বয়স পঁচিশের ঘর পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, ফেসমাস্ক, বা ফেসপ্যাক প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনে রাখা উচিত। বাজারের অ্যান্টি-এজিং ক্রিম সবসময় সবার স্কিনে স্যুট করে না। উল্টো ওগুলোতে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যাল স্কিনের আরো ক্ষতি করতে পারে। তাই আর্টিফিশিয়ালের চাইতে হোমমেইড অ্যান্টি-এজিং ক্রিম সবচাইতে নিরাপদ এবং কার্যকরী। আজকের আয়োজনে থাকছে ৩টি হোমমেইড অ্যান্টি-এজিং ক্রিম বানানোর পদ্ধতি, ব্যবহারবিধি, এবং সেগুলোর উপকারিতা।
প্রথমে কমলার কোয়াগুলো বিচি ও আঁশ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। রস করা হয়ে গেলে আধা টেবিল চামচ রস নিন৷ একটি বাটিতে প্রথমে কমলার রসের সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। এরপরে অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে সব মিশিয়ে নিন। সবশেষে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে ফেলুন।
তৈরি করা কমলার অ্যান্টি-এজিং ক্রিম একটি এয়ার টাইট কাচের কৌটায় রেখে দিন। এই ক্রিম ১৫ থেকে ২০ দিন ব্যবহার করা যাবে। ফ্রিজে রাখতে হবে অবশ্যই। রাতে মুখ ধোয়ার পরে অল্প একটু ক্রিম নিয়ে আলতো করে মুখে মেখে নিবেন।
একটি কাচের জারে ভিটামিন ই তেল, এসেনশিয়াল তেল, এবং এরোরুট পাউডার বাদে সব উপকরণ ঢেলে মিশিয়ে নিন। একটি ছোট সসপ্যানের অর্ধেক অংশ পানিভর্তি করে চুলায় বসান। চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন।
এবারে জারটা সসপ্যানের মাঝখানে বসিয়ে দিন। জারের উপকরণ গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাঝে হালকা একটু নেড়ে দিবেন। সব গলে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
রুম টেম্পারেচারে জারটা ঠান্ডা হতে দিন। হালকা ঠান্ডা হওয়ার পরে ভিটামিন ই তেল, এসেনশিয়াল তেল, এবং পাউডার মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালোমতো মেশানো হয়ে গেলে এয়ার টাইট করে সংরক্ষণ করুন।
এই ক্রিমটা শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন রাতে মুখ ধোয়ার পরে ব্যবহার করবেন। খুব সামান্য পরিমাণে নিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন। ব্যবহারের পরে তেল বাড়তি থাকলে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন।
একটি বাটিতে প্রথমে গোলাপের রস, অ্যালোভেরা জেল, এবং ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে রাখুন। আরেকটি কাচের বোতলে বাকি উপকরণগুলো মিশিয়ে উপরে গোলাপের রসের মিশ্রণটা ঢেলে দিন। চুলায় একটি সসপ্যান চার ভাগের তিন ভাগ পানিভর্তি করে বসিয়ে দিন। অল্প আঁচে পানি ফুটতে দিন।
এরপরে বোতলটা সসপ্যানে বসিয়ে দিন। বোতলের মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত সব গলে সুন্দরমতো মিশে যাচ্ছে। গলে গেলে চুলা থেকে বোতলটা নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটা জমে গেলে বোতলের মুখ ঢাকনা দিয়ে ভালো করে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন।
ফ্রিজে রেখে এই ক্রিম সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন রাতে পরিষ্কার মুখে ব্যবহার করবেন, সকালেও করলে আরো ভালো হয়। স্কিনে লাগানোর পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। বাড়তি তেল থেকে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে চেপে নিবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…