পুজোর চারদিন জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া না হলে কি ঠিক জমে। তবে এবছর করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে গিয়ে ভূড়িভোজের পরিকল্পনা ছাড়ুন, বরং ঘরেই বানিয়ে নিন সহজ এবং মুখরোচক বিকেলের জলখাবার, আর পুজোর চারটি দিন জমিয়ে উপভোগ করুন পরিবারের সঙ্গে। দেখে নিন রেসিপিগুলি।
সবার প্রথমে ভাজা মশলা বানানোর জন্য উপকরণগুলি শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি পাত্রে ময়দা দিয়ে তাতে ময়ান (নুন, চিনি, তেল) দিয়ে নিন। এবার উষ্ণ জল দিয়ে ময়দা মাখতে থাকুন। এবার ময়দার ওপর থেকে একটু সাদা তেল মাখিয়ে নিয়ে ১৫-২০ মিনিট মতো ঢেকে রাখুন। এবার বিউলির ডাল ভাল করে ধুয়ে নিন একটি মিক্সারে দিয়ে দিন। এবার এর মধ্যে একে একে আদা, কাঁচালঙ্কা, নুন, চিনি এবং জল দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন।
এবার একটি প্যানে মিডিয়াম আঁচে গোটা মৌরি ফোড়ন দিয়ে, তাতে হিং-এর গুঁড়ো এবং বিউলির ডালের পেস্টটা দিয়ে দিন। এবার অনবরত নাড়তে থাকুন এবং ডালের জলটা শুকিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে ভাজা মশলার গুঁড়ো ১ চা চামচ দিয়ে দিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে পুরটা ঠান্ডা করে নিন।
অন্যদিকে ময়দা থেকে লেচি কেটে নিন। এবার চাকিতে সামান্য তেল দিয়ে বেলে নিয়ে এর মধ্যে ডালের পুরটা ভরে মুখটা বন্ধ করে নিয়ে এবার বেলে নিন। এখন কড়াইে তেল গরম করে মিডিয়াম আঁচে ভেজে নিলেই রাধাবল্লভী তৈরি।
সবার প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে দুটুকরো করে, একটি চামচের সাহায্যে আলুর মাঝের অংশ কুরে নিয়ে বাটির মতো বানিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে নুন এবং হলুদগুড়োঁ মাখেয় নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে আলুগুলি ডুবো তেলে ভেজে তুলে নিন।
এখন অন্য একটি ফ্রাই প্যান নিয়ে তাতে গোটা জিরে, আদা-কাঁচালঙ্কা বাটা নিয়ে একটু ফ্রাই করে নিয়ে এর মধ্যে আগে থেকে কোরানো আলুটা দিয়ে দিন। ভাজা হয়ে গেল স্বাদমতো নুন, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে ৫মিনিট ঢাকা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে এতে দিয়ে দিন গ্রেটেড পনির, কুচনো কিসমিস, কসুরি মেথি, ভাজা জিরে ও ধনে গুঁড়ো এবং স্বাদমতো চিনি দিয়ে আরও ৫ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা খুলে একটু নাড়া করলেই তৈরি পুরটা।
এবার পুরটা সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে নিয়ে আলুর পুরটা গোল গোল করে গড়ে নিয়ে ভেজে রাখা আলুর বাটির মধ্যে ভরে নিতে হবে। খুব বেশি দেবেন না, একেবারে লেবেল করে দেবেন, এতে করে পুরটা বেরিয়ে আসবে না।
এখন কড়াইতে ২টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে নিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা এবং তেজপাতা দিয়ে নিন। লো ফ্লেমে একটু নেড়ে এর মধ্যে আদা-কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিন টমেটো বাটা। এরপর এর মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, চিনি, জিরে এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে মিডিয়াম ফ্লেমে একটু কষিয়ে নিন। তারপর দিয়ে দিন কাজুবাদাম বাটা এবং টক দই। এবার লো-মিডিয়াম ফ্লেমে সমস্তটা ভাল করে কষে নিন, যাতে মশলার কাঁচা গন্ধটা একেবারে চলে যায়।
এবার এর মধ্যে হাতের তালুর মাঝে ঘষে নিয়ে দিন কসুরি মেথি, গরম মশলার গুঁড়ো এবং আধ কাপ ফুটন্ত গরম জল দিয়ে দিন। এবার গ্রেভি ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে পুরভরা আলুগুলি দিয়ে দিন। বেশি নাড়াচাড়া না করে ঢাকা দিয়ে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এরপর ঢাকনা খুলে একটু ঘি এবং ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পরোটা, লুচি বা নানের সঙ্গে।
সবার প্রথমে একটি প্রেসার কুকারে জল এবং নুন দিয়ে মটরগুলি সেদ্ধ করে নিন। এর জন্য ২টি সিটি দিয়ে নিন, এরপর লো ফ্লেমে প্রেসার কুকারটাকে বসিয়ে রেখে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
এবার ভাজা মশলা বানাতে শুকনো খোলায় আগে শুকনো লঙ্কাটা সেঁকে নিয়ে তাতে গোটা ধনে এবং গোটা জিরে দিয়ে লো ফ্লেমে মশলাটা ২ মিনিট ভেজে নিন। নামিয়ে ঠান্ডা করে গুঁড়ো করে নিন।
এখন একটি কড়ইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তাতে কুচিয়ে নেওয়া নারকেলটা দিয়ে ২-৩ মিনিট হালকা লাল ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। ওই তেলের মধ্যে এটি ফাটানো শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা এবং গোটা জিরে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ফোড়ন ভাজার পর সুন্দর গন্ধ বেরলে এর মধ্যে দিয়ে দিন চৌকো করে কেটে রাখা আলু। আলু ভেজে তুলে নিয়ে ওই তেলের মধ্যেই দিয়ে দিন হিং এবং আদা বাটা। কাঁচা গন্ধটা না যাওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন টমেটো বাটা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা। এবার মশলাটাকে কষিয়ে নিয়ে এর মধ্যে একে একে জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মশলাটাকে ভাল করে কষে নিন।
মশলা কষানোর সময় একটু জল দিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে স্বাদমতো নুন ও চিনি দিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে ভেজে রাখা আলু দিয়ে কষিয়ে নিন এবং তারপর দিয়ে দিন সেদ্ধ করে রাখা মটরটা। এবার ৩-৪ মিনিট লো-মিডিয়াম ফ্লেমে রান্না করতে থাকুন, এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন আগে থেকে চেরা কাঁচালঙ্কা এবং ভাজা নারকেল। এবার ২টো কাঁচা লঙ্কা, গরম মশলা এবং ভাজা মশলা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিলেই তৈরি আপনার নিরামিষ ঘুঘনি।
এবার মণ্ডটাকে কয়েকটাভাগে ভাগ করে নিয়ে ডো-টা বড় করে রুটির মতো করে বেলে নিন। বেলার সময় কোনও ময়দা বা তেল ব্যবহার করবেন না। এবার একটা ছুরির সাহায্যে বরফির মতো করে কেটে নিন।
এখন একটি প্যানে সাদা তেল গরম করে নিয়ে নিমকিগুলি একসঙ্গে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন এই সময় গ্যাসের আঁচটা বাড়িয়ে রাখবেন, নিমকি তেলের ওপর ভেসে উঠলে আঁচ কমিয়ে দেবেন। এইভাবে সোনালি করে ভেজে নিলেই তৈরি দশমী স্পেশাল কুচো নিমকি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…