জন্মদিন হোক বা ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি, ‘কেক কাটিং’ কিন্তু মাস্ট। এখন আবার অনেকে থিম কেক কিন্তু ভীষণ পছন্দ করেন। আজকাল ফনডেন্ট কেকের খুব চল। কারণ ফনডেন্ট কেকের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের থিম বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন একটু ধৈর্য্য আর সৃজনশীল মন।
তাই কেক বানানোর ক্ষেত্রে আপনাদের আরও একটু সুবিধার জন্য আজ আপনাদের শেখাবো বাড়িতেই কীভাবে বানিয়ে নিতে পারেন ডিজনি প্রিন্সেস কেক।
এরজন্য আপনাকে প্রথমে কেকের তিনটি টিয়ার বানিয়ে নিতে হবে। প্রথম টিয়ারটির ব্যাস হবে ৮ ইঞ্চি চওড়া এবং উচ্চতা হতে হবে ১ ইঞ্চি মতো। আর একটি টিয়ারের ব্যাস হবে ৮ ইঞ্চি চওড়া, তবে তার উচ্চতা হবে ২ ইঞ্চি। অর্থাত প্রথম টিয়ারটির থেকে উচ্চতায় বড়। আর তৃতীয় টিয়ারটি হবে গম্বুজের (dome) মতো। অর্থাত একটা মাইক্রোপ্রুফ কাঁচের বাটি যেমন আকারের ঠিক কেমনই দেখতে হবে।
এবার একটি স্পিনারের ওপর প্রথমে ২ ইঞ্চি উঁচু কেকটি রাখুন (আপনাদের বাড়িতে স্পিনার না থাকলেও অসুবিধা নেই, তবে সেক্ষেত্রে একটু সাবধানে করবেন। এবার একটি কুকি কাটার দিয়ে কেকের একদম কেন্দ্রবিন্দু বরাবর কাট করে নিন। এবার আপনার পছন্দের রঙের কেক ফ্রস্টিং নিন, মানে যে রঙের আপনি বার্বি কেকটি বানাতে চান।
ফ্রস্টিংটি কেকের ওপর দিয়ে একটা চামচের সাহায্যে কেকের উপরি অংশে ভালো করে ছড়িয়ে দিন। এবার ১ ইঞ্চি উঁচু কেকটিও একইভাবে ঠিক মাঝ বরাবর কুকি কাটার দিয়ে কেটে নিয়ে আগের লেয়ারের ওপর বসিয়ে হাতের সাহায্যে হালকা করে চাপ দিয়ে সেট করে দিন। এবার এর ওপর ঠিক আগের মতো করেই কেক ফ্রস্টিং লাগিয়ে চামচ বা স্প্যাচুলার সাহায্যে ভালো করে স্প্রেড করে দিন। সাইড থেকে যদি ফ্রস্টিং বেরিয়েও যায় চিন্তা করবেন না সেটা আপনারা পরে ম্যানেজ করে নিতে পারবেন।
সবার শেষে গম্বুজাকৃতি কেকটির মাথাটি কুকি কাটার দিয়ে কেটে দ্বিতীয় লেয়ারের ওপর ফ্রস্টিং লাগিয়ে তার ওপর বসিয়ে দিন। এইভাবে ডিজনি প্রিন্সেস-এর ড্রেসটা পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে যাবে। এরপর আরও খানিকটা ফ্রস্টিং দিয়ে ৩ টিয়ার কেকটির গায়ে ভালো করে লাগিয়ে একটি স্প্যাচুলার সাহায্যে ভালো করে ফ্রস্টিংটি গোটা কেকে মাখিয়ে দিন। ফ্রস্টিং করা শেষ হলে কেকটিকে আপনারা ১০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন এতে করে কেকের গায়ে ফ্রস্টিংটি শক্ত হয়ে বলে থাকবে।
এবার এই কেকটি বানাতে আপনার যে উপকরণটা আবশ্যিক তা হল ডিজনি বার্বি ডল। পুতুল কেক তো পুতুল ছাড়া অসম্পূর্ণ, তাই না? এবার যেটা করবেন পুতুলের গা থেকে সমস্ত পোশাক এবং অ্যাকসেসারিজ যা যা আছে তা খুলে নিন। এতে পুতুলটি কেকের মধ্যে বসাতে সুবিধা হবে। কেকের মাঝখানে যেখানে কুকি কাটার দিয়ে গর্ত করেছেন এবার সেখানে পুতুলটা বসিয়ে দিন। পুতুলটা বসানোর সময় তার হাতদুটো উপরের দিকে তুলে দিন, যাতে কেকের গায়ে আঘাত না লাগে।
এবার আসে কেক সাজানোর পালা। এটা একদম আপনারা নিজের পছন্দ মতো করে করতে পারেন। বার্বির ড্রেস আপনাদের কাছে একটা ফাঁকা ক্যানভাসের মতো, আপনারা যেমন খুটি একে সাজাতে পারেন, যেমন খুশি ডিজাইন আঁকতে পারেন।
সবসময় যে আপনাকে খুব ভারি জমকালো ডিজাইন করতে হবে এমনটা নয়। আর বিশেষ করে যদি বাচ্চাদের জন্য বানান, তাহলে সিম্পল ডিজাইনেও কিন্তু আপনারা তাদের মন জয় করতে পারেন।
প্রথমে ফ্রস্টিং দিয়ে পুতুলের কোমরের কাছটা ডিজাইন করে নিন। কারণ ওইখানটা ঢাকাটা খুব প্রয়োজন নইলে ফাঁকা ফাঁকা দেখাতে পারে। পুতুলের কোমরের কাছটা যে রঙের ফ্রস্টিং ব্যবহার করবেন কেকের একদন নীচের অংশেও সেই ফ্রস্টিং ব্যবহার করুন, দেখতে ভাল লাগবে।
আর সবসময় চেষ্টা করবেন কনট্রাস্ট কালারের ফ্রস্টিং ব্যবহার করতে, এতে ডিজাইন খুব ভালো ফুটবে।
নিচে দেওয়া ভিদিও দেখলে আরও বুঝতে সুবিধা হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…