বাঙালি ভাজাভুজিঅন্ত প্রাণ। আর সেইকারণেই ডাল-ভাতের সঙ্গে হোক, বা লুচির সঙ্গে হোক, বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসাবেই হোক না কেন, বেগুনির জুরি মেলা ভার। তবে অনেকসময় এমন হয় যে, পরিমাণ কম-বেশির ফলে বাড়িতে ভাল বেগুলি তৈরি করা যায় না।
আপনাদের সেই সব সমস্যার সমাধান থাকবে আজকের রেসিপিতে, যেখানে আপনারা জানতে পারবেন একেবারে দোকানের মতো মুচমুচে বেগুনি বানাবেন কীভাবে।
সবার প্রথমে বেগুনের বোঁটা এবং সামনের দিকটা গোল করে কেটে নিন। এরপর বেগুনগুলিকে লম্বা লম্বা করে স্লাইস করে নিন। খেয়াল রাখবেন স্লাইসগুলি যেন একটু মোটা মোটা হয়, কারণ একেবারে পাতলা স্লাইস হলে কিন্তু বেগুনিতে বেগুনই মুখে পড়বে না। স্লাইস করে নিয়ে বেগুনগুলিতে সামান্য নুন মাখিয়ে রেখে দিন কিছুক্ষণ, এতে করে বেগুনগুলি একদম নরম হয়ে যাবে, যার ফলে বেগুনি বানানো খুবই সহজ হবে।
এবার ব্যাটারটা বানিয়ে নেওয়া যাক। এর জন্য একটি পাত্রে বেসনটা নিয়ে নিন। এর মধ্যে একে একে ময়দা, গরম মশলা গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, বেকিং পাউডার, আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে অল্প অল্প করে জল মেশাতে থাকুন। একবারে পুরোটা জল দিয়ে দেবেন না। অল্প অল্প করে জল ঢালুন এবং মেশাতে থাকুন। এতে প্রত্যেকটা উপকরণ খুব ভালো করে মিশে যেতে পারবে। এছাড়াও জলটা অল্প অল্প করে মেশানো ভালো কারণ, প্রথমে অনেকটা জল দিয়ে দিলে ব্যাটারটা খুল পাতলা হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে কিন্তু বেগুনিটা ভালো হবে না। তাই অল্প জল দিয়ে ঘন মনে হলে আপনারা আরও একটু জল মিশিয়ে দিতে পারেন।
প্রশ্ন হল ব্যাটারটা কতটা ঘন বানাতে হবে। এটি বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটা আঙুল ডুবিয়ে যদি দেখেন ব্যাটারটা আপনার আঙুলের গায়ে লেগে বসে আছে, তাহলে বুঝবেন আপনার বেগুনির ব্যাটারটা একদম সঠিক ঘনত্বে রয়েছে। এবার আপনারা চাইলে একটু ফুড কালার মিশিয়ে দিতে পারেন, এত রঙটা ভালো আসবে, তবে আপনারা চাইলে এটা নাও দিতে পারেন। এখন ব্যাটারটা ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
এবার বেগুনি ভেজে নেওয়ার পালা। এর জন্য গ্যাসে কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে ভালো করে গরম করে নিন। এবার বেগুনগুলিকে বেসনের গোলায় ভালো করে দুপিঠ ডুবিয়ে নিয়ে গরম তেলের মধ্যে ছাড়ুন। এই সময় গ্যাসের আঁচটা একটু কমিয়ে দিতে পারেন। এইভাবে কিছুক্ষণ উল্টে-পাল্টে ভেজে নিন। একটা সলিড গোল্ডেন কালার এলে বেগুনগুলিকে তুলে ফেলুন। আপনার বেগুনি রেডি টু সার্ভ, অবশ্যই গরম গরম পরিবেশন করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…