ঢপের চপ! কি নাম শুনে অবাক হলেন তো? অবাক হওয়ারই কথা। হলফ করে বলতে পারি এই চপ আপনারা আগে কখনও খাননি। তবে ঢপের চপ কিন্তু ঘোড়ার ডিমের মতো অলীক নয়। যাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের কাছে এই ঢপের চপ খুবই পরিচিত একটা খাবার।
যাদবপুরে কলা বিভাগের কাছে মিলন দা’র ক্যান্টিনের বেশ নাম-ডাক রয়েছে। সেখানে বিক্রি হয় ঢপের চপ। বাংলা ভাষায় ঢপ মানে মিথ্যা কথা বলা। সেখান থেকেই এমন অবাক করা নামকরণ। ব্যাপারটা আর কিছুই না পাউরুটির মধ্যে পুর ভরে তা বেসনের গোলায় ডুবিয়ে ভাজা চপ। যার পোশাকি নাম ‘ব্রেড পকোড়া’। আসুন আজ আপনাদের জন্য রইল এই ঢপের চপ থুড়ি ব্রেড পকোড়ার সহজ রেসিপি।
প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে সেদ্ধ করা আলু নিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, স্বাদমতো নুন, আমচুড় পাউডার, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিতে হবে। আলু ভালো করে ম্যাশ করে নেবেন হাতের সাহায্যে। ভালো করে আলু মেখে নেওয়ার পর নুন স্বাদমতো দিয়েছেন কিনা একটু দেখে নেবেন।
এবার চলে আসুন বেসনের মিশ্রণের দিকে। অন্য একটি পাত্রে বেসন, নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জোয়ান এবং খাবার সোডা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে আপনারা অল্প অল্প করে জল মেশাতে থাকুন। একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে জল দিয়ে দেবেন না। অল্প অল্প করে জল মেশাবেন। এবার যতক্ষণ না একটা না মোটা না পাতলা ঘনত্ব আসছে, ততক্ষণ জল মেশাবেন। দেখবেন যেন ব্যাটারটা খুব বেশি পাতলা না হয়ে যায়।
এরপর পাউরুটির ওপর লাগিয়ে দিন টমেটো সস। তবে এর পরিবর্তে আপনারা কিন্তু পুদিনার চাটনিও লাগাতে পারেন। পাউরুটির চার ধার কেটে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এবার এর মধ্যে আলুর পুর ভালো করে ছড়িয়ে দিন, যাতে সবদিকে সমানভাবে আলুর পুর থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এবার ছুটির সাহায্যে পাউরুটিটি তিন কোণা করে কেটে নিন।
কড়াইয়ে আগে থেকে তেল গরম করতে দিন। এবার বেসনের ব্যাটারের মধ্যে পাউরুটিটি ডুবিয়ে ডুবো তেলে গোল্ডেন ফ্রাই করে নেবেন। গ্যাসের আঁচ মিডিয়াম থেকে লো-এ রাখবেন, বেশি আঁচে করলে কিন্তু পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার গোল্ডেন ব্রাউন রঙ হওয়ার পর তা ভালো করে তেল থেকে ছেঁকে তুলে নিন। এবার টমোটো সস, পুদিনার চাটনি এবং শসা-পেঁয়াজের সালাদের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন ব্রেড পকোড়া বা ঢপের চপ।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…