আপেল একধরনের মিষ্টি ফল। আপেল রোসাসি গোত্রের ম্যালিয়াস ডমেস্টিকা প্রজাতিভুক্ত। আপেল সারা বিশ্বে পরিচিত একটি ফল। মূলত মিষ্টি ও রসাল শ্রেণীর হয়ে থাকে আপেল। আপেল একটি পুষ্টি প্রদানকারী ফল। আপেল খেতে খুবই সুস্বাদু। সহজে খিদে কমিয়ে দেয় আপেল। অন্য ফাস্টফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার থেকে আপেল খেয়ে খিদে মেটানো শরীরের জন্য অনেক উপকারি। কারণ আপেলে থাকে ৭০-১০০ ক্যালরি আছে।
আপেলে সাধারণত থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। আপেলে জল থাকে। যা মানবদেহে জলের অভাব দূর করে। আপেলে আছে ফ্ল্যাভানয়েড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এইসব পুষ্টিকর উপাদান সমূহ পাওয়া যেতে পারে।
ভারতের হিমাচলপ্রদেশ কাশ্মীর ও পাহাড়ি অঞ্চলে মূলত আপেল চাষ হয়ে থাকে। রয়াল ডেলিশিয়াস, গোল্ডেন, গ্রিমি স্মিথসহ অনেক প্রজাতির আপেল উৎপাদিত হয় অধিক। আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে না জন্মালেও এটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পাহাড়ী অঞ্চলের জলবায়ু আপেল চাষের জন্য উপযোগী। উর্বর দোআঁশ মাটি এই চাষের জন্য ভালো।
আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেথাকে। ফলে ডায়বেতটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে শরীরকে। আপেল খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে আপেল। এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো। তাই বাওয়েল পরিষ্কার রাখে কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না। আপেল লিভার ও গলব্লাডার পরিষ্কার রাখে।
দিনে একটি থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা কমে। গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে– দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেসটরেল কমে। হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে আপেল। আপেল শরীরের ওজন কমায় ও তা নিয়ন্ত্রণ করে থেকে। এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আপেল পেশী টনিক, মূত্রবর্ধক, জোলাপ, অ্যান্টিডাইয়েডরিল, ও হজমকারক।
আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা সহজে তরলে মিশে যায়। এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে কোলেসটরেল জমতে দেয় না। শরীর থেকে কোলেসটরেল খরচ করে কমাতে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। মাসেল টোন করতে সাহায্য করে। এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের গ্লুকোজ ও সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যান্য ফলের মত আপেল রক্তে চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না। ফলে ডাইয়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন।
আপেলের প্রচুর জল থাকে। আপেল জলের অভাব দূর করে শরীরের। তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে আপেল। জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে। তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করে থাকে। আপেলে কোনো লবন নেই। তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে। তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো। কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়। আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে দেয়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…