আপনাদের অনেকর এই তুলনা একটু দ্ভুত লাগতে পারে কারণ এই দুটি ডিভাইস বেশ পৃথক মূল্য সীমায় বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু নোট থ্রী আমাদের এতো পছন্দের ফোন যে একটা অনেক বেশী দামী প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে এটা কেমন কাজ করে সেটা দেখে নেওয়া যেতেই পারে।
শিওমি রেডমি নোট থ্রী বাজারে আসার পর থেকেই অনেক প্রশংসার পাত্র। এটা স্ন্যাপড্রাগন ৬৫০ এস.ও.সি দ্বারা চালিত এবং ৩ জিবি রাম যা আপনার দৈনন্দিন কাজগুলো করার জন্য যথেষ্ট।
নোট থ্রীর ৩২ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ স্পেস আরও ৩২ জিবি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা যেতে পারে কিন্তু তার জন্য দুটো সিম স্লটের মধ্যে একটাকে ছেড়ে দিতে হবে।
ফোনের সামনের দিকে আছে ৫.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে য়ার পিক্সেল ঘনত্ব ৪০৩ পিপিআই। এর মূলত মানে হল এই যে টেক্সট প্রদর্শন এবং ভিজ্যুয়াল খুব পরিষ্কার দেখা যায়।
ইদানীং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ১৫,০০০ টাকার নিচের স্মার্টফোন বিভাগে একটি বৈশিষ্ট্যসূচক মাপকাঠি হয়ে উঠেছে। ফোনের পিছনে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আছে যেটা, শিওমি কম্পানীর দাবী অনুযায়ী, ০.৩ সেকেন্ডে ফোন আনলক করতে পারে।
এই স্মার্টফোনের পিছনের দিকে আছে একটা ১৬ মেগা-পিক্সেল ক্যামেরা টু-টন এলইডি সহ, যা দিয়ে কম আলোতেয় ভালো ছবি তোলা যায়। সামনের দিকে আছে একটা ৫ মেগা-পিক্সেল ক্যামেরা সেল্ফী প্রেমিকদের জন্য।
নোট থ্রী চালিত হয়ে এম.আই.ইউ.আই ৭ এবং অ্যান্ড্রয়েড ৫.1 ললিপপ দ্বারা। এই ফোনে আছে একটা ব্যাপক ৪০৫০ এম.এ.এইচ ব্যাটারী যা ঘন ঘন ব্যসহার সত্যেও পুরো একদিন পর্যন্ত ফোনটাকে চালু রাখতে পারে।
রেডমি নোট থ্রীর মূল্য হল ১১,৯৯৯ টাকা ৩ জিবি মডেলের জন্য এবং ৯,৯৯৯ ২ জিবি মডেলের জন্য।
ভিভো, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা, গত মাসে ভিভো ভীথ্রী এবং ভীথ্রী ম্যাক্স দুটি স্মার্টফোন রিলীজ করলো মুম্বাইএর এক অনুষ্ঠানে। ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সে আছে ৫.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল) ডিসপ্লে করনিন্গ গরিলা গ্লাস ৩ সুরক্ষার প্রলেপ সহ যাতে স্ক্রীনে দাগ না লাগে। এই ফোন ব্যবহার করে ১.৮ গিগাহার্টস আট-কোর ক্বালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২ চিপসেট এবং একটা ব্যাপক ৪ জিবি রাম।
হাইব্রিড সিম স্লট থাকার দরুণ এই ফোনের ৩২ জিবি স্টোরেজকে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা যেতে পারে মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও আছে ফোনের পিছনের দিকে যা ফোনকে আনলক্ করতে পারে ০.৫ সেকেন্ডে।
ফটোগ্রাফি উত্সাহীদের জন্য ভীথ্রী ম্যাক্সে আছে ১৩ এমপি পি.ডি.এ.এফ ক্যামেরা এল.ই.ডি ফ্ল্যাশ সহ। সামনের দিকে আছে ৮ এম.পি ক্যামেরা সেম্ফী তোলা যায় এবং ভিডিও কল করা যায়।
ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সে আছে ৩০০০ এম.এ.এইচ ব্যাটারী এবং ক্বালকমের কুইক চার্জ ২.০ সাপর্ট। এই ফোন কাজ করে অ্যান্ড্রয়েড ৫.1 ললিপপের ভিত্তিতে এবং ফানটাচ ২.৫ ইউ.আই।
ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সের মূল্য হল ২৩,৯৮০ টাকা।
কাগজে কলমে উভয়ে ফোন বেশ কার্যকরী মনে হয়। দেখা যাক কোন ফোনের কর্মক্ষমতা আসলে বেশী।
