বর্তমান সময়ে চুলের সমস্যায় কম বেশি আমরা প্রত্যেকে ভুগি। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা এখন প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে। দামী স্যাম্প হোক বা অন্য উপায় চুলের সমস্যার সমাধান ঠিক যেন আর হতেই চায় না।
তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরে যাওয়ার থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় নিজে হাজির। খুবই সাধারণ কিছু উপকরণ যা প্রত্যেকের বাড়িতে থাকে, সেই উপকরণ দিয়ে যে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা জানাবো।
কলা যে চুলের জন্য খুবই কার্যকরী তা অনেকেরই জানা নেই। চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
মাঝারী সাইজের পাকা কলা একটা, মধু।
মাঝারী সাইজের একটি পাকা কলা নিন। কলাটাকে ভালো করে পেস্ট করুন। সাথে ২ চামচ মধু মেশান। রেডি আপনার প্যাক। এবার ভালো করে প্যাকটি চুলে ও মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট রাখার পর স্যাম্প করে নিন। এই প্যাকটি চুলের আগা ভাঙ্গা ও রুক্ষতা দূর করে। সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। চুল সুন্দর ও মজবুত হবে।
আলু চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। কি ভাবছেন মজা করছি! না তাহলে ভুল ভাবছেন। সত্যি আলু চুলের জন্য ভীষণ উপকারি।
আলু ৪ থেকে ৬ টা, ডিমের কুসুম একটা, মধু, ও অল্প জল।
আলু ভালো করে পিষে রস বের করে নিন। এবার তাতে ডিমের কুসুম , ১ চামচ মধু ও অল্প জল মিশিয়ে নিন। প্যাক রেডি। চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন স্যাম্প দিয়ে। সপ্তাহে একদিন করে করুন এই উপায়ের ব্যবহার। দেখবেন চুল পড়া কমে গিয়েছে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া কমানোর সহজ ও কার্যকরী উপায় হল রসুনের প্যাক।
৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন, নারকোল তেল।
একটি বাটিতে নারকোল তেল নিন। তাতে রসুন বাটা মেশান। মিশ্রণটি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা হলে মাথার ত্বকে ও সারা চুলে মিশ্রণটি লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন । সবচেয়ে ভালো হয় যদি রাতে মেখে সকালে মাথা ধুয়ে নেওয়া যায়। । সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করুন। ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।
গ্রীনটিতে থাকে প্রচুর গুনাগুণ। চুলের জন্য খুবই উপকারি।
হালকা গ্রীনটি সারা মাথায় লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক বসে থাকুন। চুল শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। গ্রীনটিতে অ্যাণ্টি অক্সসিডেণ্ট থাকে। অ্যাণ্টি অক্সসিডেণ্ট চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন।
ডিম পুষ্টিকর সবাই জানি। ডিম চুলের জন্য পুষ্টিকর।
১ টা ডিম, মধু, টকদই।
একটা ডিম নিয়ে তাতে ২ চামচ মধু ও অল্প দই মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে শুকনো পর্যন্ত। ৩০ মিনিট ধরে নিন শুকোতে সময় লাগবে।সপ্তাহে একবার করে করতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
মধু কি মাথায় দেয়া যাবে ? মাথায় মধু মাখলে চুল নাকি সাদা হয়ে যায়