কাজু -কিসমিস আর ঘি সহযোগে বাসন্তী পোলাও হলে বাঙালির আর কি চাই। কখনও নিরামিষ তরকারি বা কখনও কষা মাংস – সবের সঙ্গেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে জানে বাসন্তী পোলাও।
তবে খাঁটি বাঙালি স্টাইলে যদি এই মিষ্টি পোলাও আপনার বাড়িতে বানিয়ে নিতে চান, তাহলে আপনাকে কয়েকটি স্টেপ অবশ্যই ফলো করতে হবে।
সবার প্রথমে ভালো করে কছলে ধুয়ে নিয়ে ঘোলা জলটা ছেঁকে ফেলে দিন। ধুয়ে নেওয়ার পর একটা বড় জায়গায় ছড়িয়ে দিয়ে শুকিনে নিন ভালো করে। চালটা ভালো করে শুকিয়ে নেওয়ার পর সেটাকে একটা মিক্সিং বোলে ঢেলে নিন।
তাতে একে একে ঘি, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, মিহি করে কুচোনো আদা এবং হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। হাতের সাহায্যে ভালো করে মেশাতে থাকুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত চালের গায়ে মশলাগুলি এবং ঘি ভালো করে লাগছে। মনে রাখবেন ভালো পোলাও তখনই তৈরি হবে যখন আপনি অনেকটা পরিমাণে ঘি ব্যবহার করবেন। তাই ডাক্তারের বারণ না থাকলে বা বিশেষ শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলে আপানারা ঘি-এর পরিমাণটা বাড়িয়েও দিতে পারেন। মিশ্রণটি ঢাকা দিয়ে এক ঘণ্টা মতো রেখে দিন।
এরপর রান্না শুরু করার আগে একটি পাত্রে বা কেটলিতে জল ফুটতে দিন। এবার একটি কড়াইতে ৫ গ্রাম মতো ঘি দিয়ে দিন। এরপর তাতে দিয়ে দিন কাজুবাদামগুলি। এবার লো ফ্লেমে এক মিনিট মতো কাজুবাদামগুলি নাড়াচাড়া করে নিন, দেখবেন একটা হালকা বাদামী রঙ ধরেছে। এরপর এর মধ্যে মশলা মাখানো চালটা দিয়ে দিন। এরপর আঁচ মাঝারি রেখে চালটা ঘন ঘন নাড়াচাড়া করতে থাকুন, মোটামোটি মিনিট ছয়েক। এইভাবে নাড়াচাড়া করার ফলে এর মধ্যেকার মশলার ফ্লেভার আরও বেশি করে বেরিয়ে আসবে এবং রান্নাও ঝরঝরে হবে। এর মধ্যে কিসমিসগুলি দিয়ে আরও ২ মিনিট মতো নাড়াচাড়া করে নিন।
আগে থেকে থেকে কেটলিতে ফুটন্ত গরম জলটা দিন। মনে রাখবেন জলের পরিমাণের ওপর আপনার পোলাও-এর টেক্সচার নির্ভর করছে। জল বেশি হয়ে গেলে ভাত গলে যাবে, আর জল কম হলে মুখে চাল চাল ঠেকবে। এক্ষেত্রে ১০৫০ গ্রাম মতো জল ব্যবহার করা হয়েছে। মাপটা ৫০ গ্রাম কম-বেশি হতে পারে, আপনাদের আন্দাজ মতো।
এখন নুন দিয়ে ভালো করো নাড়তে থাকুন। একদম কম আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে ১০ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর ঢাকনা খুলে একে একে চিনি এবং চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিন। মেশানোর সময় একটু সাবধান থাকুন, যেন চাল ভেঙে না যায়। এরপর আরও একবার লিড বন্ধ করে কম আঁচে আরও ৫ মিনিট রান্না করে নিন। এবার ঢাকনা খুলে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন।
মনে রাখবেন এই পোলাওয়ের স্বাদ পরের দিন আরও বেশি পাওয়া যায়, সুতরাং রেখেও খেতে পারেন। তবে রান্নার পর পরই পরিবেশন করবেন না। ঘণ্টা খানেক রেখে তারপর পরিবেশন করুন, এতে নুন-চিনি সব ঠিকমতো পোলাও-এর মধ্যে মিশে যাবে ফলে খেতে আরও ভালো লাগবে। অবশ্যই বাড়িতে রেসিপিটি ট্রাই করুন আর জানান কেমন লাগল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…