ভারত-সহ গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে চলছে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিও। গোটা বিশ্বে এখন গবেষকরা করোনার ওষুধ বা ভ্যাকসিন বানানোর কাজে মগ্ন। এর মধ্যেই আমাদের কাছে সুসংবাদ এনেছেন বাবা রামদেব।
করোনা মোকাবিলায় তিনি এনেছেন ওষুধ, যার নাম করোনিল, দাবী বাবা রামদেবের। ভারত ইদানীং আয়ুর্বেদের প্রতি মনোযোগ বেশিই দিয়েছে। সেই পদক্ষেপে এবার হয়তো নতুন মাইলস্টোন হিসেবে জুড়তে চলেছে বাবা রামদেবের তৈরি এই করোনিল।
২৩ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার এই করোনিল ওষুধ সবার সামনে আনা হয়েছে। সোমবার রাতেই পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের এম.ডি আচার্য বালকৃষ্ণ তাঁর টুইটারে এই কথা জানান।
পতঞ্জলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব জানান, দিল্লি এবং আমেদাবাদের কোভিড পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তারা তিন দিনের মধ্যে ৬৫% সুস্থ হয়েছে। আর ১০০% সুস্থ হতে তাদের লাগছে মাত্র ৭ দিনের মতো।
মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে ইঁদুরের ওপরেও প্রয়োগ করে গবেষণা করা হয়। আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, এটিই হল প্রথম পরীক্ষিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা করোনার বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ দিচ্ছে।
এটি তৈরি করা হয়েছে হরিদ্বারের দিব্য ফার্মেসী আর পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিক লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে। সমগ্র রিসার্চ বা গবেষণায় ছিল হরিদ্বারের পতঞ্জলি রিসার্চ ইন্সটিটিউট আর জয়পুরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। বাবা রামদেবের দাবী, এই ওষুধের গবেষণা শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকেই।
সদ্যই আমাদের সামনে বাবা রামদেব আর আচার্য বালকৃষ্ণ এনেছেন এই ওষুধ। তাঁদের কথায়, এই ওষুধ খুব শীঘ্রই পতঞ্জলির স্টোরে পাওয়া যাবে। এছাড়া অন্য ওষুধের দোকানে এখনই পাওয়া যাচ্ছে না।
মূলত তিনটি ওষুধের সমাহার এই নতুন কিট। করোনিলের দাম ৪০০ টাকা, বনসারি রস বুটির দাম ১২০ টাকা, আর একটি তেল আছে, যার দাম ২৫ টাকা। এই ওষুধের দাম তাই সব মিলিয়ে ধার্য করা হয়েছে ৫৪৫ টাকা মতো।
তিনি জানান, এই কিটে ওষুধ রাখা থাকবে মূলত ৩০ দিনের জন্য। আচার্য বালকৃষ্ণ আরও জানান যে খুব তাড়াতাড়ি একটি অ্যাপ আনা হবে আমাদের সামনে যার মাধ্যমে ওষুধের অর্ডার দেওয়া যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে নাকি দু’ঘণ্টার মধ্যে ওষুধ পৌঁছে যাবে।
যেহেতু এখনই বাজারে আসেনি এই ওষুধ তাই এখন বলা সম্ভব নয় এই ওষুধ কেমন কাজ করছে। তবে এই ওষুধ যাদের এখনও করোনা হয়নি তাঁরাও খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রতিরোধের কাজ করবে। অর্থাৎ এই ওষুধ খেলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এই ওষুধের প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানা হয়েছিল। যেমন ধরুন, যাদের ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ মাত্রা অনেকটা, প্রায় ৯০% তাঁদের এই গবেষণায় পরীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছিল।
করোনা হওয়ার ফলে যারা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে এই ওষুধ প্রয়োগ না করতে। এছাড়াও, অন্য কোনও রোগে যেমন ক্যানসারে, যাদের জীবনের আয়ু ১ বছরের কম হিসেবে ডাক্তার বলে দিয়েছেন, তাঁদের এই ওষুধের ক্রিয়ার পরিধির বাইরে রাখা হয়েছে।
তাহলে কাদের ওপর হল এই ওষুধের প্রয়োগ? কোন বয়সের মধ্যের মানুষদের ওপর? মূলত ১৫ থেকে ৬০ বছরের মানুষদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়। অর্থাৎ মোটামুটি টিন-এজ থেকে প্রৌঢ় এই বয়সের মধ্যে রাখা হয় এই ওষুধের ফলাফলের ক্ষেত্র।
বাবা রামদেবের আর তার বিখ্যাত পতঞ্জলি কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সত্যিই যদি করোনা মোকাবিলায় মানুষের কাজে আসে তাহলে আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে ভারত একসঙ্গে কয়েক কদম যে এগিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…