Most-Popular

বাটার নান রেসিপি: তাওয়ায় নান বানানোর পদ্ধতি

আপনি যদি প্রতিদিন পরোটা এবং চাপাটি খেতে খেতে বিরক্ত বোধ করেন তাহলে অবশ্যই কিছু আলাদা ট্রাই করুন, এমন কিছু যা সবাইকে খুশি করে দেবে। এখানে আমরা বলছি বাটার নানের কথা, যা গরম তন্দুরে তৈরি করা হয় এবং তারপর প্রচুর মাখন সহযোগে খাওয়া হয়। তবে খুব স্বাভাবিকভাবে বাড়িতে তন্দুর রাখাটা মুশকিল। আর এইজন্য আজ আমরা আপনাদের তাওয়ায় বাটার নান তৈরির পদ্ধতি শেখাবো। এবার হয়তো আপনার মনে হতে পারে বাটার নান বানাতে আপনার ইস্ট প্রয়োজন হবে, কিন্তু আপনাদের বলে রাখি এই রেসিপিতে সেটারও প্রয়োজন নেই।

আর এখন নান বানানো যখন খুবই সহজ, তখন সবাইকে কেন রোজ চাঁপাটি বা পরোটা খাওয়াচ্ছেন। রেসিপিটি পড়ুন এবং বাটার নান তৈরি করুন। আপনি এটি ডাল মাখনী, শাহী পনির, ছোলা মাসালা এবং এইরকম অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।
বাটার নান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি হল-

  • ময়দা – ২ কাপ
  • দই – ১/২ কাপ
  • তেল – ২ টেবিল চামচ
  • বেকিং সোডা – ১/৪ চা চামচ
  • বেকিং পাউডার – ১/২ চা চামচ
  • নুন- স্বাদমতো
  • চিনি – ১ চামচ
  • কালোজিরে – ২ চা চামচ
  • ধনে পাতা – ২ চা চামচ
  • মাখন – ৩ টেবিল চামচ

বাটার নান রেসিপি

প্রথমে একটি পাত্রে ২ কাপ ময়দা ছেঁকে নিন।

এর পরে স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। এবার এতে আধ কাপ দই এবং ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে দিন।

দই যোগ করার পরে আপনি ১ চামচ চিনি যোগ করুন।

তারপরে এতে ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার এবং ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা, যা সাধারণ খাবার সোডা নামেও পরিচিত।

এবার হালকা গরম জল দিয়ে মেখে নিন। ঠিক যেভাবে রুটি মাখেন সেরকম করে মেখে নিতে হবে।

এবার এই মন্ডটার ওপর তেল লাগিয়ে কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টার জন্য ঢেকে রেখে দিন। নান তৈরি করার জন্য এই মন্ড থেকে অল্পটুকু নিয়ে লম্বাটে আকারে বানিয়ে নিন। আপনি গোল আকারেরও বানিয়ে নিতে পারেন। তবে যদি একেবারে দোকানের মতো করে বানাতে চান তাহলে এটিকে লম্বা আকারেও বেলে নিতে পারেন।

এরপর তাওয়া গরম করে নিন বেশ খানিকক্ষণ ধরে। এরপরে নানের ওপর কিছুটা ধনে পাতা এবং কালো জিরে দিয়ে দিন এবং তারপর হালকা করে বেলে নিন। যাতে ওপর থেকে ধনে পাতা এবং কালো জিরে দেখা যায়।

এবার নানের ওপরের অংশে জল লাগিয়ে নিন। জল ভালোভাবে অ্যাপ্লাই করে নিন যাতে প্যানে নান আটকে রাখাটা আপনার পক্ষে সহজ হয়।

জল লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তা তাওয়ার মধ্যে দিয়ে দিন। যে দিক থেকে জল লাগিয়েছেন, সেটি নীচের দিকে থাকবে। আর ধনে পাতা আর কালোজিরে লাগানোর দিকটি উপরে থাকে।

কিছু সময় পর আপনি নানের উপর এইরকম বুদবুদ দেখতে পাবেন, যার অর্থ নানটি নীচ থেকে নান রান্না হয়েছে।

এবার আপনি তাওয়াটি তুলে নিন এবং উল্টো করে গ্যাসের আগুনে নান সেঁকে নিন। মনে রাখবেন, যে আপনাকে নিয়মিত তাওয়াটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেঁকে নিতে হবে।

এবার নানকে তাওয়ায় আটকে রেখে উল্টো করে সেঁকে নিন।

নান সেঁকে নেওয়ার পর, এটি তাওয়া থেকে বের করে নিন। এবার এর ওপর মাখন মাখিয়ে নিন। এভাবে আপনি বাকি নান বানিয়ে নিন।

অতিরিক্ত পরামর্শঃ

যদি আপনার তাওয়া ননস্টিক হয়, তবে আপনার নান আটকে থাকবে না। অতএব, এভাবে নান তৈরি করার জন্য আপনার লোহার তাওয়া ব্যবহার করা উচিত। আপনার যদি ননস্টিক তাওয়া থাকে তবে জল লাগান এবং একপাশ থেকে বেক করুন এবং অপর পাশ দিয়ে আপনি একটি চিমটের সাহায্যে সরাসরি গ্যাসে সেঁকে নিতে পারেন।

অনুবাদিকাঃ ইন্দ্রাণী মুখার্জ্জী

Jasvinder Kaur Reen

Recent Posts

মুখের রোমকূপ বা পোরস ঢাকার মেকাপ টিপস

আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…

2 বছর ago

থুঁতনির জেদি ব্ল্যাকহেডস তোলার ৬টি উপায়

পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…

2 বছর ago

মেয়েরা বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় যে ১০টি জিনিস অজান্তেই করে

আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…

2 বছর ago

ঘরের দেওয়ালে নোনা ধরছে? দূর করুন ঘরোয়া কৌশলে

বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…

2 বছর ago

ময়েশ্চারাইজার কেন এত উপকারি ত্বকের যত্ন নিতে? ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…

2 বছর ago

নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের যত্ন! উজ্জ্বল, চকচকে ত্বকের গোপন রহস্য!

প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…

2 বছর ago