শিরোনাম পড়ে আশাকরি বুঝে গিয়েছেন আজকের রেসিপি কি নিয়ে। বাঙালির প্রিয় একটি মুখরোচক খাবার ঘুগনি। যা বাড়িতে বানিয়ে অনেকেই খান, কিন্তু ধর্মতলার মোড়ে বসা বা মেলায় বসা ঘুগনি অথবা চায়ের দোকানে বানানো ঘুগনির মত তা ঠিক খেতে হয় না। কিন্তু এবার থেকে আপনার বানানো ঘুগনি খেতে হবে এক্কেবারে দোকানের মত। স্পেশাল মশলা সহ ঘুগনির রেসিপি পড়ে নিন ঝটপট।
উপকরণের যে পরিমাপ নিচে লিখছি, তা ১৭৫ গ্রাম মত ঘুগনি বানানোর হিসেবে লেখা। আপনারা এর চেয়ে বেশি পরিমানে বানাতে চাইলে আন্দাজ মত উপকরণের মাপ কমবেশি করে নেবেন।
একটি বাটিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা মত ১৭৫ গ্রাম মটর জলে ভিজিয়ে সবার প্রথম রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যেদিন ঘুগনি বানানোর প্ল্যান করবেন, তার আগে দিন রাতে এটি ভিজিয়ে রাখুন।
প্রেসার কুকারে ২ কাপ জল নিয়ে ভিজিয়ে রাখা ঘুগনি ও খোসা ছাড়ানো মাঝারি সাইজের দুটো আলু একসাথে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধ করার আগে এতে ১/২ চামচ হলুদ ও সামান্য নুন মিশিয়ে দেবেন।
প্রথমে গ্যাসের আঁচ লো করে তাতে তিনটে সিটি মারা হলে, আঁচ মিডিয়ামে করে দেবেন। এবার আরও তিনটে সিটি হলে গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা খুলে রাখবেন।
কড়াই গ্যাসে বসিয়ে ৬ চা চামচ সর্ষের তেল বা সাদা তেল, যেটা আপনার রান্নাঘরে আছে, কড়াইয়ে দিয়ে গরম করবেন। তেল গরম হলে তাতে বড় সাইজের পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভাজবেন। বাদামী রঙ হয়ে এলে তাতে আদা রসুন বাটা, সামান্য লঙ্কা কুঁচি, টমেটো কুঁচি দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিন।
ভাজা হতে হতে এতে এক এক করে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধানিয়া গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। দিয়ে দিন পরিমান মত নুন। কাচা মশলার ঘন্ধ চলে গেলে জল সহ সেদ্ধ ঘুগনি মিশিয়ে দিন। আর সেদ্ধ আলু হালকা স্ম্যাস করে এতে মেশান। জল কমে এলে সামান্য জল থাকা অবস্থায় গ্যাস বন্ধ করে দিন।
দোকানের মত ঘুগনির স্বাদ পেতে হলে আপনার গ্যাস বন্ধ করে রাখা ঘুগনিতে এবার মেশাতে হবে স্পেশাল ঘুগনি মশলা। তিনটে শুকনো লঙ্কা, এক চা চামচ গোটা জিরে, এক চা চামচ মৌরি আর এক চা চামচ গোটা ধনে ভালো করে শুকনো তাওয়াতে রোষ্ট করে নিন।
হালকা ঠাণ্ডা হলে একসাথে গুঁড়ো করুন। রেডি ঘুগনির স্পেশাল মশলা। এবার এটি এক চা চামচ নিয়ে কড়াইয়ে রাখা ঘুগনিতে মিশিয়ে দিন। গ্যাস অন করে ২মিনিট মত নেড়ে চেড়ে নিন। রেডি আপনার ঘুগনি।
দোকানের মত স্বাদ কিন্তু সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে কি ভাবে পরিবেশন করছেন তার উপর। বাটিতে ঘুগনি নিয়ে তার উপর প্রথমে স্পেশাল মশলা সামান্য ছড়িয়ে দিন।
এরপর তেঁতুল জল দিন সামান্য। একে একে পেঁয়াজ, ধনেপাতা ও লঙ্কা কুঁচি দিয়ে দিন। লাস্টে আরেকবার এক চিমটে বানানো মশলা ও বিট নুন দিয়ে পরিবেশন করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…