প্রথমেই দেখা যাচ্ছে যে উভয় ফোন ইউনিবডি ডিসাইনে ধাতু দিয়ে তৈরী। রেডমি নোট থ্রী ওজন হলো ১৬৪ গ্রাম এবং থিকনেস্ হলো ৮.৬ মিমি। ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সের থিকনেস্ হলো ৭.৫ মিমি এবং ওজন হলো ১৬৮ গ্রাম। দুই ফোনের ওজনে বিশষ পার্থক্য নেই কিন্তু নোট থ্রী ফোনের তুলনায় ভীথ্রী ম্যাক্স অনেক বেশী পাতলা। তাই তুলনামূলক ভাবে ভীথ্রী ম্যাক্স ফোন হাতে ধরতে সুবিধা। তা সত্যেও এই ৫.৫ ইঞ্চি ফোনকে এক হাতে ব্যবহার করা একটু অসুবিধা জনক হবে।
সৌন্দর্যের পরিপ্রেক্ষীতে ভীথ্রী ম্যাক্সের ডিসাইনের তুলনায় নোট থ্রী ফোন বেশ মার্জীত দেখতে।
দুই কম্পানী ডিসপ্লে স্ক্রীনের দিকে বেশ ভালো কাজ করেছে। ভীথ্রী ম্যাক্সের এবং নোট থ্রী দুটি ফোনের স্ক্রীনই উজ্জ্বল, তীক্ষ্ন ছবি দেখা যায় এবং ভাল রঙ প্রজনন করে। উভয় ফোনই স্ক্রীন সূর্যের আলোয় মোটামুটী ভালোই দেখা যায়।
নোট থ্রীতে কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট আছে যেমন নাইট মোড এবং রীডিন্গ মোড যার কারণে এই ফোনকে অধিক পয়েন্ট দেওয়া যেতে পারে।
সফ্টওয়্যারের দিক দিয়ে দুই ফোনই অ্যান্ড্রয়েড ৫.1 ললিপপ দ্বারা চালিত। নোট থ্রীতে এম.আই.ইউ.আই ৭ থাকাতে এই ফোনকে ভালোভাবে কাস্টমাইজ করা যায়। কিন্তু এই ফোনে কিছু সমস্যা আছে যেমন অ্যাপ ক্র্যাশ এবং স্থায়িত্ব সম্বন্ধীয়। ভীথ্রী ম্যাক্সেও একই সমস্যা দেখা যায়। সামগ্রিকভাবে, উভয় ফোনের সফ্টওয়্যার প্রয়োজন অনুযায়ী অপ্টিমাইজ করে নিতে হবে ঝামেলা মুক্ত অভিজ্ঞতার জন্য।
ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সের হার্ডওয়্যার রেডমি নোট থ্রী ফোনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত উন্নত এবং এটা প্রথম মুহূর্ত থেকেই দৃশ্যমান। ভীথ্রী ম্যাক্সে অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত খোলে এবং গেমিং কর্মক্ষমতা বেশ মসৃণ।
তার মানে এই নয় যে নোট থ্রী ফোন হিসাবে কোনো দিক থেকে খারাপ, কিন্তু কর্মক্ষমতার দিক দিয়ে ভীথ্রী ম্যাক্স সামান্যতর উন্নত। উপরন্তু ভীথ্রী ম্যাক্সে হাই-ফাই ট্যাগ আছে যার কারণে উচ্চ মানের অডিও শোনার অভিজ্ঞতা লাভ হয়।
ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সের ক্যামেরা দিয়ে বেশ তীব্র ছবি তোলা যায় কিন্তু এর রঙের পুনরুৎপাদন তেমন লক্ষণীয় না। অন্যদিকে রেডমি নোট থ্রী দিয়ে তোলা ছবিতে রঙের উৎপাদন মোটামুটি ভালোই কিন্তু ছবির তীব্রতা কিছু কম হয়। উভয় ফোন বেশ তারাতারি ফোকাস্ করতে পারে। দুটো ফোনেরই সামনের দিকের ক্যামেরা দিয়ে বেশ ভালো ছবি তোলা যায়। দুটো ক্যামেরাতেই ১০৮০ পি ভিডিও রেকর্ডিন্গের ক্ষমতা আছে।
স্বাভাবিক ব্যবহার কালীন দুটো ফোনই একদিন অবদি সহজেই চলতে পারে। বস্তুত রেডমি নোট থ্রী একদিনের বেশীও চলতে পারে, তার ব্যাপক ৪০৫০ এম.এ.এইচ ব্যাটারীর জন্য। কিন্তু ঘন ঘন ব্যবহারে যেমন গেম্স খেললে, ভীথ্রী ম্যাক্সের ব্যাটারী একদিন অবদিও চলবে কিনা সন্দেহ।
ভিভো ভীথ্রী ম্যাক্সের মূল্য হল ২৩,৯৮০ টাকা যেখানে রেডমি নোট থ্রীর মূল্য হল ১১,৯৯৯ টাকা। আপনি যদি ফোনে অনেক গেম্স খেলতে পছন্দ করেন তাহলে ভীথ্রী ম্যাক্স কেনার সিদ্ধান্তটা যথাযথ হবে।
কিন্তু সব বৈশিষ্ট খুঁটিয়ে দেখার পর দেখা যাচ্ছে যে নোট থ্রীতে ভীথ্রী ম্যাক্সের অনুরূপ বৈশিষ্ট আছে অথচ অর্ধেক দামে। উপরে আমরা উভয় ফোনের মূল পার্থক্যগুলো আলোচনা করে নিয়েছি। এবার আপনি আপনার পছন্দ মতো ফোনটা কিনে নিন। সদ্য বাজারে আসা জুক ৭১ এবং মোটোরোলা মোটো জি৪ আরও কয়েকটি ভালো বিকল্প।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…