চিরতা নামক এই ভেষজ উদ্ভিদটি ভারতবর্ষর নানা জায়গায় প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এর ওষুধি গুণ প্রচুর। কালমেঘ গাছকে তুলে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়। এর ডাল শুকিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে, সারারাত ভিজিয়ে রাখা হয়। সেটি ওষুধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
এই চিরতার জল খুব উপকারি। চোখের জন্য এছাড়াও জ্বরের ক্ষেত্রে উপকারি। এছাড়া আরও অনেক গুণ আছে চিরতার। আজ দেখবো চিরতার সেইসব গুণ।
আমরা জানি তেঁতো খাবার খেলে শরীর ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকে কম আক্রান্ত হয়। তার ফলে শরীর কম অসুস্থ হয়। আর চিরতার স্বাদ অত্যন্ত তেতো। তাই চিরতা জল শরীরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়।
চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারি। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাডে সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে।
জ্বরের ক্ষেত্রেও চিরতা উপকারি। জ্বরের ফলে শরীরে এনার্জি না লাগা, জ্বর ভাব এগুলি দূর করতে চিরতা উপকারি।
নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য রোজ চিরতার জল খেতে পারেন। কারণ চিরতা রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যেটি তারুণ্য ধরে রাখার একটি শর্ত।
অনেকেরই মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায় ও আরও সমস্যা হয়। চিরতা এক্ষেত্রে উপকারি। রোজ সকালে চিরতার জল খান উপকার পাবেন। এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে চিরতার জল।
আজকাল অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিরতার জল উপকারি। চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
চিরতা পরিস্কারক হিসাবেও কাজ করে। চিরতার জল শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার করে। শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। ও ফ্রেশ রাখে। যেটা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুব জরুরি।
ত্বকের জন্যও চিরতা খুব উপকারি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, চামড়ার ঘা, অন্যান্য ক্ষত সারাতে অনবদ্য। এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য যেকোনো ইনফেকশন সারাতে এটি উপকারি। রোজ যদি চিরতার জল খাওয়া যায় তাহলে স্কিন ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচা যায়। ত্বক ভালো থাকে।
যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলেও খেতে পারেন চিরতার জল। এটি বদহজম, অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকে তাহলে চিরতার জল খুব উপকারি। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য রোজ চিরতার জল খেলে উপকার পাবেন।
এছাড়াও অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাতেও চিরতার জল খুব উপকারি। রক্ত কমে গেলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। চিরতার জল রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে।
তবে চিরতা যেহেতু ব্লাড সুগার লেবেলকে কম করে, তাই এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। আর চিরতা খুব তেঁতো তাই বমি হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া চিরতার জল খুবই উপকারি সেটা দেখলেন। তাই শরীরকে সুস্থ্য রাখার জন্য এবার থেকে রোজ খান চিরতার জল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…