গরমকাল চলে এসেছে। গরমকাল আশা মানেই রোগের উপদ্রব। একদিকে অসহ্যকর ক্লান্তিবোধ অন্যদিকে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ। গরমকালে দিনের বেলায় বাইরে বেরনো প্রায় একপ্রকার শাস্তি মনে হয়।
রোদের তেজ থেকে শরীর নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরমকালে। ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায় গরমের চাপে। মন কাজ করার উৎসাহ হারায়। তাই এসব থেকে বাঁচতে শরীরের যত্ন নিন আগে থেকেই।
বর্তমান সময়ে প্রায় আমরা ঘরে বন্দি।কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার কাজের তাগিদে রোজ সকলকেই বেরতে হবে বাইরে। গরমকালে বাইরে যাওয়া মানেই রোদের কবলে পরা, যা প্রায় সবার কাছেই বিরক্তিকর। কিন্তু কি আর করা যাবে! তাই শরীরের যত্ন নিন ও সাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। যাতে ক্লান্তিকর গরম থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
গরমকালে আমাদের সর্বক্ষণের সাথী হল জল। এই সময় জল যে জীবনের আরেক নাম তা মিনিটে মিনিটে উপলব্ধি করা যায়। শরীরকে সতেজ রাখতে জল নিয়মিত পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমান জলের যোগান শরীরের জন্য খুবই দরকার এই সময়।কাজের ব্যস্ততায় আমরা ভুলে যাই জল পান করার কথা। তেষ্টা পেলেই জল পান করবেন, না হলে নয় ,এমনটা গরমকালে করা উচিত নয়। পরিমান মত জল পান করা উচিত। পাতিলেবুরজল এই সময় বিশেষ উপকারি। যখন বাইরে বেরলে ডাবের জল পান করতে পারেন। তবে পানীয় জলের বিষয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরী।
গরমকালে শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পরে। তাই শরীরকে ফিট রাখতে রোজ শরীরচর্চা করুন। প্রতিদিন ভোরবেলায় নিয়মিত যোগব্যায়াম করে দেখতে পারেন।গরমের সাথে লড়ার জন্য শরীরকে ফিট রাখা খুবই দরকার।
বর্তমান সময়ে নানা কারনে মানুষের ঘুমের পরিমান স্বাভাবিক ভাবে কমে যাচ্ছে। যা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। গরমকালে এই সমস্যা যেন আরও বেরে যায়।গরমের ফলে শরীর ক্লান্ত থাকলেও শান্তিপূর্ণ ঘুম পায় হয়ে ওঠেনা। তাই রোজ রাতে ঘুমনোর আগে মিছরি ভেজানো জল খান। গরমকালে কম পক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই রাতে ভালো করে ঘুমোন। দেখবেন শরীর একদম সুস্থও থাকবে।
শরীরকে ঠিক রাখতে গরমকালে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখা উচিত। শরীর ঠাণ্ডা রাখে এরকম খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। ফ্যাট জাতিও খাবার বেশি না খাওয়াই ভালো। টকদই দিনে একবার করে খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারি। তাছাড়া পক্স, হাম ইত্যাদি রোগ থেকে এই সময় বাঁচতে নিমপাতা রোজ খাওয়া দরকার। এই নিমপাতা শরীরের সাথে ত্বকের জন্য খুব উপকারি। প্রচুর পরিমান রসাল ফল খেতে পারেন। শরীরে জলের ঘারতিপূরণ হবে। চাইলে ঘরে বানিয়ে খান ফলের নানারকমের শরবত।
গরমকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ত্বক। রোদের জ্বলন থেকে ত্বককে বাঁচাতে সান্সক্রিন ব্যবহার করা ভালো। সান্সক্রিন ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন এস.পি.এফ ৩০ যেন কমপক্ষে হয়। তাছাড়া বাইরে থেকে ঘরে এলে ১৫ মিনিট ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুতে থাকুন। বাইরে বেরলে যতটা সম্ভব মুখ ঢেকে রাখা ভালো। সানগ্লাস ও ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত গরমকালে।
শরীর ভালো থাকা মানেই মনমেজাজ ভালো থাকা। গরমের জ্বালায় নিজের অমূল্য সময় যেন নষ্ট না হয়। সেজন্যই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। আর গরমকালকে স্বাগত জানান খুশি মনে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…