আঁচে আলুগুলি সামান্য ভেজে নিন।
এরপর এতে কেটে রাখা রাঙা আলু দিয়ে একটু এদিক-ওদিক করে তাতে দিন পেঁপে, কাঁচকলা, সজনে ডাঁটা, বেগুন দিয়ে এক থেকে দেড় মিনিট মতো সবজিগুলি ভাল করে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন এই সময়ে গ্যাসের আঁচ থাকেবে মিডিয়ামে। এবার সবজির মধ্যে আদা বাটা দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে তাতে দিয়ে দিন পরিমাণমতো
তাতে দিন স্বাদমতো নুন। এবার তা ঢাকা দিয়ে মিডিয়াম ফ্লেমে সবজিগুলি ৬ মিনিট মতো সেদ্ধ হতে দিন। এরপর তাতে দিয়ে দিন বড়ি। কারণ বড়ি প্রথমে দিলে তা গলে যেতে পারে। বড়ি দিয়ে আরও ২ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
ভাজা মশলা তৈরি করার জন্য গ্যাসে ফ্লাইপ্যান বসিয়ে তাতে রাধুনি আর পাঁচফোরড়ন দিয়ে শুকনো খোলায় নাড়াচাড়া করে নিয়ে মিক্সারে গুঁড়ো করে নিন। এবার ওই মিক্সারে সর্ষে, পোস্ত এবং জল দিয়ে একটা স্মুদ পেস্ট তৈরি করে নিন।
এবার কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে তাতে দিয়ে দিন এই পেস্ট। এবার হালকা হাতে সমস্তটা আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিন।
অন্যদিকে আর একটি বাটিতে দুধ এবং ময়দা গুলে নিন। এবার মিশ্রণটি শুক্তোর মধ্যে দিয়ে এক মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। এবার তাতে দিয়ে দিন আগে থেকে বানানো ভাজা মশলা আর চিনি। এবার লো ফ্লেমে আরও এক মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। সবশেষে ওপর থেকে আরও একটু ভাজা মশলা এবং ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার গ্যাসের আঁচ ঢাকা দিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে দিলেই তৈরি শুক্তো।
ওপরে বলা পদ্ধতি মতো তো শুক্তো রান্না করলেনই। স্বাদ বদল করতে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন শুক্তোর এক অভিনব মশলা।
প্রথমে তাওয়া গরম করে নিয়ে তাতে শুকনো লঙ্কা, মৌরি, কলো জিরে, মেথি দিয়ে শুকনো খোলায় কম আঁচে ২ মিনিট নেড়ে নিন। এবার তাতে রাঁধুনি এবং সর্ষে দিয়ে আরও ২ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিয়ে মিক্সারে গুঁড়ো করে নিন। মশলাটা কাঁচের বয়ামে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। শুক্তো বানানোর সময়ে প্রথমে এই মশলাটি দেবেন না। নামানোর আগে মশলাটি ওপর থেকে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নেবেন।
প্রসঙ্গত, অনেকে শুক্তোয় শুকনো লঙ্কার স্বাদ পছন্দ করেন না। যাঁরা করেন না তাঁরা দেবেন না, তবে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…