রাস্তার ধারের জলখাবারের দোকানে যে খাবারটা প্রায়ই চোখে পড়ে, তা হল পেটাই পরোটা। সাধারণ পরোটার চেয়ে এর স্বাদ একেবারে আলাদা এবং এটি ভীষণ নরম হয়ে থাকে।
হাত দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে বলে একে বলা হয় পেটাই পরোটা। তবে রাস্তার খাবার না খেয়ে বরং বাড়িতেই একদিন তৈরি করে নিন পেটাই পরোটা। তাই খাস আপনাদের জন্য রইল পেটাই পরোটার রেসিপি।
উপকরণ খুবই সামান্য। পেটাই পরোটা বানাতে যা যা লাগবে (৮টা পরোটা তৈরি করা যাবে)।
পেটাই পরোটা সুন্দর হওয়ার গোপন রহস্য হল এটি তৈরি করার পদ্ধতি। কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি তৈরি করেন তাহলে কিন্তু একদম দোকানের মতোই পেটাই পরোটা তৈরি করতে পারবেন। প্রথমে যেটা করতে হবে, তা হল আপনাকে ময়দাটা খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
একটি মিক্সিং বোলে ৩ কাপ ময়দা নিয়ে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন নুন এবং সাদা তেল। প্রসঙ্গত, পেটাই পরোটা আপনারা দু-ভাবে বানাতে পারেন।
এক, ময়ান দিয়ে, আর দুই, ময়ান ছাড়া। তফাতটা যেটা হবে, ময়ান দিলে আপনি ময়দার ডো-টা বানিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারবেন, আর বানানোর পরও কিছুক্ষণ রেখে খেতে পারবেন। সেইসঙ্গে ময়ান দিলে ডো-টা খুব নরম হয়। আর যদি ময়ান না দেন, তাহলে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে পরোটা বানিয়ে নিতে হবে। বানানোর পর অপেক্ষা করতে পারবেন না, আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে। নয়তো পরোটা শক্ত হয়ে যাবে। তাই ময়ানের সময় ভালো করে তেল এবং নুনটা হাতের সাহায্যে ময়দার মধ্যে মিশিয়ে নিন।
এইভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে জলটা দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে বলে রাখি ময়দা আর জলের রেশিওটা ৩:১ হবে। মানে তিনভাগ ময়দা হলে একভাগ জল হবে। যে কাপের সাহায্যে ময়দা মাপছেন সেই একই কাপ দিয়েই জলটাও মাপবেন। তবে জলটা একসঙ্গে ঢেলে দেবেন না, অল্প অল্প করে ঢালবেন এতে ময়দা মাখাটা ভালো হবে। সাধারণত এমনি পরোটা তৈরি করতে জল অনেক কম লাগে, কিন্তু পেটাই পরোটা যেহেতু অনেক সফ্ট হয়, সেহেতু জলের পরিমাণটি একটু বেশি লাগবে।
ময়দা মাখার পর দেখবেন ময়দাটা একটু ভেজা ভেজা রয়েছে, এতে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এবার ময়দার ডো-টিকে একটি কিচেন স্ল্যাবের ওপর রেখে ভালো করে ময়দাটাকে ঠেসে নিন। এইসময় শুকনো ময়দা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ময়দাটা ঠাসতে ঠাসতেই দেখবেন জলটা অনেকটাই টেনে গিয়ে একটা স্মুদ ডো তৈরি হয়ে এসেছে। ঠিক তখনই হাতে সামান্য সাদা তেল নিয়ে আরও মিনিট দু-এক ভালো করে ঠেসে নিন। এবার ডোটি একদম তৈরি। ডো-টিকে বোলের মধ্যে রেখে ভেজা কাপড় ঢাকা দিয়ে আধ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন।
ডোটিকে সমান চারভাগে ভাগ করে নিন। তার থেকে একটি ভাগ তুলে নিয়ে বাকি অংশটি আবার ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ওই একটি ভাগকে ২টি খন্ডে ভাগ করে নিন। এবার যেখানে পরোটাটা বেলবেন সেখানে একটু তেল দিয়ে দিন। ডো-টিকে একটু বড় এবং পাতলা করে বেলে নিন। এবার তার ওপর ২ চামচ তেল এবং একটুখানি শুকনো ময়দা ছিটিয়ে দিন।
এবার এর একটা দিকে ছুরি দিয়ে কেটে লেচিটাকে রোল করতে থাকুন। একটা শঙ্কু তৈরি হবে, এবার শঙ্কুর মাথাটা চেপে দিয়ে গোল শেপ দিয়ে দিন। এবার এটাকে বেলন দিয়ে চেপে চেপে একটু বড় আর পাতলা করে বেলে নিন। আপনি যতটা সম্ভব পাতলা করে বেলে নিন। মোটামোটি আপনার তাওয়ার সাইজের মতো বড় করে পরোটাটা বেলে নিন। একেবারে গোল না হলেও চলবে।
তাওয়াটা খুব ভালো করে গরম করে নিয়ে গ্যাসের আঁচটা মিডিয়াম-লো-তে রেখে পরোটাটা তাওয়ার ওপর দিয়ে দিন। পাশ দিয়ে এক চামচ রিফায়েন্ড অয়েল ছড়িয়ে দিন, এবার তাতেই পরোটাকে উলটে-পালটে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। খুব বেশি ভাজবেন না। পেটাই পরোটা কিন্তু মুচমুচে হবে না। খুন্তি দিয়ে একটু চেপে চেপে দেবেন যাতে কাঁচাভাবটা চলে যায়।
গোটা পরোটায় লালা লাল দাগ হয়ে এলেই পরোটাটাকে নামিয়ে নিন। এবার পরোটাটা গরম থাকতে থাকতেই হাতের সাহায্যে পিটিয়ে নিন। দেখবেন পরোটাটা ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে। এবার এই ছেঁড়া পরোটাটাই গরম গরম পরিবেশন করুন ঘুগনি বা আলুর দমের সঙ্গে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…