বাসাবাড়ি একদম নীট এন্ড ক্লিন রাখতে চাইলেও সব সময় তা হয়ে ওঠে না। তার ওপর ঘরে যদি থাকে আরশোলা তাহলেই হয়েছে! ঘর তো নোংরা হবেই, সেই সাথে অসুখ-বিসুখ ফ্রি।
ঘরে আরশোলা বা তেলাপোকা থাকলে তা সারা বাড়িতে হেঁটে জীবাণু ছড়ায় ফলে ঘরে আরশোলা বাড়লে রোগবালাই বেড়ে যায়। দেখতে একদম নিরীহ হলেও এরা অনেক রকমের জীবাণু ছড়ায় যা আমাদের মারাত্নক শারীরিক অসুস্থতার কারনও হতে পারে। তাছাড়া এরা কাপড় কেটে ফেলে, দরকারি কাগজ নষ্ট করে ফেলে। এমনিতে তো দেখলে কিংবা সামনে পরলে আরশোলা মেরেই ফেলা হয়। কিন্তু ঘরের কোনা, আসবাবপত্রে মাঝেও এরা লুকিয়ে থাকতে পারে, জিনিষপত্রও নষ্ট করে। খাবারের উপরেও নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়ায় এরা। তাই ঘর থেকে আরশোলা দূর করা অত্যন্ত জরুরি।
বাজারে আরশোলা দূর করার জন্য নানান ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ও স্প্রে পাওয়া যায়। কিন্তু এসব জিনিষ কেবল সামান্য কয়েক দিনের জন্য আরশোলার প্রকোপ কমায়, কিন্তু একেবারে ধ্বংস করে না। চিরতরে আরশোলার উপদ্রব দূর করার জন্য তাই এই উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখুন।
তেজপাতা সাধারণত মশলা হিসেবে ব্যবহৃত বয়ে থাকে। তবে ঘর থেকে আরশোলা দূর করতেও এটি দারুন কাজ করে। তেজপাতার ঝাঁঝালো ও তীব্র গন্ধ আরশোলা সহ্য করতে পারে না। তাই আরশোলা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ঘরে তেজপাতা রাখা। তেজপাতা শুকিয়ে বা ভেজে গুড়ো করে নিন। এই গুড়ো সপ্তাহে দুইবার ঘরের কোনাগুলোতে ছড়িয়ে দিন। আরশোলা ঘরে ঢুকবে না। তেজপাতা গুড়ো করা ঝামেলা মনে হলে তেজপাতা রোদে কড়কড়ে করে শুকিয়ে ঘরে ছড়িয়ে রাখুন, একই কাজ হবে। আরশোলা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সস্তা পদ্ধতি এটি।
বোরিক পাউডার হচ্ছে এক ধরনের মৃদু এসিড। সাধারণ যে কোনো ঔষধের দোকানেই বোরিক পাউডার পাওয়া যায়। এই বোরিক পাউডার আরশোলাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় দূরীকরনে খুবই ভালো কাজ করে। সাদা রঙের এই পাউডার ভাতের সাথে মিশিয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে রাখুন। আরশোলাএই এসিড মিশ্রিত ভাত খেয়ে মারা পরবে। আরশোলার উৎপাত বেশি হলে দুইদিন পরপর বোরিক পাউডার মিশ্রিত ভাত ছড়িয়ে রাখুন। একবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেই বুঝতে পারবেন এটি কত ভালো ও দ্রুত কাজ করে। দীর্ঘ দিন ঘরকে আরশোলাকা মুক্ত রাখতে চাইলে বোরিক পাউডার ব্যবহার অবশ্যই করবেন।
চিনিআরশোলার ভীষণ প্রিয়। আর বেকিং সোডা আরশোলার জন্য বিষের সমান। বেকিং সোডা ও চিনি একসাথে মিশিয়ে আরশোলার যাওয়া আসা আছে এমন যায়গায় ছড়িয়ে দিন। চিনির গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে আরশোলা চিনি খেতে যাবে। আর বেকিং সোডা মিশ্রিত চিনি খেয়ে মারা পরবে। আরশোলার বংশ নির্বংশ করতে চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
লবঙ্গ ও গোল মরিচের ঝাঁঝ আর গন্ধ দুটোই আরশোলার দুশমন। তাই ঘর থেকে আরশোলাচ শুকিয়ে কিংবা ভেজে গুড়ো করে নিন। এবার স্প্রে বোতল নিন। এক লিটার পানিতে তিন টেবিল চামচ লবঙ্গ ও গোল মরিচের গুড়ো নিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। রাতের বেলায় ঘরের যেসব স্থানে আরশোলার আনাগোনা দেখা যায় সেসব যায়গায় স্প্রে করে দিন। আরশোলা দৌড়ে পালাবে।
আরশোলা মারার যেসব রাসায়নিক আমরা কিনি বাজার থেকে তাতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়। ওসবে যেহেতু কাজ হয় না তাই সরাসরি অ্যামোনিয়া ব্যবহার করাই ভালো। অ্যামোনিয়ার গন্ধ খুবই বাজে। কিন্তু এই অ্যামোনিয়া আপনার বাসার আরশোলাসহ অন্যান্য যাবতীয় ক্ষতিকর পোকামাকড় দূর করতে পারে খুব সহজেই। পাঁচ লিটার স্বাভাবিক পানিতে দুই কাপ পরিমান তরল অ্যামোনিয়া ভালোভাবে গুলে নিন। এই পানি দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন ঘর মুছুন। দেখবেন ঘর থেকে আরশোলা একেবারেই গায়েব হয়ে গেছে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…